লাইফ স্টাইল || কোন কারণ ছাড়াই শপিং মলে যাওয়া ।

in hive-129948 •  4 months ago 

নমস্কার,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি।

বন্ধুরা, তোমরা সবাই জানো যে আমাদের বাড়ির কাছাকাছি বড় একটি শপিংমল রয়েছে। এই শপিং মলটির নাম হলো স্টার মল। এটি আমাদের বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরেই এই অবস্থিত। পায়ে হেঁটে এখানে যেতে মোটামুটি আমার ১৮ থেকে ২০ মিনিটের মতো সময় লাগে। বাড়ির কাছাকাছি বড় একটি শপিংমল থাকায় মাঝে মাঝে এখানে চলে যাই। কোন কোন সময় শপিং করতে যাই। আবার কোন কোন সময় কোন কারণ ছাড়াই চলে যাই শপিংমল ঘুরে দেখার জন্য। অনেকে আবার ভাবতে পারে শপিংমল ঘুরে দেখার কি আছে। তবে এই অভ্যাসটা আমার অনেক বছর আগে থেকেই রয়েছে। কোন কাজ না থাকলে শপিংমলে চলে যেতাম শপিং মল ঘুরে দেখার জন্য।

20240401_194926.jpg

20240401_194934.jpg

20240401_194914.jpg

সেখানে গিয়ে মানুষদের চলাফেরা কেনাকাটা করা এসব দেখতে আমার বেশ ভালই লাগতো তাছাড়া শপিংমলে গেলে নতুন নতুন অনেক কিছুই দেখা যায়। শপিংমলে সবকিছু অনেক সুন্দর করে সাজানো থাকে। এই গোছানো ব্যাপার গুলো দেখতেও আমার বেশ ভালো লাগে। তাছাড়া কোন জিনিসের কি রকম দাম চলছে সেখানে গিয়ে একটা ধারণাও পাওয়া যায়। আর শপিংমলে গিয়ে যদি কোন জিনিস অফারে পাই তাহলে তো সেখান থেকে কিনেই নিয়ে আসি। এভাবে অনেকগুলো উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে যায় কোন কারণ ছাড়াও শপিং মলে গেলে। অনেক আগে অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় সাত থেকে আট বছর আগে আমি যখন স্কুলে পড়তাম তখন গরমের সময় চলে যেতাম এই শপিংমলে একটু এসির হাওয়া খাওয়ার জন্য। এইখানে গেলে একটা আলাদা শান্তি লাগতো তবে মাঝে মাঝে স্কুল ড্রেস পড়া থাকতো সেজন্য মাঝে মাঝে শপিং মলে ঢুকতে দিত না।

20240401_194906.jpg

20240401_194350.jpg

শপিং মলের কি রুলস ছিল জানিনা স্কুল ড্রেসে অ্যালাউ করত না কারণ আমরা দুপুরের সময়টাতে যেতাম আর ওরাও বুঝতে পারত যে স্কুল ফাঁকি দিয়ে শপিংমলে এসেছে। এইজন্য হয়তো অনেক সময় না করতো। তবে এই ব্যাপারটা এখন আছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। যদিও সেটা অন্য শপিংমল ছিল যেটা আমার স্কুলের কাছাকাছি অবস্থিত ছিল। যাইহোক, এই শপিংমলে এরকমটা কখনোই করিনি। কয়েকদিন আগে বাড়িতে বসে থাকতে ভালো লাগছিল না তাই বিকেলের পর পর চলে গেছিলাম এই শপিংমলে। প্রথমে গিয়ে শপিং মলের নিচ তলায় ভালো করে ঘুরে ঘুরে দেখি তারপর চলমান সিঁড়ি দিয়ে কয়েকবার উপরে যাই আবার নিচে আসি। এরকম করে করে মানুষজন এবং আশেপাশের সবকিছু দেখে বেড়াচ্ছিলাম। শপিং মলের উপরের দিকটাতে বডি ম্যাসাজের মেশিন ছিল।

20240401_194335.jpg

20240401_194322.jpg

সেখানে এসে মানুষ ১৫ মিনিট ১০০ টাকার বিনিময়ে বডি ম্যাসাজ করছিল। এগুলো দেখতেও আমার বেশ ভালো লাগছিল। এগুলো দেখেও আমার বডি ম্যাসেজের ইচ্ছা হয়। আমিও সেখানে ১০০ টাকা খরচ করে ১৫ মিনিটের জন্য বডি ম্যাসাজ নেই। যদিও সেই সময়টাতে ফোন পকেটে থাকার কারণে কোন ফটো বা ভিডিওগ্রাফি করার সুযোগ পায়নি। তবে বডি ম্যাসাজ করে বেশ ভালো লেগেছিল এটা তো বলতেই হয়। তবে ১৫ মিনিট হিসেবে ১০০ টাকা আমার কাছে অনেকটা বেশি মনে হয়েছিল। তারপর ঘুরতে ঘুরতে চলে যাই পোশাক সেকশনে। দেখতে গেছিলাম কোন অফার আছে কিনা। কারণ সেদিন পোশাক সেকশনে গিয়ে সেরকম কোন অফার দেখলাম না। এজন্য কোন প্রকার কোন পোশাক কেনার কোন ইন্টারেস্ট জাগলো না।

20240401_194312.jpg

20240401_194307.jpg

পোশাকের সেকশন ঘোরাঘুরি করে চলে গেছিলাম একটু চা খাওয়ার উদ্দেশ্যে যদিও শপিংমলে গিয়ে চা খাওয়া অনেকটাই ব্যয়বহুল। তবে যেহেতু একাই ঘুরতে গেছিলাম তাই এক কাপ চা খেলে খুব বেশি খরচ হবে না। সেজন্য ভেতরের ফুট কোর্টে বসে এক কাপ চা খেয়ে নিই। চায়ের দাম মোটামুটি ১২০ টাকার মত নিয়েছিল। বাইরে থেকে এই চা কিনে খেতে গেলে মোটামুটি ৩০ টাকার মত হবে। তবে শপিংমলে স্বাভাবিক এসব খাবার একটু ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। সেদিন একা একা শপিং মলে গিয়ে একটু আজব ফিল হচ্ছিল। কারণ সবাই কারো না কারো সাথে যায় আমি সেদিন একাই গেছিলাম এবং একাই ঘুরে বেড়িয়েছিলাম একাই চা খেয়েছিলাম। যদিও মাঝে মাঝে একা ঘুরে বেড়ালে একটা আলাদা এক্সপেরিয়েন্স হয়। যাইহোক, বিনা কারণে সেদিন এরকমভাবে শপিংমলে আমার ঘোরাঘুরি হয়। মাঝে মাঝে এরকম অভিজ্ঞতা অর্জন করা বেশ ভালো কাজ।


পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীলাইফ স্টাইল
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনমধ্যমগ্রাম, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, আজকের এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

IMG_20220728_164437.jpg

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন ভাইয়া মাঝে মাঝে কারণ ছাড়াই শপিং মলে গিয়ে ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আর আপনি দেখছি বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করছেন। আর সেইসাথে ছবি তুলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য এবং দারুন সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ আপু , সেদিন বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছিলাম আমি। যাইহোক, আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো যে আপনার কাছে দারুন লেগেছে, সেটা জেনে খুব খুশি হলাম।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

শপিং মহলে কেনাকাটা ছাড়া ঘুরেও অনেক আনন্দ পাওয়া যায়। তবে শেষমেষ চা খেয়ে ১২০ টাকা হাদিয়া দিতে হলো। 😊 তবে আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো।

তবে শেষমেষ চা খেয়ে ১২০ টাকা হাদিয়া দিতে হলো। 😊

ভাই, এই ধরনের জায়গায় চা খেতে গেলে এরকম বেশি টাকা দিয়েই খেতে হয়।

সময় পেলে এভাবে শপিংমলে ঘোরাঘুরি করতে ভালোই লাগে। আপনি দেখছি অনেক সময় ঘোরাঘুরি করলেন। আবার ১০০ টাকা দিয়ে 15 মিনিটের জন্য শরীরও মেসেজ করে নিলেন। ১০০ টাকা দিয়ে 15 মিনিট মেসেজ খুব একটা বেশি নেয়নি। আপনার শপিং মলে ঘোরার অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

১০০ টাকা দিয়ে 15 মিনিট মেসেজ খুব একটা বেশি নেয়নি।

আমার কাছে একটু বেশি মনে হয়েছিল আপু। যেহেতু মেশিনে বডি ম্যাসাজ করছিল তাই ১০০ টাকা নিয়ে কুড়ি মিনিট বডি ম্যাসাজ করলে আমার কাছে ঠিক মনে হত।

ভাইয়া আপনি কোন কারন ছাড়াই শপিংমলে গিয়েছেন এবং সেখান থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আমরাও মাঝে মাঝে কোন কারন ছাড়াই শপিংমলে যাই। কিন্তু কোন কারণ ছাড়াই শপিং মলে গেলেই ফেঁসে যাই, কোন একটা জিনিস যদি অনেক পছন্দ হয় সেটা না নিয়ে আর বাড়ি আসতে মন চায় না। শেষমেষ কি আর করার, একটু হলেও কেনাকাটা করতেই হয়। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

কিন্তু কোন কারণ ছাড়াই শপিং মলে গেলেই ফেঁসে যাই, কোন একটা জিনিস যদি অনেক পছন্দ হয় সেটা না নিয়ে আর বাড়ি আসতে মন চায় না।

এমনটা অনেকের সাথেই হয় আপু। যাইহোক, আমার শেয়ার করা এই পোস্টটি যে আপনার কাছে সুন্দর লেগেছে, এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো আপু। আপনার এই সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

সু স্বাগতম ভাইয়া।