ঘুরতে গিয়ে টুকটাক খাওয়া-দাওয়া করা

in hive-129948 •  last month 

নমস্কার,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও বেশ ভালো আছি।

বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে ঘুরতে গিয়ে টুকটাক খাওয়া-দাওয়া করা নিয়ে কিছু কথা আসলে শেয়ার করবো। আমরা আসলে কোন না কোন সময় কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাই। আর ঘুরতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি। আসলে আমরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি সেখানকার খাবারের টেস্ট নেওয়ার জন্য। আমার কোথাও গিয়েছি সেখানকার খাবার খেতে খুব ভালো লাগে। কারণ এক এক জায়গায় এক রকম খাবারের যে টেস্টটা এটা আমাকে অনেক আনন্দ দেয়।

20241110_075138.jpg

20241110_075141.jpg

20241110_075144.jpg

কয়েকদিন আগে আমি আমার এক বন্ধু গেছিলাম দক্ষিণেশ্বরে। যদিও সেখানে যাওয়া নিয়ে এর আগে একটি ব্লগ তোমাদের সাথে শেয়ার করেছি। যাইহোক, সেখানে যেদিন ঘুরতে গেছিলাম সেখানে ঘোরাঘুরি শেষে সকালবেলা আমরা টুকটাক খাওয়া-দাওয়া করি। আসলে আমাদের এই প্লান আগে থেকেই করা ছিল। এখানে ঘোরাঘুরি শেষ করে খাওয়া-দাওয়া করবো। যাইহোক,যেহেতু এটি ধর্মীয় স্থান ছিল এখানে সব খাবারই ছিল নিরামিষ। আর এর আগে এই মন্দিরের আশেপাশে খাবারের অনেক দোকানই ছিল। তবে সেই খাবারগুলো খোলা ভাবে বিক্রি হতো। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বা হাইজিন ব্যাপারটা মেইন্টেন করা হতো না। কিন্তু পরবর্তীতে সরকারের হস্তক্ষেপ এখানে ফুড প্লাজা নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মত করা হয়েছে।

20241110_075149.jpg

20241110_075152.jpg

20241110_075156.jpg

যেখানে সুন্দর সুন্দর রেস্টুরেন্টের মত করা হয়েছে এবং হাইজিন মেইন্টেন করে সেই সব খাবার গুলো কাস্টমারদের সার্ভ করা হয়। যাইহোক, গতবার যখন গেছিলাম ব্যাপারটা দেখতে পাইনি তবে এবার গিয়ে ব্যাপারটা দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লেগেছে। আর যেহেতু খাবারের ব্যাপারটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ছিল সেজন্য এসব জায়গায় খাবার খাওয়াটাও সেভ ছিল নিজেদের জন্য। আমি এবং আমার বন্ধু কয়েকটা দোকান থেকে যেকোনো একটি দোকানে প্রবেশ করি। আসলে সব কয়টা দোকান সমানই দেখা যাচ্ছিলো। তবে আমরাও নিজের পছন্দ অনুযায়ী চলে যাই বলতে গেলে। যাইহোক, এখানে খাবারের বেশ কয়েকদিন মেনু দেখা যায়। তবে সকাল বেলা সবথেকে বেশি কচুরি আর ছোলা ভাটুরা দেখা যাচ্ছিলো আর এখানে যে কাস্টমার টা এসেছিল। তারাও দেখি এই ধরনের খাবারগুলো সকালবেলা নিচ্ছিলো।

