নমস্কার সবাইকে,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমি তেমন একটা ভালো নেই । |
---|
সুস্থতা নিয়ে আর কি বা বলব? সবাই সুস্থতার গুরুত্ব খুব ভালোভাবেই বোঝে। আমি সব সময় হেলথকে প্রাধান্য দেই, তারপরও মাঝে মাঝে এমন ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি যার কোন উত্তর আমার কাছে থাকে না। এই বছর এই নিয়ে কয়েকবারই অসুস্থ হয়ে পড়লাম এবং যে কয়েকবার অসুস্থ হয়েছি বেশ কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে। এই বছর দুর্গাপুজোর পাঁচ দিন আগে থেকেই হঠাৎ করেই জ্বর শুরু হয় আমার। চারিদিকে ভাইরাল ফিভার হচ্ছিল সেজন্য ভেবেছিলাম তিন দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে এবং পুজোয় ঘোরাঘুরি করতে পারব। তবে জ্বর ১০২° ফারেনাইট এর বেশি থাকায় দুই দিন পর থেকেই প্যারাসিটামলের পাশাপাশি এন্টিবায়োটিকও খাওয়া শুরু করি।
যার ফলে জ্বর কমে যায় চার দিন থেকেই । তবে শরীরের দুর্বলতা একটুও কাটেনি তখনও , প্রচন্ডভাবে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। শরীর এতটাই দুর্বল হয়ে যায় যে , আমি গ্লাস ধরে জল পর্যন্ত খেতে পারছিলাম না। পুজো শুরু হয়ে যায় কিন্তু শারীরিকভাবে অসুস্থতার কারণে পুজোর প্রথম দিন থেকে বের হওয়ার কোনো সুযোগই আমি পাইনি। অষ্টমীর সন্ধ্যায় ভ্যান ভাড়া করে বারাসাতের পুজো প্যান্ডেল গুলো ঘুরে দেখে ছিলাম কারণ অষ্টমীর দিন একটু শরীর ভালো লাগছিল।
তারপর নবমী আসে, নবমীর দিনও শরীর ওকে থাকে সেজন্য সেই দিনেও বের হই। কিন্তু দশমীর দিন থেকে আবার কি হয় জানিনা শরীর হঠাৎ করে খারাপ হয়ে পড়ে। এন্টিবায়োটিক খাওয়ার পর ভেবেছিলাম আর হয়তো এই জ্বরের প্রবলেমটা ফেস করতে হবে না কিন্তু এন্টিবায়োটিক খাওয়ার পরও পুনরায় জ্বর আসে। পুনরায় আবার জ্বর আসলে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া এসব হয়েছে কিনা সেই ডাউট মনে চলে আসে। এই জন্য সবকিছু টেস্ট করানোর জন্য রক্ত পরীক্ষাও দিই।
একদিন পরেই রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট চলে আসে কিন্তু রিপোর্টে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াও কোন ব্যাপার থাকে না। তাই টেনশন একটু কম হয়। তবে শরীর আর ঠিক হয় না, প্রচন্ড মাত্রার কাশির, সর্দি সেই সাথে হালকা জ্বরের ব্যাপার গুলো থেকেই যায় । সর্দির প্রভাবে মাথা উঁচু করে বসে খেতেও পারছিলাম না এরকম পরিস্থিতি হয়েছিল মাঝে। আর কাশির কথা কি বলব, শুকনো কাশি দিতে দিতে বমি করে দেওয়ার মত পরিস্থিতি চলে আসে। কাশির ওষুধ, মধু, তুলসী পাতার রস, আদার রস কত রকমের ট্রাই করেছি কাশি ঠিক করার জন্য কিন্তু কোন কিছুতেই কেমন জানি কাজ হচ্ছে না । কাশি দিতে দিতে পেট, বুক পুরোপুরি ব্যথা হয়ে গেছে। এখন নড়াচড়া করতেই অসুবিধা হয়ে যাচ্ছে। এভাবে আর কতদিন এই অসুস্থতা ভোগ করতে হবে তা আমার জানা নেই। আমি এখন এই অসুস্থতা থেকে বের চাই এবং তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে চাই। এই অসুস্থ অবস্থায় এই ব্লগটি লিখলাম এবং জমে থাকা কথাগুলো তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রথমেই আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি ভাই। পূজার আগেই আপনি অসুস্থ ছিলেন, সেটা ডিসকর্ডের জেনারেল চ্যাটে বলেছিলেন। আমিও ভেবেছিলাম তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন। এন্টিবায়োটিক খেয়ে সুস্থ হওয়ার পর,আবারও অসুস্থ হয়ে গিয়েছেন,এটা জেনে ভীষণ খারাপ লাগলো। এতো ঔষধ এবং এতকিছু খেয়েও কাজ হচ্ছে না কেনো, সেটাই বুঝলাম না। অসুস্থ হলেই বুঝা যায় সুস্থতা সৃষ্টিকর্তার কতো বড় নেয়ামত। যাইহোক আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাই, মাঝে দুই-তিন দিনের জন্য একটু সুস্থ হয়েছিলাম পরে পুনরায় আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছি। কোন কিছুই করতে পারছি না ঠিকঠাক করে। আমার সুস্থতা প্রার্থনা করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার লেখাগুলো পড়ে বুঝতে পারলাম আপনার যথেষ্ট পরিমাণ ঠান্ডা লেগেছে। মনে হয় আপনি ঠান্ডা জাতীয় খাবার বেশি খেয়ে ফেলেছেন। আমার মনে হচ্ছে আপনাকে গ্যাস দিতে হবে না হয় আপনার বুকের কাশি চলে যাবে না। এই ধরনের কাশি গুলো এত সহজে যায় না যা আমার হয়েছিল। অনেক কষ্ট পেয়েছি আমি আমার কাশি হলে অনেক ভয় হয়। তো রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে জানতে পেরে ভালো লাগলো। আশা করি আপনি ভালো ডাক্তার দেখাবেন ভালো হয়ে যাবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আপু , অনেক ঠান্ডা লেগেছিলো আমার তখন। ঠান্ডা লাগা এখন ঠিক হয়ে গেলেও কাশি টা ঠিক হচ্ছে না। তবে কাশির জন্য সিরাপ খেয়ে যাচ্ছি। এই কাশি ঠিক হতে অনেক দিন সময় লাগছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit