ট্রাভেল || খাতড়া থেকে কলকাতা আসার সময়

in hive-129948 •  8 months ago 

নমস্কার,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ভালো আছি।

বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে একটি ট্রাভেল পোস্ট শেয়ার করবো। আমি প্রত্যেক সপ্তাহে চেষ্টা করি ট্রাভেল রিলেটেড একটি পোস্ট তোমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। তোমরা সবাই জানো যে বেশ কিছুদিন আগে আমি বাঁকুড়া ভ্রমণে গেছিলাম। আসলে বাঁকুড়ার খাতড়া নামক একটি জায়গায় গেছিলাম বিশেষ একটি কাজে। তবে সেইখানে গিয়ে অনেক ঘোরাঘুরিও করেছিলাম।

20240427_105149.jpg

20240427_105658.jpg

20240427_163351.jpg

এই ঘোরাঘুরি সম্পর্কেও তোমাদের সাথে আগের কয়েকটি ব্লগে কিছু কথা শেয়ার করেছি। যাওয়ার সময় ট্রেনে গেলেও আসার সময় বাসে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম বাসে আসাটা তুলনামূলক সহজ হবে। তবে জার্নিটা যদিও পরে সহজ ছিল না। যাইহোক খাতড়া বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস পাওয়াটা প্রথমে আমাদের জন্য বেশ মুশকিল ছিল। কারণ প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেও বাস পাওয়া যাচ্ছিল না। আসলে এই খাতড়া থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে আসা বাস গুলো অনেক সকালেই চলে যায়। তবে আমরা যেহেতু দশটার দিকে এখানে গেছিলাম। তাই সেইভাবে বাস পাচ্ছিলাম না। তারপরও দুই একটি বাস সম্পর্কে জানতে পেরেছিলাম যা এই জায়গা দিয়ে যায়। যাই হোক সেই জন্য এখানে অনেকটা সময় অপেক্ষা করছিলাম।

20240427_111937.jpg

20240427_112259.jpg

20240427_112547.jpg

সেদিন প্রচণ্ড গরম ছিল গরমে বাইরেও থাকতে পারছিলাম না। অবশেষে এই বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে হালকা-পাতলা কিছু খেয়েও নিই। কারন আমরা সকালে না খেয়েই বেরিয়েছিলাম। অবশেষে একটা বাস আমরা পেয়ে যাই। এই জায়গায় বাস আসার পর অনেকটা সময়ই অপেক্ষা করে। এই গরমের মধ্যে খুবই কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল এই বাসের মধ্যে বসে থাকাটা। যাইহোক, অবশেষে বাস কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা করে। আমি আগেও বাসে জার্নি করলেও এতটা দূরত্বের জার্নি খুব কমই করেছি। যাইহোক আমাদের এই বাস মেদিনীপুরের উপর দিয়েই এই কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা করেছিল। যাইহোক, বাঁকুড়া থেকে মেদিনীপুর শহরের উপর দিয়ে আসার সময় বিভিন্ন রকমের দৃশ্য দেখার সুযোগ হয়েছিল। কোথাও সবুজ ধান ক্ষেত কোথাও সবুজ ফসলের ক্ষেত।

20240427_112728.jpg

20240427_112800.jpg

20240427_112809.jpg

রাস্তার উপর দিয়ে গরু নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বিভিন্ন রকমের বাড়ি ঘর ওভারল অনেক কিছু উপভোগ করতে করতে এসেছিলাম। তবে এই জায়গার উপর দিয়ে আসার সময় লালমাটির দৃশ্য বেশি দেখতে পেয়েছিলাম। লাল মাটিতে যে এত সুন্দর ফসল হয় সেটা যদিও আগে আমার জানা ছিল না। যাইহোক চলার পথে অনেকটা গরম ও সহ্য করতে হয় কারণ প্রচন্ড গরমে লাল মাটি ও প্রচন্ড উত্তপ্ত হয়ে যায়। আর সেই কারণে বাসের মধ্যে থাকা অবস্থায়ও প্রচন্ড গরম হাওয়া শরীরে এসে লাগছিল। অনেক ঘন্টা সময় লেগে যায় আমাদের কলকাতায় পৌঁছাতে। একদম বিকেলের দিকে এসে কলকাতায় উপস্থিত হই। কলকাতা আসার পর সেখান থেকে আমাদের বাড়ির দূরত্বটাও অনেকটাই ছিল। সেই জন্য আমরা প্রথমে ট্রেনে করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও পড়ে উবার বুক করে আমরা বাড়ি আসার সিদ্ধান্ত নেই। তবে আমরা যখন উবার বুক করি উবার আমাদের লোকেশন খুঁজে পাচ্ছিল না।

20240427_113232.jpg

20240427_175715.jpg

পরে ফোনে ভালো করে গাইড করে দেওয়ার পর আমাদের গন্তব্যে চলে আসে। আর উবারে করে আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করি। সেদিনের জার্নি টা একটু কষ্টকর ছিল আমাদের জন্য। কারণ প্রচন্ড গরম ছিল সব জায়গাতেই। রাস্তায় থাকতেই মনে হচ্ছিল সুস্থ ভাবে বাড়ি যেতে পারব কিনা তবে সেদিন সুস্থ ভাবে বাড়ি আসতে পেরেছিলাম এটাই ভালো ব্যাপার ছিল।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীট্রাভেল
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশন ১১ থেকে ৩ তম ফটোগ্রাফিখাতড়া, বাঁকুড়া, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
লোকেশন ২৪ থেকে ১০ তম ফটোগ্রাফিমেদিনীপুর, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
লোকেশন ৩১১ তম ফটোগ্রাফিকলকাতা , ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, আজকে শেয়ার করা এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

IMG_20220728_164437.jpg

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

খাতড়া থেকে কলকাতা আসার সময় অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছেন। যদিও অনেক গরম ছিল যাওয়ার সময় ট্রেনে গেলেও আসার সময় বাসে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আসলে প্রচণ্ড গরম পড়েছে ট্রেনে হোক বা বাসে হোক জার্নিটাই এখন অনেকটা কঠিন হয়ে গেছে। পরে যাই হোক ওভার করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন , এবং গন্তব্যে স্থানে পৌঁছে যান, এটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার এই মন্তব্য টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।

আসলে ভ্রমণ করার সময় অনেক কিছু চোখের সামনে বাদে। আর দেশের সৌন্দর্যগুলো উপভোগ করতে কার না ভালো লাগে। আপনি কলিকাতায় যাওয়ার মুহূর্তে বেশ অনেক কিছু দেখেছেন এবং সেই বিষয়ে অনুভূতি প্রকাশ করেছেন এই পোষ্টের মাঝে। আর এই জন্য বেশ কিছু দেখার সুযোগ মিললো। খুব সুন্দর একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করেছেন তার অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমার এই ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট টি যে আপনার কাছে খুব সুন্দর লেগেছে, এটা জেনে অনেক খুশি হলাম ভাই আমি।