20241110_075159.jpg

20241110_075455.jpg

20241110_080157.jpg

তাছাড়াও এর পাশাপাশি দেখি মিষ্টি, দই, লস্যি ইত্যাদি অনেক ধরনের খাবারই ছিল। তবে আমি আমার জন্য ছোলা ভাটুর এবং আমার বন্ধু তার জন্য কচুরি নিয়ে থাকে। এখানে খাবার খেতে বেশ ভালই লাগছিল। খাবার খাওয়ার সময় আমিও আমার বন্ধু লস্যিও নিয়ে থাকি। আসলে খাবারের সাথে সাথে একটু লস্যি খেলে আলাদাই ভালো লাগে। লস্যি খেতে খেতে আমার বন্ধু মিষ্টিরও অর্ডার করে দুজনের জন্য দুটি। আসলে এখানে দাম একটু বেশি ছিলো। তাই জন্য আমরা আর বেশি নেই নি। অন্যান্য জায়গায় কচুরি কুড়ি টাকায় পাওয়া গেলেও এখানে কচুরির দাম ছিল ষাট টাকা। আর ছোলা ভাটুরে অন্যান্য জায়গায় ষাট টাকায় পাওয়া গেলেও এখানে দাম ছিল ১০০ টাকা। অন্যান্য জায়গা তুলনায় এখানে দাম একটু বেশি ছিল। তবে খাবারের কোয়ালিটিও ঠিকঠাক ছিল যা আমাদের ভালো লেগেছিল। আমি আমার বন্ধু এই খাবারগুলো ইনজয় করতে থাকি এবং দুজনে গল্প করি। আসলে সেদিন ঘোরাঘুরিতে অনেক অভিজ্ঞতাই অর্জন হয়েছিল। যাইহোক, খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিল পরিশোধ করে আমরা বেরিয়ে পড়ি এবং আমাদের অন্য গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা করি।


পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীলাইফ স্টাইল
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনদক্ষিণেশ্বর, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, আজকের এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

IMG_20220728_164437.jpg

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

First_Memecoin_From_Steemit_Platform.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

আমিও যদি কখনও বসুন্দরা শপিংমলে যাই তখন এমন খাবার গুলোই খাওয়ার চেষ্টা করি। আপনার আজকের ঘুরতে যেয়ে খাওয়ার অনুভূতিগুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো দাদা। ধন্যবাদ আপনার এমন সুন্দর মূহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গেলে খাওয়া দাওয়া না করলে তো ভালোই লাগেনা। আপনাদের খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে দেখে। এত সুন্দর একটা মুহূর্ত সবার মাঝে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন দেখেই ভালো লাগলো। তবে খাবারের ফটোগ্রাফি দেখিয়ে তো লোভ লাগিয়ে দিলেন। ভালো লাগলো আপনার কাটানো সুন্দর এই মুহূর্তটা।

দক্ষিণেশ্বরে খাবার দোকানগুলোতে বেশ টেস্টি খাবার পাওয়া যায়। আমি এক দুবার আরো পরোটা খেয়েছি। ওখানকার রসগোল্লা গুলো বেশ সুন্দর। আপনি তো দেখছি ছোলে ভাটুরে বেশ জমিয়ে খেলেন। এখন বাঙালির দক্ষিণেশ্বর কিন্তু আর আগের মত নেই ভোল পাল্টে একেবারে নতুন রূপে দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে। যা একদিনের বেড়ানোর জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত।

আসলে কোথাও ঘুরতে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করলে,মনে হয় যে ঘুরাঘুরি করাটা সার্থক হয়েছে। যাইহোক ফুড প্লাজা তে গিয়ে আপনি এবং আপনার বন্ধু তো বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন। খাবারের কোয়ালিটি ভালো হলে, বেশি দাম হলেও ভালো লাগে। মিষ্টির ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে ইয়াম্মি লেগেছিল। যাইহোক এতো সুন্দর অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ঘুরতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে বেশ ভালই লাগে। আপনি দেখতেছি ঘুরতে গিয়ে বন্ধুর সাথে খাওয়া-দাওয়া করেছেন। আর ধর্মীয় স্থান ছিল বিদায় খাবার গুলো ছিল নিরামিষ। খাবারের দাম একটু বেশি তবে মানসম্মত খাওয়া খেয়েছেন। তবে অন্য জায়গায় ৬০ টাকা হলে এখানে ১০০ টাকা এতে বোঝা যায় দাম প্রায় ডাবল। যাহোক ঘুরতে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছেন তা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ।