নিজের তৈরি পিৎজা দিয়ে রাতের ডিনার

in hive-129948 •  last year 

বন্ধুরা,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও বেশ ভালো আছি।

আজকের ব্লগে কিন্তু তোমাদের সাথে পিৎজা তৈরির কোনো রেসিপি শেয়ার করব না আগে থেকেই এই বিষয়টা জানিয়ে নিলাম। গতকাল রাতে বাড়িতে পিৎজা তৈরি করে খেয়েছিলাম সেই সম্পর্কে কিছু কথা শেয়ার করব।

20230902_232812.jpg

20230901_013820.jpg

পিৎজা খেতে যে আমি অনেক বেশি ভালোবাসি, এর আগের কয়েকটি ব্লগেও তোমাদের সাথে সেই বিষয়টা শেয়ার করেছি। অধিকাংশ সময় পিৎজা বাইরে থেকে কিনে খাওয়া হয় আমার। বাইরে থেকে এই পিৎজা কিনে খেতে গেলে অনেক পরিমাণ টাকা খরচ হয়ে যায় । এই বিষয়টা অনেকবারই খেয়াল করেছি কিন্তু তারপরও পিৎজা খেতে এত বেশি ভালো লাগে তখন টাকা খরচ হওয়ার কথা মাথায় থাকে না। বাড়িতে পিৎজা তৈরি করে খেলে অনেকটা খরচ কম হয় সেই বিষয়টা আমার জানা ছিল । তবে মোটামুটি একটু জটিল কাজ বাড়িতে পিৎজা তৈরি করা। এর আগেও আমি বাড়িতে কয়েকবার এই পিৎজা তৈরি করেছি বেশ সফলভাবেই । পিৎজা তৈরিতে অনেক চিজের দরকার পড়ে, এই চিজ এর দামটা অনেক বেশি সেই জন্য পিৎজার খরচ বেড়ে যায় বাড়িতে তৈরি করলেও তবে বাইরে খাওয়ার থেকে অনেকটা কমে হয়ে যায়।

20230902_232540.jpg

20230902_232702.jpg

যাই হোক, গতকালকে দুপুরে ঠিক করেছিলাম রাতে বাড়িতেই পিৎজা তৈরি করে খাব। এই জন্য বাইরে থেকে বিকালে চিজ কিনে এনে রেখেছিলাম । তাছাড়া এই পিৎজার উপরে টপিং দেওয়ার জন্য ক্যাপসিকাম, টমেটো এবং পেঁয়াজও কিনে নিয়ে এসেছিলাম। পিৎজা তৈরি করতে হলে আগে ময়দা দিয়ে পিৎজার ডো রেডি করতে হয়। পিৎজার ডো করতেও কয়েক ঘন্টা সময়ের দরকার পড়ে। সেজন্য সন্ধ্যায় এই পিৎজার ডো রেডি করে রেখেছিলাম। রাত হলেই বাড়ির সবাই মিলে পিৎজা তৈরির কাজে নেমে পড়ি। বাড়ির সবাই বলতে মা, আমি এবং দাদা । সবাই কম বেশি একটু কাজ করে এগিয়ে দিয়েছিল। যেমন দাদা টমেটো ও পেঁয়াজ কেটে দিয়েছিল এবং মা ক্যাপসিকাম কেটে দিয়ে আমাকে সাহায্য করেছিল। পিৎজা তৈরির প্রধান কাজটি হল ডো তৈরি করা। এটা ঠিকমতো না হলে পিৎজা সুন্দর হয় না । যেহেতু এর আগেও কয়েকবার ডো তৈরি করেছি সেজন্য এবারও সফলভাবে ডো তৈরি করতে পেরেছিলাম। বাড়িতে পিৎজা তৈরি করার জন্য পিৎজা সস ছিল সেই জন্য আর আলাদা করে সস তৈরি করতে হয়নি ।

20230902_225449.jpg

পিৎজা তৈরির জন্য যে ময়দার ডো রেডি করে রেখেছিলাম সেটাকে রুটির মতো করে গোল করে বেলে পিৎজা তৈরির যে প্লেট ছিল তার মধ্যে দিয়ে দেই। তারপর এর উপর টপিং এর জন্য আগে থেকে কেটে রাখা ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ ও টমেটো দিয়ে পিৎজা রেডি করেছিলাম। এর পর এটি ওটিজি ওভেনের মধ্যে দিয়ে রেখে দিয়েছিলাম ১৫ মিনিটের জন্য। ওটিজি -তে ২৩০ ডিগ্রি টেম্পারেচার সেট করে আগে ১৫ মিনিট গরম করে নিয়েছিলাম পরে আবার ওই টেম্পারেচার রেখে ১৫ মিনিট ধরে আমার করা পিৎজাটি কে ওটিজি -তে রেখে কুক করেছিলাম। বাড়িতে তৈরি করা বলে পিৎজা টি কম স্বাদের হয়েছিল সেরকম কোন ব্যাপার ছিল না, বেশ ভালই হয়েছিল খেতে। গতকালকে দুটো পিৎজা তৈরি করেছিলাম । একটি ছিল ক্যাপসিকাম ,অনিয়ন দিয়ে এবং অন্যটি ছিল ক্যাপসিকাম ,অনিয়ন এবং টমেটো দিয়ে। গরম গরম পিৎজার উপর চিলি ফ্লেক্স এবং
ওরেগানো ছিটিয়ে দিয়ে বাড়ির সবাই মিলে এটাকে এনজয় করেছিলাম।



ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: বারাসাত , নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।



বন্ধুরা, বাড়িতে নিজের তৈরি করা পিৎজা খাওয়া নিয়ে শেয়ার করা এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানিও। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

আপনি নিজের হাতে পিৎজা তৈরি করেছেন কিন্তু দেখে বোঝাই যাচ্ছে না ভাইয়া এটা আপনার নিজের হাতে তৈরি। দেখতে খুবই অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া জানিনা খেতে কেমন হয়েছে কমেন্ট রিপ্লের মাধ্যমে জানাবেন। পিৎজা তৈরি পুরো প্রসেসটা আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

ভাই, খেতেও খুব অসাধারণ হয়েছিল, সবাই খেয়ে বেশ প্রশংসা করছিল আমার তৈরি করা পিৎজার।

প্রশংসা পাওয়ারই কথা ভাই। বেশ চমৎকার হয়েছিলো।

আপনি নিজের হাতে যেভাবে এই পিৎজা তৈরি করেছেন এটিকে একদমই হোটেলের মতো দেখা যাচ্ছে যা একদম সুন্দর হয়েছে৷ আর এটি দিয়ে আপনি আপনার রাতের ডিনার সেরে ফেলেছেন শুনে খুবই ভালো লাগলো। এরকম সুস্বাদু একটি খাবার দিয়ে রাতে ডিনার করলে মনে অনেকটা শান্তি চলে আসে।

হ্যাঁ ভাই এটা কিন্তু ঠিক কথা বলেছেন, দেখে বোঝার উপায় নেই এটি বাড়িতে তৈরি করা নাকি অন্য কোন জায়গা দিয়ে কিনে আনা।

দাদা রেসিপিটা দিলে আমাদের ভাল হতো নিজেরাও বাড়িতে বানিয়ে খেতাম।নিশ্চিত ভাল হবে না তারপরেও নিজে বানিয়ে খাওয়ার মধ্যে একটা তৃপ্তি আছে।ভাল ছিল পোস্টা ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

ঠিক আছে ভাই, অন্য কোনদিন পিৎজা করলে সেই রেসিপিটি অবশ্যই আপনাদের সাথে শেয়ার করব। এই দিন একটু এলোমেলোভাবে এটি তৈরি করেছিলাম সেই জন্য তৈরি করার স্টেপগুলো ফটো তুলে রাখতে পারিনি।

আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম এটা হোটেল থেকে অর্ডার করে নিয়ে আসা হয়েছে ভাইয়া। এত সুন্দর ছিল নিজের তৈরি পিৎজা দিয়ে রাতের ডিনার। রাতের ডিনার অনেক মজার ছিল। অনেক সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে পিজ্জা তৈরি করেছেন আমি শিখে নিতে পেরেছি। ধন্যবাদ নতুন একটি জিনিস শিখতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।

সেটা তো অবশ্যই রাতের ডিনারটি বেশ মজাদার ছিল ওই দিন। প্রথমে দেখে বোঝার উপায় নেই ভাই এটি বাড়িতে তৈরি করা নাকি অন্য কোন হোটেল থেকে কিনে নিয়ে আসা।

পিৎজা যে আপনার অনেক পছন্দের এটা বুঝতেই পারছি। আপনি একেবারে বাড়িতে পিৎজা তৈরি করার চেষ্টা করে ফেলেছেন এবং সফলও হয়েছেন। এটা ঠিক বাড়িতে তৈরি করলে বাইরে পিৎজা খাওয়ার থেকে দাম অনেক কম পড়ে। চমৎকার তৈরি করেছেন পিৎজা টা ভাই। দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে পিৎজার বিষয়টি শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

Posted using SteemPro Mobile

হ্যাঁ ভাই পিৎজা আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। পিৎজা এমনই জিনিস ভাই দেখলেই নিজের ভিতর লোভ চলে আসে । 🤭

একদম ঠিক বলছেন ভাইয়া একটা পিজ্জা বাইরে খেতে গেলে অনেক টাকা খরচ হয়। তাছাড়া যথেষ্ট পরিমাণ যদি খেতে ইচ্ছে করে তাহলে আরো বেশি টাকা খরচ হয়। যদি এভাবে বাড়িতে পিজ্জা তৈরি করা যায় তাহলে তো বেশ ভালোই। তবে আমি কখনো তৈরি করিনি তবে করার ইচ্ছে আছে। রেসিপিটি শেয়ার করলে ভালো লাগতো আপনার। পিজ্জার কালার টা দারুণ ছিল।

পিৎজা তৈরি করার ইচ্ছা যখন আপনার আছে আপু কোন একদিন সময় করে বাড়িতে তৈরি করে দেখবেন । খুব একটা জটিল কাজ না, কয়েকবার প্র্যাকটিস করলেই ভালোভাবে পিৎজা তৈরি করতে পারবেন আশা করি।

ইস্ দেখেন তো কত বড় দূভাগ্য আমার। আপনার মতো একজন দাদা থাকলে কত ভালোই না হতো। মাঝে মাঝে আমাকে এমন করে পিৎজা বানিয়ে খাওয়াতে পাড়তো। আপনি যে এত সুন্দর করে পিৎজা বানাতে পারেন সেটা তো জানাছিল না। দারুন লোভনীয় হয়েছে কিন্তু।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর করে গুছিয়ে কথাগুলো বলার জন্য। খুবই ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে।

আপনি পিজ্জা খুব পছন্দ করেন সেটা আমরা জানি।তবে বাইরে না খেয়ে নিজের হাতে করে খেয়েছেন এটা খুব ভালো অভ্যাস।আসলে বাইরের খাবার স্বাস্থ্য সম্মত নয়।আপনি পিজ্জা করবেন তাই মা আর দাদা আপনাকে কিছু কিছু হেল্প করলো।চমৎকার হয়েছে আপনার পিজ্জাটি।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

বাইরে থেকে পিৎজা কিনে খেতে গেলে অনেকটা টাকা খরচ হয়। সেই জন্য এইগুলো বাড়িতে বানিয়ে খাওয়া যেমন টাকার দিক থেকে লাভজনক তেমন স্বাস্থ্যসম্মত।

বাহ্দা দা আপনি তো বেশ ভালো পিজ্জা বানান। আপনার তৈরি পিজ্জা দেখে তো আমার খেতে ইচ্ছা করছে। নিজের তৈরি পিজ্জা দিয়ে রাতের ডিনার সেরেছেন জেনে ভালো লাগলো দাদা। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে আপনার মন্তব্যটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।