বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমি মোটামুটি ওকে আছি। |
---|
আমাদের পশ্চিমবঙ্গের মায়াপুর নামক জায়গায় পৃথিবীর সব থেকে বড় ইসকন মন্দির করা হয়েছে, এই বিষয়টি যেদিন থেকে শুনেছি সেদিন থেকে আমার মায়াপুরে গিয়ে সেই মন্দিরটি দেখার ইচ্ছা ছিল। তবে শুধু ইচ্ছা থাকলে তো হয় না, আমার বাড়ি থেকে যেহেতু এই জায়গাটি অনেক দূরে অবস্থিত ছিল এই জন্য এইখানে যাওয়ার জন্য সহজে কোন প্ল্যান করা যাচ্ছিল না। তাছাড়া সাথে কেউ না থাকলে এরকম জায়গায় গিয়ে ঘুরে মজা পাওয়া যায় না। আর যাওয়ার সাথী জোগাড় করতে গেলেও অনেক ঝামেলা কারণ অনেকটা দূরের পথ এবং অনেক সময়েরও ব্যাপার এই জন্য সব সময় সবাইকে রাজি করাও সম্ভব হয় না।
তবে এক দিক দিয়ে হিসাব করতে গেলে আমি লাকি কারণ আমার কাউকে রাজি করাতে হয়নি মায়াপুরে যাওয়ার জন্য। আমার এক বান্ধবী এবং বান্ধবীর দিদি আমাকে মায়াপুরে যাওয়ার জন্য বলেছিল কয়েক মাস আগে। আমি এই বিষয়টা শুনে প্রথমে অনেক খুশি হয়েছিলাম কারণ মনে মনে অনেকদিন ধরে আমিও সেখানে যাওয়ার কথা ভাবছিলাম। যাইহোক তখন আমরা এমন প্ল্যান করেছিলাম তিনজন একসাথে মায়াপুরে গিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখব । যাইহোক মায়াপুরে যাওয়ার জন্য আমাদের নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রথমে আমাদের দমদমে যেতে হয়েছিল। তারপর দমদম থেকে পুনরায় ট্রেনে চড়ে আবার বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট নামক একটি স্টেশনে নামতে হয়েছিল আমাদের।
এই জার্নিটি বেশ কয়েক ঘন্টার ছিল । বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট না নেমে অন্যভাবেও এই মায়াপুরে যাওয়া যায় । তবে আমরা বিষ্ণুপ্রিয়া হল্টে নেমেছিলাম কারণ এই জায়গা থেকে আমরা নবদ্বীপের অন্য একটি মন্দিরে প্রথমে যাওয়ার প্লান করেছিলাম সেইজন্য। এই জায়গাটি আমাদের পরিচিত ছিল না । আমার বান্ধবীর দিদিই সব প্ল্যান করেছিল তার পরিচিত লোক ছিল ওই জায়গাতে তার মাধ্যমে । সে-ই সবকিছু গাইড করে দিচ্ছিল ফোন কলের মাধ্যমে। যাই হোক বিষ্ণুপ্রিয়া হল্টে নেমে টোটো ধরে আমাদের প্রথমে যাওয়ার প্লান ছিল ভজন কুঠি নামক একটি জায়গায়।
আমরা যে প্ল্যাটফর্মে নেমেছিলাম সেই প্ল্যাটফর্ম একদম ফাঁকা ছিল এবং অন্য প্ল্যাটফর্মে অনেক লোক ছিল সেজন্য আমরা নেমে কাউকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না, টোটো স্ট্যান্ড কোন দিকে সেটা জিজ্ঞেস করার জন্য। তবে আমরা নিজেরা নিজেরাই কিছুদূর হেঁটে গিয়ে এই টোটো স্ট্যান্ড পেয়ে যায় । সেখান থেকে ভজন কুটি যাওয়ার জন্য আমরা টোটো করে নি । নতুন ভজন কুটি এবং পুরনো ভজন কুটি নামক দুটি জায়গা ছিল সেখানে এই নিয়েও অনেকটা কনফিউশনে পড়ে যায় আমরা যাওয়ার সময়।
আমাদের এই কনফিউশন ক্লিয়ার হয় আমার বান্ধবীর দিদির সেই পরিচিত লোকের ফোন কল গাইডের মাধ্যমে। আমাদের তিনি নতুন ভজন কুটিতে যাওয়ার জন্য বলে কারণ এইখানে গেলে আমাদের সকালের খাবারের ব্যবস্থা হয়ে যাবে সেটাই মূল কারণ ছিল । ভজন কুটিতে যাওয়ার পথে আমরা রাস্তায় অনেক লোকের ভিড় দেখতে পাই যারা মূলত কৃষ্ণ নাম করতে করতে পথযাত্রা করছিল। যাই হোক আমরা সেখানে দাঁড়িয়ে কিছু সময় এইসব দেখি।
চলবে...
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট , ওয়েস্ট বেঙ্গল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মায়াপুর ভ্রমণ কাহিনী পড়ছিলাম আর ভাবছি সত্যিই সঙ্গী ছাড়া নতুন জায়গায় ভ্রমন বেশ কঠিন। তবে আপনাদের একজন গাইড করেছিল বিধায় ভালোই সাপোর্ট পেলেন। যাইহোক সামনের পর্বে বাকি ভ্রমন কাহিনী পড়া যাবে। ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পরবর্তী পর্ব খুব তাড়াতাড়িই শেয়ার করব ভাই । আশা করি দুই দিনের মধ্যেই সেটা পড়ার সুযোগ পাবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার ভ্রমন পোস্ট পড়ে ভরে বেশ ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া এমন ভ্রমণের সাথে যদি প্রিয়জন থাকে তাহলে আর কোন কথাই থাকে না। মায়াপুর ভ্রমণ দেখে মনে হচ্ছে জায়গাটা অনেক সুন্দর। সত্যি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপনার মায়াপুর ভ্রমণটা। ধন্যবাদ আপনাকে ভ্রমমণের অনুভূতিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু, মায়াপুর কতটা সুন্দর সামনের পর্ব গুলোতে তা আরো স্পষ্ট হয়ে উঠবে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit