বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও বেশ ভালো আছি। |
---|
আজকের নতুন একটি ব্লগে প্রথমেই সবাইকে স্বাগতম জানাই। বেশ কিছুদিন আগে বন্ধুদের সাথে নিয়ে কলকাতার চায়না টাউনে ঘুরতে গেছিলাম তাই নিয়ে আজকের ব্লগে কিছু কথা শেয়ার করব।
কলকাতার চায়না টাউনে ঘুরাঘুরি নিয়ে প্রথম পর্বে একটি রেস্টুরেন্ট থেকে খাওয়ার গল্প তোমাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। যাইহোক সেখান থেকে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমাদের ঘোরাঘুরির দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়। সবাই অনেকটা জার্নি করে গেছিলাম আর সবার খিদেও লেগে গেছিল সেই জন্য প্রথমেই গিয়ে আমরা একটি রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়ে নিয়েছিলাম। আমাদের সেদিন উদ্দেশ্য ছিল কয়েকটি ভালো রেস্টুরেন্ট থেকে খাওয়া আর সেই সাথে চায়না টাউনের সব জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখা। আমরা সেদিন পাঁচজন বন্ধু সেখানে গেছিলাম।
যাই হোক খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা আশেপাশের সব কিছু দেখতে থাকি । এখানের রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় চাইনিজ একটি কালী মন্দির আমার চোখে পড়েছিল। যার ফটোগ্রাফি আমি প্রথমেই শেয়ার করেছি। মন্দিরের মধ্যের মা কালীর মুখ সেই সময়টাতে কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। তাছাড়া মন্দিরও বন্ধ ছিল সেই দিনটাতে সেই জন্য চাইনিজ কালী মন্দিরের মা কালী কেমন দেখতে ছিল তা দর্শন করার সুযোগ হয়নি আমাদের সেই দিন। আমরা চায়না টাউনের ভিতরে এক রাস্তা থেকে অন্য রাস্তা, এক গলি থেকে অন্য গলি এই করে ঘুরে বেড়াতে থাকি। অনেকটা সময় এই ঘোরাঘুরির মাঝে মাঝে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের সামনে গিয়ে ফটো তুলে নিয়েছিলাম আমরা।
আমরা আমাদের মনের মত রেস্টুরেন্ট খুঁজে পাচ্ছিলাম না। মনের মত যেগুলো পাচ্ছিলাম সেগুলো অনেকটা বড় ছিল এবং খাবারের দামও অনেক বেশি ছিল। আমরা বেশি দামি রেস্টুরেন্টে আর যাচ্ছিলাম না কারণ প্রথমে যে রেস্টুরেন্ট থেকে আমরা খেয়েছিলাম সেখানে খাবারের দাম যথেষ্ট বেশি নিয়ে নিয়েছিল । তাই আমরা এমন কোন রেস্টুরেন্ট এর সন্ধান করছিলাম যেখানে খাবারের মানও ভালো থাকবে আবার খাবারের দামও পকেট ফ্রেন্ডলি হবে। যাই হোক ঘুরতে ঘুরতে আমরা ভিতরের দিকে একটি রেস্টুরেন্ট খুঁজে পাই যেখানে খাবারের দাম বাইরে দেওয়া ছিল এবং খাবারের দামগুলো আমাদের কাছে ঠিক মনে হয়েছিল। সেই জন্য আমরা এই রেস্টুরেন্টের মধ্যে যাই । এই রেস্টুরেন্টের মধ্যে যাওয়ার পরে আমাদের যে খাবারের ডিমান্ড ছিল সেইগুলো সেই মুহূর্তে রেস্টুরেন্টে ছিল না। যার ফলে আমাদের সেই রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে আসতে হয়।
এই চায়না টাউনের অধিকাংশ রেস্টুরেন্ট যথেষ্ট ফাঁকা ছিল । লোকজনের আনাগোনা খুব একটা বেশি ছিল না। আমরা কয়েকটি রেস্টুরেন্টের মধ্যে গিয়েও দেখেছিলাম সবগুলোই মোটামুটি ফাঁকা ছিল। তাদের কাছে গিয়ে আমরা জানতে পেরেছিলাম সব সময় সেখানে লোকের আনাগোনা বেশি হয় না। এই জায়গাটি কলকাতার এমন একটা জায়গায় অবস্থিত ছিল যেখানে যাওয়াও বেশ সমস্যার ব্যাপার ছিল। সরাসরি কোন রাস্তা ছিল না এখানে যাওয়ার। আর লোকেশন ভালো না হলে সেখানে মানুষের ভিড় কম হওয়াটাই স্বাভাবিক। পরের পর্বে এখানে ঘোরাঘুরি নিয়ে আরো কিছু কথা শেয়ার করবো। আজকের পর্ব এখানেই শেষ করছি।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: চায়না টাউন, কলকাতা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নতুন একটি স্থান সম্পর্কে অবগত হতে পারলাম আপনার এই সুন্দর পোস্টের মধ্য দিয়ে ভাইজান খুবই ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো এবং পাশাপাশি নতুন জায়গার বর্ণনা পড়ে। এমনিতেই আমি অজানা অচেনা জায়গা সম্পর্কে ধারণা পেতে বেশি পছন্দ করি। ঠিক সেই ফেবারিটের মধ্যে আজকের এই পোস্ট।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আপনি অজানা অচেনা জায়গা সম্পর্কে ধারণা পেতে পছন্দ করেন, বেশ ভালো ব্যাপার এটা। নতুন নতুন জায়গা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে আমারও বেশ ভালো লাগে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কলকাতার চায়না টাউনে অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ভাই। কোথাও ঘোরাঘুরি করতে তো আমার ভীষণ ভালো লাগে। নতুন নতুন জায়গায় বিশেষ করে প্রচুর ভালো লাগে। তবে কলকাতায় আমি আজও যাইনি। তাই আপনার পোস্টটি আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন। অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার ঘোরাঘুরি পোস্ট পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার শেয়ার করা ঘোরাঘুরি মূলক এই পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit