দক্ষিণেশ্বর পুজো দিতে গিয়ে

in hive-129948 •  2 years ago 

বন্ধুরা,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো । সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আমিও অনেক ভাল আছি।

আজকের নতুন একটি ব্লগে প্রথমেই সবাইকে স্বাগতম জানাই। আজ সারাদিন অনেক ব্যস্ত ব্যস্ত কেটেছে। আজ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে গেছিলাম দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির পুজো দিতে। এর আগের দিনের একটি ব্লগে আমি শেয়ার করেছিলাম আমাদের বাড়িতে আমার এক মামাতো বোন এবং বোনের বর এসেছে। তাদের সাথে নিয়েই দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরে গেছিলাম আজ পুজো দিতে। পুজো দিতে যাব সেই জন্য সকাল ছয়টার একটু পর ঘুম থেকে উঠেছিলাম কিন্তু আমাদের দক্ষিণেশ্বরের উদ্দেশ্যে রওনা করতে করতে সকাল আটটা বেজে গেছিল। যাই হোক নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রথমে আমরা দমদম স্টেশনে নেমে, দমদম মেট্রোরেলে করে আমরা দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে গিয়ে পৌঁছায় ।সেখানে গিয়ে তো আমাদের মাথায় হাত পুজো দেওয়ার জন্য লম্বা লাইন দেখে ।

20221204_105245.jpg

20221204_095506.jpg

20221204_104138.jpg

আজ রবিবার আমাদের এইখানে ছুটির দিন ছিল তাই খুব ভিড় হয়েছিল । বিভিন্ন জায়গা থেকে আজ সপরিবারে এখানে পুজো দিতে এসেছিল। মন্দিরের মধ্যে সাধারণত মোবাইল নিয়ে যেতে দেয় না সেই জন্য আমরা যারা যারা সেখানে গেছিলাম সবাই মন্দিরের মধ্যে যেতে পারিনি। একজনকে বাইরে থাকতে হতো সব কিছু দেখে শুনে রাখার জন্য তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমি বাইরে দাঁড়িয়ে থাকবো এবং বাকি সবাই মন্দিরের ভিতরে যাবে পুজো দেওয়ার জন্য। যাই হোক আমার সাথে যেহেতু আমার দাদাও গেছিল তাই দাদা সবাইকে নিয়ে মন্দির এর ভিতর চলে যায়। তারা চলে যাওয়ার পর আমি বাইরে অপেক্ষা করতে থাকি তারা কখন পুজো দিয়ে ফিরবে সেই জন্য। আমি মন্দিরের বাইরে কিছু সময় বসে থাকি তারপর একটু হাঁটাহাঁটি করি । প্রথমে মন্দির প্রাঙ্গনে ঘোরাঘুরি করে পর্যেক্ষণ করার চেষ্টা করি মানুষ কোথায় কি করছে সেসব। মা কালীর খুব ভক্তরা এখানে নিয়মিতই মা কালীর পুজো দেয়ার জন্য আসে। প্রত্যেকের মধ্যে অনেক শ্রদ্ধাবোধ আমি তাদের কথাবার্তায় বুঝতে পারি।

20221204_095455.jpg

20221204_095344.jpg

20221204_095349.jpg

আমি একা একা যখন বোর হয়ে যাচ্ছিলাম তখন কিছু সময় গঙ্গার পড়েও গেছিলাম। গঙ্গার পাড়ে গিয়ে আমার বেশ ভালো লাগছিল। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর সবার সাথে আমার দেখা হয় । সবাই অনেকটা হাঁপিয়ে গেছিল অনেকটা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে। পুনরায় আমি গঙ্গার পাড়ে যাই সবার সাথে। সেখান থেকে একটা জলের বোতল কিনে গঙ্গাজল ভরে নি। এই গঙ্গা জলকে আমরা খুব পবিত্র মনে করি তাই সব বাড়িতে রাখি, সেই উদ্দেশ্যে আমরা এই জল নিয়ে আসি। পুজো কমপ্লিট করার পর সবাইকে নিয়ে মন্দিরের মধ্যে আরো কিছুটা সময় ঘোরাঘুরি করে আমরা বেলুর মঠের উদ্দেশ্যে রওনা করি। মূলত আজ বোন এবং বোনের বরের পুজো দেওয়ার ইচ্ছাটা ছিল, সেই ইচ্ছাটা পূরণ করার জন্যই আমরা গেছিলাম এবং সেই উদ্দেশ্য সফল করেই আমরা বাড়িতে ফিরেছিলাম।

