কালীপুজো পরিক্রমণ পর্ব - ০৪ || ২৫ নভেম্বর ২০২২

in hive-129948 •  2 years ago 

নমস্কার সবাইকে ,

তোমরা সবাই কেমন আছো ? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও অনেক অনেক ভালো আছি।

প্রথমেই আমি সবাইকে আজকের ব্লগে স্বাগতম জানাই। কালী পুজোয় ঘোরাঘুরি নিয়ে আজ তোমাদের সাথে চতুর্থতম ব্লগ টি শেয়ার করব। কালী পুজো পরিক্রম নিয়ে তৃতীয় পর্বের ব্লগে তোমাদেরকে আমি জানিয়েছিলাম পুজোর একদিন আগে সাউথ ভাটরা ক্লাবের পুজো প্যান্ডেলটা ঘোরাঘুরি করার জন্য গেছিলাম পরিবারের লোকজনদের সাথে। পুজোর একদিন আগেই আমি বেশ কয়েকটি পুজো প্যান্ডেল ঘুরে ঘুরে দেখেছিলাম। সাউথ ভাটরা ক্লাবের পুজো প্যান্ডেলটি দেখার পর আমরা গেছিলাম আমরা ক'জন ক্লাবের পুজো প্যান্ডেলটি দেখার জন্য। সাউথ ভাটরা ক্লাব থেকে এটি মোটামুটি এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছিল।
এই এক কিলোমিটারের মধ্যে আরো কয়েকটি পুজো প্যান্ডেল যাওয়ার পথে পড়েছিল কিন্তু সেগুলো একটু বেশি বড় পুজো প্যান্ডেল হওয়ার কারণে সেখানে প্রচন্ড ভিড়ের সৃষ্টি হয়েছিল। তাই আমরা ওই বড় প্যান্ডেল গুলোতে পরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

20221023_192944.jpg

20221023_192951.jpg

20221023_193006.jpg

আমরা ক'জন ক্লাবের পুজো প্যান্ডেলটি খুব বড় হয়েছিল সেটা বলবো না কিন্তু মোটামুটি সাইজের প্যান্ডেল করেছিল। আমি পুজোর দুই দিন আগে যখন এই পুজো প্যান্ডেলটির সামনের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন আমি একনজর দেখেছিলাম এই পুজো প্যান্ডেলটি কেমন করে করছে। দুই দিন আগে লাইটিং এর কাজগুলো মূলত করছিল তাছাড়া অন্যান্য কাজ দুই দিন আগে কমপ্লিট হয়ে গেছিল। আমি যেহেতু এই জায়গার পুজো প্যান্ডেলটি এক নজরের জন্য দেখেছিলাম যা আমার বেশ ভালো লেগেছিল তাই আমি বাড়ির লোকজনকে রাজি করাই এইখানের পুজো প্যান্ডেলটি দেখার জন্য। যাইহোক হাঁটতে হাঁটতে আমরা প্রায় ২০ মিনিটের মধ্যে এই পুজো প্যান্ডেলটির সামনে এসে উপস্থিত হয়। এসে আমাদের তেমন কোন ভিড়ের সম্মুখীন হতে হয়নি । এক মিনিটের মধ্যেই আমরা ভিতরে ঢুকতে পারি । ভিতরে ঢোকার পরে সেখানে গিয়ে আমি সম্পূর্ণ অবাক হয়ে যাই । বাইরে থেকে যতটা সুন্দর দেখেছিলাম তার থেকে অনেক গুণ বেশি সুন্দর ছিল ভিতরে ডেকোরেশনটা। চারিপাশের লাইটিং টা তারা অসাধারণভাবে করেছিল ।

20221023_193117.jpg

20221023_193121.jpg

20221023_193102.jpg

তাদের এ বছরের থিম ছিল বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ তাই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের উপর ভিত্তি করে জঙ্গলের একটা ভিউ দেখানোর চেষ্টা করেছিল প্যান্ডেল কর্তৃপক্ষ। বন জঙ্গলের বিভিন্ন পশুপাখি থেকে শুরু করে গাছপালা সব কিছুই তারা এখানে তৈরি করেছিল প্যান্ডেলটি সাজানোর সময়। তারা এই প্যান্ডেলটি করার মাধ্যমে আমাদের কাছে একটা সুন্দর বার্তা পৌঁছে দিতে চেয়েছিল। তাদের এই প্যান্ডেলের মাধ্যমে আমাদের কাছে যে সুন্দর বার্তাটি পৌঁছে দিতে চেয়েছিল সেটি হল পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য পরিবেশ ধ্বংস থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে এবং পরিবেশের প্রতি আমাদের অনেক অনেক যত্নশীল হতে হবে। পরিবেশ সংরক্ষণ না করতে পারলে প্রাকৃতিক যে বিপর্যয় হবে তার ফলাফল আমাদেরকেই ভোগ করতে হবে ।

20221023_193109.jpg

20221023_193136.jpg

20221023_193038.jpg

প্রকৃতির উন্নতি হলে আমাদেরও প্রগতি হবে এই বিষয়টা আমাদের সবাইকে বুঝতে হবে। প্যান্ডেল কর্তৃপক্ষের দ্বারা আয়োজিত এই থিমের মাধ্যমে এই উন্নত চিন্তাভাবনাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার ব্যাপারটা আমাকে অনেক অবাক করেছিল। যাই হোক সেদিন পুজো প্যান্ডেলটি দেখে আমার অনেক অনেক ভালো লেগেছিল। প্যান্ডেলটির ভিতরে হাঁটাহাঁটি করার সময় মনে হচ্ছিল আমি জঙ্গলের মধ্যে হাঁটছি। সুন্দর একটা ভালো লাগা কাজ করছিল নিজের মধ্যে , এক কথায় পুরো অসাধারণ ছিল। পুরো প্যান্ডেলটি যতটুক জায়গা নিয়ে করেছিল আমি সম্পূর্ণ জায়গাটি খুব সুন্দর করে ঘুরে ঘুরে দেখেছিলাম। আমি ঘোরাঘুরির সময় পুরো প্যান্ডেলটির বিভিন্ন অংশের ফটোগ্রাফিও করে নিয়েছিলাম যেগুলো আজ শেয়ার করলাম। আশা করি তোমাদের এই ফটোগ্রাফি এবং প্যান্ডেলটির থিম ভালো লাগবে।

20221023_193144.jpg

20221023_193507.jpg

20221023_193523.jpg
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: বারাসাত ,নর্থ ২৪ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।

20221023_193611.jpg

20221023_193806.jpg

20221023_193814.jpg

ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: বারাসাত ,নর্থ ২৪ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।

কালীপুজো পরিক্রমন নিয়ে শেয়ার করা আজকের চতুর্থতম ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে পারো । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

🌱🌵🌾🌿🪴ধন্যবাদ সবাইকে🌱🌵🌾🌿🪴

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম প্যান্ডেলের অন্যান্য কাজ দুই দিন আগে হয়ে গেছিল এবং লাইটিং এর কাজ দুদিন আগে থেকেই শুরু করেছিল। আসলেই লাইটিংটা অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে দেখতেও সেই লাগতেছে ।আপনারা অনেক মজা করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

হ্যাঁ আপু সেদিন অনেক মজাই করেছিলাম। প্যান্ডেলটিতে লাইটিং এর কাজ খুব সুন্দরভাবে করেছিল । সত্যি খুব ভালো লেগেছিল প্যান্ডেলটির লাইটিং দেখে।

বাপরে! কালী পুজো সেই কবে চলে গেছে।তবুও কালীপুজো আমেজ যেন শেষ হচ্ছে না। আসলে এটাই তো বাঙালি জীবন। "শেষ হয়েও হয় না শেষ" রবি ঠাকুরের কথা অনুযায়ী। যাই হোক আপনার শেয়ার করা পোস্টটা বেশ ভালো লাগলো। আবার অনেকদিন পরে পুরনো স্মৃতি বেশ চাঙ্গা হয়ে গেল।

হিহিহি 🤓😂🤓 কালীপুজোয় এত ঘুরাঘুরি করেছি সবকিছু এখনো তো শেয়ার করা হয়নি। আমেজ কি করে যাবে দিদি! আরো বেশ কয়েকটি পোস্ট শেয়ার করবো কালী পুজোয় ঘোরাঘুরি নিয়ে সেগুলো দেখলে আপনার পুরনো স্মৃতিগুলো বার বার চাঙ্গা হয়ে যাবে দিদি।

দাদা আমরা ক'জন ক্লাবের পুজা প্যান্ডেলে পয়সা খরচ করেছে সেটা বলতে হবে। এত সুন্দর লাইটিং এত সুন্দর সাজ চোখে পড়ার মত। আর মাটি দিয়ে বানানো বিভিন্ন প্রাণীও সাজিয়ে রেখেছে। দেখে ভালই লাগলো। ধন্যবাদ দাদা।

এই প্যান্ডেলটি তৈরি করতে কত টাকা খরচ করেছে সে সম্পর্কে সঠিক আমার জানা নেই । তবে মোটামুটি ধারণা করে বলতে পারি কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা খরচ করেছে।