বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমি মোটামুটি ভালো আছি। আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম। আজকের ব্লগে মায়াপুর ভ্রমণের উদ্দেশ্য যাওয়া নিয়ে তৃতীয় পর্বে কিছু কথা শেয়ার করব। |
---|
আমরা পরবর্তীতে যে মন্দিরের মধ্যে গেছিলাম তার বাইরের যে জায়গা ছিল সেখানেও জুতো পড়ে প্রবেশ করার অনুমতি ছিল না অর্থাৎ আমাদেরকে অনেকটা বাইরের জুতো খুলে মন্দির প্রাঙ্গনে প্রবেশ করতে হয়েছিল। এই মন্দিরে এক ঘন্টা পরে নাম কীর্তন অনুষ্ঠিত হবে এমনটা আমাদের সেই পরিচিত লোকটি বলছিল এবং আমাদের এইখানে সেই সময়টাতে থাকার জন্য বলেছিল। তবে আমরা অনেকগুলো জায়গা ঘুরে দেখব সেই উদ্দেশ্য নিয়ে মায়াপুর গেছিলাম তাই এক জায়গায় বেশি সময় আমরা আর থাকতে চাই নি। যাই হোক তাড়াতাড়ি করে আমরা ঐ মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করে আশেপাশের সব কিছু দেখি এবং মন্দিরের ইতিহাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি।
মন্দিরটি কয়েকটা অংশে বিভক্ত ছিল। এক এক জায়গায় এক একজন মহাপুরুষের মূর্তি ছিল । একটি জায়গায় গিয়ে দেখি একজন মহাপুরুষের মূর্তিতে পুজোও হচ্ছে। যারা বড় বড় কৃষ্ণভক্ত ছিলেন এবং মহান কোন কাজ সম্পন্ন করেছিলেন পূর্বে, তাদেরই মূর্তি কয়েক জায়গায় গিয়ে দেখতে পেয়েছিলাম। এই জায়গার সবকিছু দেখা হয়ে যাওয়ার পর আমরা মন্দিরের পাশে থাকা একটি বাড়িতে যাই। আমাদের জল তেষ্টা পেয়ে গেছিল সেজন্য সেই বাড়িতে গেছিলাম জল খাওয়ার জন্য। সেখানে যাওয়ার পর আমরা কিছুটা রেস্ট করার সময়ও পেয়ে যাই। সেদিন রোদের বেশ তাপ ছিল তাই ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছিলাম বারবার।
যাই হোক, আমরা সেই জায়গাটিতে অনেক সময় কাটিয়ে অন্য একটি জায়গায় গেছিলাম টোটো করে। সেই জায়গার মন্দিরটা অনেক বড় ছিল। সেদিন সেখানে বড় কোনো পুজো হচ্ছিল। আমরা যে জায়গাটাতে গেছিলাম সেটা ছিল কৃষ্ণ ভক্তদের জায়গা অর্থাৎ সব থেকে কৃষ্ণ মন্দির বেশি ছিল। এই জায়গাটিতে যাওয়ার পর হাজার হাজার লোকের ভিড় সামনে আসে। আমরা যে গলি দিয়ে ঢুকেছিলাম সেই গলি থেকেই ভিড়ের সূত্রপাত শুরু হয় । মন্দিরের ভিতরে ছিল অসংখ্য লোক। এইখানে গিয়ে ভালো করে প্রবেশও করতে পাচ্ছিলাম না সামনের দিকে। তবে অনেক কষ্টে সামনের দিকে যাই। এখানে যাওয়ার পরে আমরা যে যার মত করে আলাদা হয়ে গেছিলাম এই ভিড়ের ধাক্কায়।
যদিও ফোন করে কে কোথায় আছে সেটা জানার চেষ্টা করি আমি তবে সেখানে এত পরিমাণ সাউন্ড হচ্ছিল ভালো করে শুনতে পাচ্ছিলাম না একে অন্যের কথা। সেই জন্য এইখানে গিয়ে যে যার মত করে এইখানের পুজো দেখতে হয় আমাদের। এখানের ঠাকুর দর্শন করা অনেক বড় ব্যাপার ছিল আমাদের জন্য। এই জায়গা থেকে পুজো দেখা সম্পন্ন করে বাইরে এসে, আমাদের সেই পরিচিত লোকের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমরা মায়াপুরের সব থেকে বড় ইসকন মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা করি।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট , ওয়েস্ট বেঙ্গল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমরা যখন কিছুদিন আগে মায়াপুর ইস্কন মন্দিরে ঘুরতে গেছিলাম, তখন শুধুমাত্র ওই বড় মন্দিরটা দেখে এবং ভেতরে ঢুকে খাওয়া-দাওয়া করেই বাড়ি চলে এসেছিলাম সন্ধ্যার আগে। এই জায়গাগুলো আমাদের যাওয়া হয়নি। তবে একটা কথা বুঝেছিলাম এখানে গিয়ে যে মানুষের মন মানসিকতা কতটা স্বচ্ছ এবং পবিত্র হয়ে যায়। সুযোগ পেলে আমি আরো একবার যাওয়ার চেষ্টা করব কিছুদিনের মধ্যে। যাইহোক আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি এখানে গিয়ে অনেক মন্দির ঘুরে ঘুরে দেখেছিলাম দিদি। বড় মন্দির টি দেখতে গেছিলাম সবার শেষে। আগামী পর্বেই সেই মন্দিরে যাওয়ার গল্প বলবো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit