উদ্দেশ্য যখন পুজোর শপিং

আমাদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব হলো দুর্গাপুজো। সারা বছর আমরা এই দুর্গাপুজোর জন্য অপেক্ষা করে থাকি এবং আমাদের বিভিন্ন প্ল্যান পুজোর কয়েক মাস আগে থেকেই চলতে থাকে। পুজোর প্ল্যান গুলোর মধ্যে পুজোর সময় ঘুরতে যাওয়া, শপিং করা , কোন দিন কি খাওয়া দাওয়া হবে সেসব প্ল্যান করা এসবই হয়ে থাকে। পুজোর আগে পুজোর শপিং ইম্পরট্যান্ট তাই এই প্ল্যানটি বেশ আগে থেকেই শুরু হয়ে যায়।

এই দুর্গাপুজো আসার এখনো দেড় মাসের অধিক সময় বাকি রয়েছে আর এখন থেকেই পুজোর প্ল্যান শুরু করে দিয়েছি আমরা অলরেডি। পুজোর কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় শপিংমলগুলোতে। সেজন্য আগেই এই শপিং এর ব্যাপারটা সেরে নেওয়া আমার কাছে ঠিক মনে হয়। পুজোর শপিং এ আমি অনেক কিছু শপিং করি সেরকম কোন ব্যাপার নেই। দুই তিনটে শার্ট , এক দুইটা প্যান্ট , একটা পাঞ্জাবি ও একজোড়া জুতো মোটামুটি ভাবে এইসবই কেনা হয় অন্যান্য বছর। যদিও এর আগের কয়েক বছর পুজোর শপিং সীমিত করে সেই বেঁচে যাওয়া টাকা দিয়ে গরিব মানুষদের পুজোর সময় খেতে দিয়েছিলাম। এবারও সেই প্ল্যান রয়েছে তবে এইসব প্ল্যান করতে অনেকটা টাকার প্রয়োজন হয় । আমার কাছে যেহেতু বেশি টাকা থাকে না তাই অল্প পরিসরে এই প্ল্যানগুলো করে থাকি।

পুজোর সময় নতুন বস্ত্র না নিলে বাড়ির লোকজন কথা শোনাবে সেই জন্য পুজোর আগে কিছু একটা শপিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এইবার। আমার এই শপিংয়ের সিদ্ধান্তে সামিল হয়েছিল আমার এক বান্ধবী। তাই তাকে সাথে নিয়ে গেছিলাম আমাদের এখানকার সব থেকে বড় শপিংমল স্টারমলে। শপিংমলে সব কিছুর দাম অনেক অধিক থাকে আর সেটা হওয়াটাই স্বাভাবিক । তবে এখানে ভালো কোয়ালিটিরও পোশাক গুলো পাওয়া যায়। লোকাল পোশাকের মার্কেটে আমি অনেক ঘুরে দেখেছি শপিং করার জন্য তবে সেখানে মনের মত জিনিস গুলো পাওয়া যায় না। যাই হোক, আমি আমার বান্ধবীকে নিয়ে প্রথমে গেছিলাম ম্যাক্সে। এই ম্যাক্স এর জামা কাপড় গুলো বেশ আমার পছন্দ হয়।

সেখনে গিয়ে যা বুঝলাম পুজোর নিউ কালেকশন গুলো এখনও আসেনি। শপিংমলে তো হাজার হাজার ডিজাইনের জামা কাপড় পাওয়া যায় তবে পুজোর আগে কিছু স্পেশাল স্টক আসে। তারপরও ম্যাক্স এ গিয়ে একটা শার্ট পছন্দ হয়েছিল আমার। যে শার্টটা আমি কিনেছিলাম তার মূল্য ৮৯৯ টাকা নিয়েছিল। ম্যাক্স এর সব জায়গায় ঘোরাঘুরি শেষ করে তারপর গেছিলাম প্যান্টালুনসে । সেখানে গিয়েও বেশ জামা কাপড় পছন্দ হয়েছিল তবে যেগুলো পছন্দ হয়েছিল সেগুলোর দাম একটু বেশি থাকায় সেখান থেকে নেওয়া হয়নি। আমার যে বান্ধবী আমার সাথে গেছিল সে প্যান্টালুন্স থেকে তার জন্য একটা জিন্স নিয়েছিল । পুজোর নতুন স্টক আসলে পুজোর শপিং আরো কিছুটা করতে হবে সামনের দিনগুলোতে তাই অল্পের উপর দিয়েই টুকটাক শপিং করেছিলাম গতকাল।

---

---

ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: স্টার মল, মধ্যমগ্রাম, ওয়েস্ট বেঙ্গল।

---

---

পুজোর শপিং করতে যাওয়া নিয়ে শেয়ার করা আজকের ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানিও। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।