ভ্রমণ || দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের উদ্দেশ্য (পর্ব - ০১)

in hive-129948 •  3 days ago 

নমস্কার,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও বেশ ভালো আছি।

বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে ভ্রমন রিলেটেড একটি পোস্ট আসলে শেয়ার করবো। আসলে এটি এক দিকে ভ্রমণ অন্যদিকে ঠাকুরের পুজো দিতে যাওয়ারও উদ্দেশ্য নিয়ে যাওয়া। ঘোরাঘুরি করতে আমরা অনেক ভালবাসি। একটু সময় পেলেই আমাদের কোথাও না কোথাও ঘুরে আসার ইচ্ছা হয়। আমার ঘোরাঘুরি ইচ্ছা হলে আমি যখন গ্রামের দিকে যাই প্রকৃতির মাঝে ঘোরাঘুরি করি তেমনি মাঝে মাঝে বিভিন্ন মনদিরেও গিয়ে থাকি। আসলে মন্দিরে গেলে কিছুটা শান্তি পাওয়া যায়। খুব বেশি পুজো আর্চনা আমি বাড়িতে করি না। তবে মাঝে মাঝে মন্দির দর্শনে আমি যাই। আর সেগুলো করার ফলে মানসিক ভাবে একটা তৃপ্তি আমি পেয়ে থাকি। যাইহোক, আমাদের এই ওয়েস্ট বেঙ্গলে ফেমাস কালী মন্দির হচ্ছে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির। কয়েকদিন আগে এক বন্ধুর সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছিলো।

20241110_071947.jpg

20241110_064303.jpg

20241110_064241.jpg

সেই সময় এই দক্ষিণেশ্বরে যাওয়ার বিষয়টি সামনে আছে আমাদের। আসলে আমরা বন্ধুরা মিলে মাঝে মাঝে এই পুজো করার জন্য দক্ষিণেশ্বরে গিয়ে থাকি। এর আগেও কয়েকটি ব্লগে যদিও এটি তোমাদের সাথে শেয়ার করেছি। তবে সেগুলো কয়েক বছর আগেই শেয়ার করেছিলাম। যাইহোক, এই বছরে আর এই দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। কয়েকবার ভেবেছিলাম দুর্গাপুজো এবং কালীপুজোর সময় সেখানে যাব। তবে বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে সেখানে যাওয়া হয়নি। সেই কারণে কয়েকদিন আগে আমার এক বন্ধুর সাথে প্ল্যান করে চলে যাই এই দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের উদ্দেশ্যে। এখানে যাওয়া খুব বেশি প্যাচানো পথ না।তবে এগুলো আমাদের বাড়ির কাছে না বেশ কিছুটা পথ যেতে হয়। আমাদের নিকটবর্তী স্টেশন থেকে প্রথমে দমদমে গিয়ে নামতে হয় সেখান থেকে মেট্রো ধরেও সহজে দক্ষিণেশ্বরের এই মন্দিরে যাওয়া যায়। আবার নরমাল ট্রেন ধরেও সেখানে যাওয়া যায়। তবে এবার আমরা যখন গেছিলাম নরমাল ট্রেনে করেই গেছিলাম দমদম থেকে। সেখান থেকে মাত্র দুই স্টেশনের পর এই দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির।

20241110_064251.jpg

20241110_071142.jpg

আমরা দুই বন্ধু মিলে সকালের দিকেই সেই জায়গায় গেছিলাম। আসলে সকালের দিকে পুজো দেওয়ার ব্যাপারগুলো থাকে তাই আমরা সকালেই সেইখানে গেছিলাম। অন্য সময় গেলে সেখানে পুজো দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। যাইহোক, দমদমে নামার পরে যখন আমরা পুনরায় ট্রেন ধরে এই দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে পৌছাই তখন এখানে বেশ কম ভিড় ছিল। অন্যান্য বার যখন যাই একটু বেশি ভিড় থাকে। আমরা দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে নেমে পায়ে হেঁটে মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা করি। এই মন্দিরের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে আমাদেরকে স্কাইওয়াকের উপর দিয়ে হেঁটে যেতে হয়। এটি কয়েক বছর আগেই করা হয়েছে, খুব সুন্দর একটি জায়গা। আগে যদিও যেতে অনেকটা প্রবলেম হতো রাস্তা পারাপার নিয়ে। তবে এই স্কাইওয়াক হওয়ার কারণে অনেকটাই সুবিধা হয়ে গেছে মন্দিরে পৌঁছানোর ব্যাপারটা। যাইহোক, স্কাইওয়াকের উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আমরা দুই বন্ধু এগিয়ে চলি এই মন্দিরের উদ্দেশ্যে। এই সময় যদিও আমি একটি ভিডিওগ্রাফি করেছিলাম। তা তোমাদের সাথে অন্য কোন ব্লগে শেয়ার করবো। যাইহোক, যখন মন্দিরের মূল গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করি একটা আলাদাই ভালো লাগা কাজ করছিল।

20241110_071134.jpg

20241110_071332.jpg

চলছে...


পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীট্রাভেল
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনদক্ষিণেশ্বর, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, আজকের এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

IMG_20220728_164437.jpg

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

First_Memecoin_From_Steemit_Platform.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

দক্ষিণেশ্বরের পরিবেশটা এখন অনেক বদলে গিয়েছে। বেশ কিছু বছর আগে যখন যেতাম তখন এত বোঝানো ছিল না। এখন স্কাইওয়াক হয়ে গিয়ে বেশ অন্যরকম হয়ে গেছে। তাই হোক এর উপর দিয়ে হাঁটতে ভালোই লাগে কারণ অনেক দোকান পাতি রয়েছে যেগুলো দেখতে বেশ লাগে। তবে জিনিসপত্রের দাম তুলনামূলকভাবে একটু বেশি হয় তাই কেনাকাটা করতে একেবারেই মন চায় না। যাই হোক পরবর্তী পর্বে নিশ্চয়ই আপনি লিখবেন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে কিভাবে লাইন দিলেন বা মোবাইল রাখলেন ইত্যাদি গল্প।

আপনি আপনার বেশ কয়েকজন বন্ধু সহ দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির গিয়েছিলেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনারা নরমাল ট্রেন ব্যবহার করে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরে গিয়েছিলেন। আশা করছি আমরা খুবই তাড়াতাড়ি দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরে যাওয়ার পরবতী ধাপ দেখতে পারবো।