বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে লাইফস্টাইল রিলেটেড একটি ব্লগ তোমাদের সাথে শেয়ার করবো। আসলে গতকালকে আমরা এক বন্ধু সৌরভের সাথে একটি জায়গায় খাওয়া-দাওয়ার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম। তাই নিয়েই কিছু কথা শেয়ার করবো। বন্ধুদের সাথে মাঝে মাঝে কোথাও যেতে বেশ ভালোই লাগে। আমার এই বন্ধু সৌরভের সাথে মাঝে মাঝেই আমার বের হওয়া হয়। কোন কোন সময় আমরা চায়ের আড্ডা দিতে বেরিয়ে পড়ি। আসলে অধিকাংশ সময় স্টেশনের আশেপাশের জায়গাগুলোতেই যাই চা খাওয়ার উদ্দেশ্যে।

গতকাল সন্ধ্যার সময়ও এরকম একটা প্ল্যান করে দুই বন্ধু মিলে বেরিয়েছিলাম। আমরা স্টেশনেই বসে ছিলাম। তারপর কি যেন মনে হলো আমরা ট্রেনে উঠে আমাদের স্টেশনের পরবর্তী একটি স্টেশনে যাই এবং সেখানে গিয়ে দুই বন্ধু হাঁটতে হাঁটতে গল্প করতে থাকি। তারপর আমার সেই বন্ধু জানায় যে এই মধ্যমগ্রামে নতুন একটি ক্যাফে খুলেছে। যেখানে ভালো চা এবং অন্যান্য কিছু খাবার পাওয়া যায়। বন্ধুর কথা শুনে সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। আসলে সন্ধ্যার সময় চা খাওয়ার পাশাপাশি হালকা খিদেও লেগে যায়।সেক্ষেত্রে টুকটাক খাবার খাওয়া যেতেই পারে। তারপর দুই বন্ধু মিলে পৌঁছে যাই একটি ক্যাফেতে। যেহেতু বন্ধু ক্যাফেতে নিয়ে গেছিলো তবে ক্যাফের নাম আমার সঠিকভাবে জানা নেই। এই ক্যাফেটি মধ্যমগ্রাম স্টেশন থেকে কিছুটা দূরের একটি জায়গায় অবস্থিত ছিল।

স্টেশন থেকে এখানে হেঁটে যেতে মোটামুটি ৮ মিনিটের মতো সময় লেগেছিল। এই ক্যাফের খাওয়া দাওয়ার যে ব্যবস্থা ছিল সেটি ছিল ক্যাফের বাইরের অংশে ভিতরে কোন বসার জায়গা ছিল না।যাইহোক, দুই বন্ধু মিলে সেখানে বসে পড়ি তারপর খাবারের মেনু সিলেক্ট করা শুরু করি। প্রথমে তো দুইজনের জন্য দুই কাপ চা আগে থেকেই ঠিক করে রাখি। তারপর ভারী কিছু খাবার কে কোনটা খাবে তাই নিয়ে আলোচনা হতে থাকে। আমি আমার জন্য হোয়াইট সস পাস্তা অর্ডার করতে চাই। আসলে হোয়াইট সস পাস্তা আমার বেশ ভালই লাগে। বেশ কিছুদিন আগে বাড়িতে করে খাব ভেবেছিলাম এই হোয়াইট সস পাস্তা।তবে কিছু কিছু উপকরণের অভাবের কারণে এটি তৈরি করে খেতে পারেনি। যাইহোক, এই ক্যাফেতে যখন দেখতে পাই এই মেনুটি রয়েছে তখন আমি এটি খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।

আর আমার বন্ধু চিকেন ফ্রাই খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
আসলে চিকেন স্ট্রিপ বলে সেটাকে আর কি। দুইজনের খাবার সিলেকশন হয়ে যাওয়ার পরে তারপর আমরা অর্ডার করে দুইজনে গল্প করতে থাকি। আসলে এখানে অন্য লোক না থাকলেও বাইরে থেকে কিছু লোক এখানে এসে খাবার অর্ডার করছিলো। যারা বাড়িতে খাবার নিয়ে যাবে। সেজন্য আমাদের অর্ডারটা আসতে একটু লেট হয়ে যায়।কারণ তারা দাঁড়িয়ে ছিল সেজন্য তাদের তাড়াতাড়ি দিয়ে দিয়েছিল।আর যেহেতু আমরা বসে ছিলাম তাই আমাদের একটু পরেই দিয়েছিল। এভাবে প্রায় কুড়ি মিনিট পর আমাদের খাবারটা আসে।তবে চা আগেই দিয়ে দিয়েছিল আমরা চা খেতে খেতে গল্প করছিলাম। তারপর খাবার আসলে দুইজন আমরা খাবারটা বেশ ভালোভাবে এনজয় করি। গতকালকে বেশ সুন্দর একটা সন্ধ্যা কাটে আমাদের দুই বন্ধুর। আমরা অনেক পুরনো গল্প করছিলাম দুই বন্ধু মিলে। আসলে স্কুল জীবনের অনেক পুরনো ঘটনা থাকে।যেগুলো একসাথে বসে মনে করতে বেশ ভালই লাগে। গতকালকে এরকম অনেক স্মৃতিচারণা আমরা করি দুই বন্ধু মিলে। সেখান থেকে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে পুনরায় আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করি।

---

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণী	লাইফ স্টাইল
ডিভাইস	Samsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার	@ronggin
লোকেশন	মধ্যমগ্রাম, ওয়েস্ট বেঙ্গল।

বন্ধুরা, আজকের এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

---

---

---

---

---

আমার পরিচয়

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