20221204_095445.jpg

20221204_095338.jpg

20221204_095333.jpg
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
লোকেশন: দক্ষিনেশ্বর কালী মন্দির , কলকাতা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।

20221204_095315.jpg

সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

🛕🛕 ধন্যবাদ সবাইকে 🛕🛕

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনি তো দেখছি পূজো দিতে গিয়েও আর দিতে পারেননি এই ভিড়ের জন্য। অবশ্য ছুটির দিন সব জায়গায় এমনিতেই মানুষের আনাগোনা বেশি থাকে আর পবিত্র স্থানে তো আরও বেশি ভিড় থাকে। তাদের পূজো দিতে পাঠিয়ে আপনি একা দাঁড়িয়ে ভুল করেছেন।কারণ এভাবে একা একা দাঁড়িয়ে থাকার চেয়ে যাওয়াই ভালো ছিল। যাই হোক অবশেষে একঘন্টা পর তাহলে দেখা পেলেন।ধন্যবাদ।

একজনকে বাইরে থাকতেই হতো কারণ সবার কাছেই মোবাইল ছিল আর মোবাইল নিয়ে মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করার কোন অনুমতি ছিল না। তাই সবকিছু নিয়ে আমি বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম সেই জন্য আর ভিতরে যেতে পারিনি।

আপনি দেখছি মন্দিরে ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। আপনার বোন ও বোনের বরকে ভিতরে পূজা দিতে গিয়েছে, আর এদিকে পূজা বাইরে ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন। আর সব জায়গায় এভাবে লম্বা লাইন ধরতে হয়।আপনার মন্দিরের জায়গাটা কিন্তু অনেক সুন্দর, ধন্যবাদ।

সেই দিন ছুটির দিন ছিল এই জন্য এখানে লোকের খুব ভিড় হয়ে গেছিল। সবাই পুজো দিতে মন্দিররের ভিতরে চলে গেছিল বলে আমি বাইরে একটু ঘোরাঘুরি করছিলাম। হ্যাঁ আপু মন্দিরের ভিতরটা সত্যি অনেক সুন্দর ছিল।

দাদা দক্ষিনেশ্বরে তো সেই ভিড় দেখে বুঝলাম।আসলে লাইন টেনে পূজা দেওয়াটা যেমন কষ্টকর তেমন বিরক্তিকর ও বটে।তাছাড়া যেহেতু মন্দিরের ভিতরে পূজা দিতে গেলে ফোন নিয়ে যেতে দেয় না সেহেতু তুমি বাইরে দেখাশুনার জন্য থেকে ভালো করেছো।কারন অপরিচিত মানুষকে বিশ্বাস করা ও যায় না বর্তমানে।যাইহোক সুন্দরভাবে সবকিছু সম্পন্ন হয়েছে এবং তোমার বোনের বরের পুজো দেওয়ার ইচ্ছাটাও পূরণ হয়েছে জেনে ভালো লাগছে।ধন্যবাদ দাদা।

মোবাইল এখন সবার কাছে একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এজন্য অপরিচিত কারো কাছে দিয়ে যাওয়াটা ঠিক হবে না বলে আমার মনে হয়েছিল। সেই জন্য সবকিছু নিয়ে আমি বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলাম আর অন্য সবাই পুজো দিতে মন্দিরের ভিতরে চলে গেছিল।