বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ভালো আছি। |
---|
প্রথমেই আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম জানাই। আজকের ব্লগে অপ্রত্যাশিতভাবে মেলায় যাওয়া নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো তোমাদের সাথে।
গতকাল সন্ধ্যার সময় কাকুদের বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম। আমার কাকুদের বাড়ি আমাদের বাড়ি থেকে খুব একটা বেশি দূরে নয়। কাকুদের বাড়ি যেতে চেয়েছিলাম তার কারণ হচ্ছে কাকুদের বাড়িতে ঠাকুমা রয়েছে আর ঠাকুমার সাথে দেখা করাই মূল উদ্দেশ্য ছিল। সবে মাত্র রেডি হয়েছি তখনই দেখি আমার এক বন্ধু আমাকে ফোন করেছে। ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে বন্ধু আমাকে বলে, "চল একটু বেরিয়ে আসি"। বন্ধুর এই কথা শুনে আমি তাকে জানাই, আমার একটু কাকুদের বাড়ি যেতে হবে ঠাকুমার সাথে দেখা করতে তাই আজ হয়তো আর বের হতে পারব না। বন্ধুর সাথে এতটুক কথা হওয়ার পর বন্ধু ঠিক আছে বলে ফোনটি রেখে। তার ঠিক পাঁচ মিনিট পরে আবার বন্ধু আমাকে পুনরায় ফোন করে। ফোন করে তখন বলে, "ঠাকুমার সাথে নয়টার দিকে দেখা করিস এখন আমার সাথে একটু চল" । আমার বন্ধু দুইবার যখন ফোন করছে তখন বুঝতে পারলাম তার হয়তো একা একা বেরোতে ইচ্ছা করছে না তাই জন্য আমাকে বলছে। সেই জন্য আমিও দ্রুত রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম তার সাথে।
বের হবার সময় কোথায় যাব এমন কোন ডেস্টিনেশন ঠিক করে বের হয়নি। তবে বন্ধুর সাথে দেখা হওয়ার পর সাথে সাথেই আমরা ডেস্টিনেশন ঠিক করে ফেলি ।আমাদের প্রিয় একটি জায়গা স্টেট ইউনিভার্সিটির পিছনে যেতে চাই দুইজনেই। শহরের কোলাহল থেকে এই জায়গাটা বেশ নিরিবিলি একটা জায়গা । আমরা প্রথমে দুই বন্ধু সেখানে গিয়ে কিছু সময় আড্ডা দেই। সেখানের একটি চায়ের দোকান থেকে দুইজনে চা পান করি। সেখানে ১৫ মিনিটের মতো সময় কাটিয়ে আমরা যাই বারাসাতের অন্তর্গত ছোট বাজার নামে একটি জায়গায়। এখানে আসার পরে আমার বন্ধু আমাকে বলে, "পাশের একটি জায়গায় মেলা হচ্ছে সেখানে ঘুরে আসি"। আমি সেখানের মেলা সম্পর্কে কোন কিছুই জানতাম না তাই আমার কাছে অবাক লাগে মেলার কথা শুনে।
তাছাড়া পূর্বে কোন বছরেই এই মেলায় আমি আসিনি। এইখানে যে মেলা হয় এটাই আমি প্রথম শুনলাম গতকালকেই, তাও বন্ধুর মুখ থেকে। এখানে কিসের মেলা হচ্ছিল সে সম্পর্কে আমার কোন ধারণা ছিল না । আমি শুধু বন্ধুর সাথে সাথে চলে গেলাম মেলার মধ্যে। নরমাল অন্যান্য মেলায় যেমন দেখা যায় এখানেও সবকিছু দেখতে পেয়েছিলাম। কসমেটিক্সের দোকান, বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান, বিভিন্ন ধরনের খেলার দোকান, নাগরদোলা সবকিছুই। তবে অন্যান্য মেলা থেকে এখানে জুয়া খেলার দোকান অনেক বেশি এসেছিল। যা আমার কাছে বেশ অবাক লেগেছিল । যেখানে যেখানে জুয়া খেলা হচ্ছিল আমি কিছু সময় সেইখানে থেকে খেলা গুলো দেখছিলাম। আমার কাছে এই খেলা গুলো খেলতে সত্যি কথা বলতে ভয় লাগে । আমি কখনো এসব খেলায় অংশগ্রহণ করি না কিন্তু মানুষ কি করে খেলে তাই দেখতে ভালো লাগে। আমার সাথে আমার যে বন্ধু ছিল সেও আমার মতই এসব খেলা সে পছন্দ করে না। তবে দেখতে একটু পছন্দ করে এসব । জুয়া খেলার ওইখানে কিছু সময় কাটানোর পরে মেলার ভেতর একটু ঘোরাঘুরি করি। ঘোরাঘুরি শেষে বাদাম, জিলাপি আর আম কিনে দুই বন্ধু বাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা করি।
পোস্ট বিবরণ
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | বারাসাত, নর্থ চব্বিশ পরগনা। |
ভাইয়া কাকুদের বাড়িতে ঠাকুমা দেখার পরিবর্তে বন্ধুর সাথে মেলায় গিয়ে সময় কাটালেন। মেলাতে সাধারনত বাচ্ছাদের জিনিষ আর কসমেটিক্স বেশি দেখা যায়। যায়হোক জীবনের প্রথম মেলায় গিয়ে ভালই অভিজ্ঞতা হলো আপনার। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটা কিন্তু আমিও খেয়াল করেছি ভাই। মেয়েদের আর বাচ্চাদের জিনিস গুলোই বেশি থাকে মেলাতে। ছেলেদের জন্য খুব একটা জিনিস পাওয়া যায় না এ ধরনের মেলায় গিয়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে বন্ধু বান্ধবদের কথা অনেক সময় রাখতে হয়। আপনি বন্ধুর কথামতো তার সাথে ঘুরতে বের হয়েছেন। তারপর মেলায় গিয়ে ঘুরাঘুরি করেছেন এবং বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। মেলায় যেতে আমারও খুব ভালো লাগে। তবে এইসব জুয়া খেলা আমিও পছন্দ করি না। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার শেয়ার করা পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ভাই। ধন্যবাদ কমেন্টের মাধ্যমে আপনার মন্তব্যটি আমাদের জানানোর জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit