ঘুরতে গিয়ে চা খাওয়া

in hive-129948 •  3 days ago 

নমস্কার সবাইকে,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি।

বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে চা খেতে যাওয়া নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করব তোমাদের সাথে। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা চা খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে। অনেকের আবার চায়ের নেশাও আছে। যদিও অনেকে চা খাওয়াকে নেশা মনে করে । আমি কিন্তু আবার চা খাওয়াটাকে নেশা হিসেবে নিই না । যাই হোক, চা এর কিন্তু একটা অন্যতম টেস্ট রয়েছে। একটা তৃপ্তির স্বাদ নেওয়া যায় এক চুমুক চা খাওয়ার মাধ্যমে। আমি বাড়িতে খুব বেশি চা না খেলেও বাইরে ঘুরতে গিয়ে কিন্তু বেশ চা খাই।

20250112_165400.jpg

20250112_165402.jpg

20250112_165410.jpg

অনেক আগে থেকেই এই চা খাওয়া ব্যাপারটা আমার মধ্যে এসেছে। আসলে অনেক আগে আমরা অনেকে মিলে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতাম এবং সে সব জায়গায় ঘুরতে গিয়ে আমরা চা খেতে খেতে গল্প করতাম। সেভাবেই অভ্যাসটা হয়েছে আর কি। যাই হোক, বেশ কিছুদিন আগে আমি এবং আমার দাদা গেছিলাম বর্তির বিল নামক একটি জায়গায়। এই বিল সম্পর্কে আশা করি তোমরা কমবেশি সবাই জানো। সেখানে এখন চায়ের দোকান থেকে খাবারের দোকান অনেক কিছু গড়ে উঠেছে। কারণ এখানে দিন দিন পর্যটক সংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে এখানে লোক আসে। আর সেই লোকদের সুবিধার্থেই এখানে এসব গড়ে উঠেছে। যাই হোক, কিছুদিন আগে সেখানে ঘুরতে গিয়ে একটি দোকানে বসে চা খেতে খেতে সেখানকার প্রকৃতি ইনজয় করেছিলাম। অনেক ভালো লেগেছিল সেই দিন চা খেতে খেতে ওই প্রকৃতি ইনজয় করার মাধ্যমে।

20250112_165414.jpg

20250112_165418.jpg

20250112_165426.jpg


◾▪️◾পোস্ট বিবরণ◾▪️◾

শ্রেণীলাইফ স্টাইল
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনবর্তির বিল, নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, আজকে শেয়ার করা এই পোস্টটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

IMG_20220728_164437.jpg

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

Add a little bit of body text_20240911_022744_0000.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

বর্তির বিলের অনেক ফটোগ্রাফি দেখেছি আপনাদের পোস্টের মাধ্যমে। যাইহোক চা খাওয়াটা আমারও নেশা না। তবে মাঝেমধ্যে চা খেতে বেশ ভালো লাগে। বিশেষ করে মালাই চা খেতে আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আপনি এবং আপনার দাদা ঘুরতে গিয়ে চা খেয়েছেন তাহলে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

বর্তির বিলের কথা অনেক শুনেছি। কারণ দাদারাও সেখানে অনেকবার গিয়েছে ঘোরাঘুরি করার জন্য।সেখানে খুব সুন্দর কিছু দোকানপাট গড়ে উঠেছে। এটা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে খ্যাতি পেলে আরও বেশি দোকানপাট হবে। সেখানে গিয়ে চা খেয়েছেন এবং আড্ডা দিয়েছেন তা শুনে বেশ ভালো লাগছে। আসলে বাইরে কোথাও বের হলে চা খেতে খেতে আড্ডা দেয়ার মজাই আলাদা।

চা আমার মাঝে মধ্যে খাওয়া হয়। নিয়ম করে খেতেই হবে এভাবে আমিও খাই না। ঘুরতে গিয়ে চা খাওয়ার কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছে দেখে ভালো লাগলো। বাইরে প্রকৃতির ভিউ টা ভালোই লাগছে দেখতে। মাটির এই মটকা গুলোতে করে চা খেতে ভালোই লাগে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

বাহিরে গেলে চা খেতে আমার কাছেও অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি নিজেও বাড়িতে খুব একটা চা খাই না। কিন্তু বাহিরে গেলে বেশিরভাগ সময় খাওয়া হয়। ঘুরতে গিয়ে আপনি চা খেয়েছিলেন শুনে ভালো লাগলো। আপনার চা খাওয়ার মুহূর্তটা দেখছি অনেক ভালো ছিল। আর প্রকৃতি ইনজয় করতে করতে চা খেলে তো আরো বেশি ভালো লাগে।