বন্ধুরা ,
সবাই তোমরা কেমন আছো ? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। |
---|
আমার বিগত কয়েক দিনের ব্লগগুলো যারা পড়েছ তারা নিশ্চয়ই জানো কিছুদিন ধরে আমি জ্বরে ভুগছি। আজ চার দিন হচ্ছে জ্বর হয়েছে। জ্বরের সাথে সর্দি-কাশি সেগুলোও রয়েছে এই জন্য বেশ একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে আছি। মাঝে মাঝে জ্বর বাড়ছে আবার কমছে এইজন্য এটা ভাইরাল জ্বর কিনা তাও ঠিক বুঝতে পারছি না। অনলাইনের মাধ্যমে একটা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেয়ে যাচ্ছি আর কি। এই জ্বররের কারণে সারাদিন শুয়ে থাকতে হচ্ছে। কোন কিছু করার ইচ্ছা হচ্ছে না এছাড়াও খাওয়া দাওয়াও ঠিকঠাক মতো করতে পারছি না। শুয়ে বসে কোন কাজ না থাকায় ফোনের গ্যালারি থেকে বিভিন্ন ফটো দেখছিলাম। গ্যালারিতে ফটোগুলো দেখতে দেখতে বন্ধুদের সাথে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে যাওয়ার কিছু ফটোগ্রাফি হঠাৎ সামনে চলে আসে। যা দেখে পুরনো কিছু স্মৃতি মনে পড়ে যায়। তাই ভাবলাম আজকের ব্লগে সেইসব নিয়ে কিছু লিখে শেয়ার করি।
বেশ কয়েক মাস আগের কথা হবে তখন বর্ষার সময় চলছিল। এমন এক বর্ষার দিনে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে সকালের একটু পরে গেছিলাম দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দেয়ার উদ্দেশ্যে। আমরা বাড়ি থেকে প্রথমে নিকটবর্তী রেলস্টেশন থেকে দমদম রেলস্টেশনে যাই। তারপর সেখান থেকে মেট্রো ধরে একেবারেই পৌঁছে যাই দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে যার একদম পাশেই ছিল দক্ষিণেশ্বরের ফেমাস কালী মন্দির। সেখানে গিয়ে দেখি পুজো দেয়ার জন্য হাজার হাজার ভক্তবৃন্দরা বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছে। তাদের কথাবার্তা এবং বিভিন্ন ধরনের পোশাক দেখেই বোঝা যাচ্ছিল তারা সবাই ভিন্ন ভিন্ন জায়গার লোক। মন্দিরের প্রচন্ড ভিড় দেখে আমরা প্রথমে ভেবে পারছিলাম না কি করে আমরা পুজো দিতে পারব । যাহোক তখন আমরা সেখানের একটি দোকান থেকে পুজোর প্রসাদ কিনে বন্ধুরা সবাই মিলে মন্দিরের ভিতরে পুজো দেওয়ার জন্য চলে যাই। বন্ধুরা সবাই মিলে একসাথে পুজো দিয়ে বেশ ভালই লেগেছিল। মনের ভিতর আলাদা একটা শান্তি লাগছিল।পুজো দেওয়া শেষ করে বাইরে বেরিয়ে আমরা বন্ধুরা মিলে প্রথমে যাই গঙ্গার পাড়ে। গঙ্গার পাড় মন্দিরে একদম পাশেই ছিল । সেখানে গিয়ে দেখি শত শত মানুষ গঙ্গা স্নান করছে।
সেখানে গিয়ে কিছু সময় গঙ্গার ঘাটে পা ভিজিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম আমরা। গঙ্গার সেই ঘাট থেকে চারপাশের দৃশ্য দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল।গঙ্গার ঘাটে সুন্দর একটা শীতল হাওয়া দিচ্ছিল যার ফলে খুবই ভালো লাগছিল সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে। তাছাড়া গঙ্গার ঘাট থেকে মন্দিরের পিছনের দিকটাতে ঘুরতে গেছিলাম। সেদিন আমরা বন্ধুরা মিলে অনেকটা সময় কাটিয়েছিলাম মন্দিরের আশেপাশে এবং গঙ্গার পাড়ের কয়েকটি জায়গায়। বন্ধুদের সাথে সেই কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো হঠাৎ করেই মনে পড়ে গেল পুরনো অ্যালবামের ফটো গুলো দেখতে গিয়ে। আমার এই বন্ধুগুলো আজ আমাদের এইখানে নেই , যে যার মতো দূরের রাজ্যে পড়াশোনার জন্য চলে গেছে। এই জন্যই হয়তো আরও বেশি তাদের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। তাদের মনে পড়লেও এই অসুস্থ শরীর নিয়ে তাদের সাথে যদিও এখন কথা বলতে পারছি না। ফেব্রুয়ারি মাসে বন্ধুদের আসার কথা রয়েছে। তারা এবার আসলে তাদের সাথে পুনরায় দক্ষিণেশ্বর মন্দির গিয়ে পুজো দিয়ে আসবো । পুরনো অ্যালবামের পুরনো ফটোগুলো দেখতে দেখতে এই সবই ভাবছিলাম।