বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ভালো আছি। |
---|
প্রথমেই আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম জানাই। আজকের ব্লগে ব্যারাকপুর স্টেশনে অনেকটা সময় কাটানো নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো তোমাদের সাথে।
ব্যারাকপুর স্টেশন আমাদের বাড়ি থেকে মোটামুটি ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখনে আমাদের বাড়ি থেকে কয়েক ভাবেই যাওয়া যায়। সরাসরি ট্রেনে করে যাওয়া যায় তাছাড়া কয়েক বার গাড়ি বদল করেও সেখানে যাওয়া যায়। সব রকম ভাবেই আমি ব্যারাকপুর স্টেশনে গেছি। আমি যে কয়বার ব্যারাকপুর স্টেশনে গেছি তার অধিকাংশ সময়ই গেছি দাদা বৌদির বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য। আর এই ব্যারাকপুর স্টেশন দাদা বৌদির বিরিয়ানির জন্য ফেমাস এ কথা আমাদের কলকাতার লোকজন খুব ভালো করেই জানে। কয়েকদিন আগেই বন্ধুদের সাথে প্লান হয়েছিল এই মাসের ১৭ তারিখ দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে খেতে যাব। যাইহোক প্লান অনুযায়ী গতকালকে আমরা তিনজন বন্ধু গেছিলাম এই ব্যারাকপুর। ব্যারাকপুরে যাওয়ার আগে আমার এক বন্ধু আমাদের বাড়িতে এসেছিল।
মূলত তার সাথেই আমার সেখানে যাওয়ার কথা ছিল। গতকালকে আমি সেই বন্ধুর সাথে ট্রেনে করে ব্যারাকপুর স্টেশনে গেছিলাম। বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগেই একটু বৃষ্টির সম্মুখীনও হতে হয়েছিল আমাদের। যদিও জোরালো বৃষ্টি ছিল না কিছু সময়ের জন্য বৃষ্টি হয়েছিল ।বৃষ্টি কিছুটা কমে গেলে আমরা মোটামুটি ছয়টার ট্রেন ধরে প্রথমে আমাদের এইখান থেকে দমদমে যাই এবং দমদম থেকে পুনরায় ট্রেন ধরে ব্যারাকপুর স্টেশনে গিয়ে পৌঁছাই। সেখানে নামার পরই আমরা আমাদের অন্য একজন বন্ধুকে ফোন করি যার আমাদের সাথে এই দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে যাওয়ার কথা ছিল। তাকে ফোন করার পরেই আমরা জানতে পারি সে একটি কাজে ফেঁসে গেছে। সেজন্য তার আসতে একটু লেট হবে । তাই আমরা কোন কাজ না পেয়ে ব্যারাকপুর স্টেশনের এক পাশ থেকে অন্য পাশে হাঁটাহাঁটি করতে থাকি।
আগে কয়েকবার এই ব্যারাকপুর স্টেশনে আসলেও এতটা হাঁটাহাঁটি করিনি । আর আগে যখন এসেছিলাম ব্যারাকপুর স্টেশন এতটা উন্নত ছিল না। এইবার সেখানে গিয়ে পুরো অবাক হয়ে যাই আমি স্টেশনের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থেকে শুরু করে নতুন নতুন কাজ দেখে। এই স্টেশনটি যথেষ্টই বড়। এই স্টেশন দিয়ে দূর পাল্লার কিছু ট্রেনও যেতে দেখা যায়। আমরা যেহেতু ট্রেন জার্নি করে অনেকটা টায়ার্ড ছিলাম সেই জন্য আমরা ষ্টেশনের একটি জায়গা থেকে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নি। কিছু সময় স্টেশনের একটি বসার জায়গায় বসে আমরা ট্রেনগুলোর ছুটে চলা দেখি। ট্রেনগুলো এখানে আসার পর মানুষের বেশ ভিড়ও চোখে পড়েছিল আমাদের। আমরা সেখানে সময় কাটাতে কাটাতে আমাদের অন্য এক বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করি।
এভাবে অনেকটা সময় পার হয়ে যায়। গতকালকে ব্যারাকপুর স্টেশনের বাইরের এবং ভিতরের অনেক ফটোগ্রাফি করেছিলাম সেখানে হাঁটাহাঁটি করার সময়। যেগুলো তোমরা আজকের ব্লগে দেখতে পারবে। যাইহোক প্রায় এক ঘণ্টা পর আমাদের সেই বন্ধু চলে আসলে তাকে নিয়ে আমরা দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে চলে যাই। তাই নিয়ে তোমাদের সাথে অন্য কোন ব্লগে শেয়ার করব।
পোস্ট বিবরণ
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | ব্যারাকপুর, ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ব্যারাকপুর স্টেশনে হাটাহাটির মুহূর্তটা নিশ্চয়ই অনেক আনন্দে এবং উপভোগ্য ছিল। যাহোক ব্যারাকপুর স্টেশনে কাটানো মুহূর্তটুকু আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ব্যারাকপুর স্টেশনে বেড়াতে গিয়ে দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে সুস্বাদু খাবার খাওয়ার কথাটা আমার কাছে সবচাইতে বেশি ভালো লেগেছে। দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আপনার মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ব্যারাকপুর স্টেশন তো বেশ বড় এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেখছি। এমন বড় স্টেশনে মানুষের প্রচুর ভিড় হয়। আপনাদের এক বন্ধুর জন্য ব্যারাকপুর স্টেশনে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছেন এবং সেই ফাঁকে দারুণ কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। তারপর সবাই মিলে দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টের বিরিয়ানি খুব মজা করে খেয়েছেন নিশ্চয়ই। সবমিলিয়ে পোস্টটি দারুণ লেগেছে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাই এই রেলওয়ে স্টেশনটি অনেক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ছিল। সবকিছু মিলিয়ে আমার পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit