কলকাতার চায়না টাউনে ঘুরতে যাওয়া (পর্ব -০১)

in hive-129948 •  last year 
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও মোটামুটি ঠিক আছি।

আজকের নতুন একটি ব্লগে প্রথমেই সবাইকে স্বাগতম জানাই। বেশ কিছুদিন আগে বন্ধুদের সাথে নিয়ে কলকাতার চায়না টাউনে ঘুরতে গেছিলাম তাই নিয়ে আজকের ব্লগে কিছু কথা শেয়ার করব।

আমাদের বন্ধুদের গ্রুপে যে কয়জন আমরা আছি তারা হঠাৎ হঠাৎ করেই কোনো না কোনো প্ল্যান করে বসি। আমরা বন্ধুরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। হোয়াটসঅ্যাপে আমাদের একটা গ্রুপ রয়েছে সেখানে মূলত আমাদের এই প্ল্যানগুলো হয়ে থাকে। বেশ কিছুদিন আগে হোয়াটসঅ্যাপে আমাদের গ্রুপে আলোচনা হচ্ছিল নতুন কোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া নিয়ে। যেখানে আমরা আগে কোনো দিন যায়নি এবং জায়গাটা ইউনিক হতে হবে এমন জায়গার সন্ধান করছিলাম আমরা। তারপর সবার আলোচনায় একটা নাম সামনে চলে আসে সেটার নাম হল কলকাতার চায়না টাউন।

20230625_141340.jpg

20230625_133301.jpg

এই নামটি শুনে আমরা ভেবে নিয়েছিলাম এখানে গেলে হয়তো অনেক চাইনিজ লোক দেখতে পারবো। সেই সাথে চায়নার অনেক কালচারও দেখতে পাবো এমনটাই আশা করে এই প্ল্যানটা আমরা করেছিলাম। যাই হোক প্ল্যান করার কয়েকদিন পরেই আমরা এখানে গেছিলাম ।এইখানে যাওয়ার গল্পটা অনেক বড়। যাওয়ার সময় আমাদের অনেক ঝামেলাও পোহাতে হয়েছিল। আমরা যেহেতু আগে কেউ কোনদিন এই জায়গাতে যাইনি তাই এই জায়গা যাওয়ার সঠিক রাস্তা আমাদের জানা ছিল না। আমাদের যেহেতু রাস্তাটা চেনা ছিল না তাই আমরা অনেকের কাছে শুনেছিলাম কি করে সেখানে পৌঁছানো যায় সেই সম্পর্কে । তাদের মধ্যে অনেকে বলেছিল শিয়ালদহ হয়ে যেতে আবার কেউ কেউ বলেছিল দমদম হয়ে যেতে ।

20230625_135445.jpg

20230625_135441.jpg

আমরা দমদম হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সেজন্য প্রথমে দমদম স্টেশনে নেমে সেখান থেকে মেট্রোতে করে গিরিশ পার্কে নেমেছিলাম। সেখানে আসার পরে আমরা জানতে পেরেছিলাম আমরা ভুল পথ দিয়ে যাচ্ছি। তারপর আর উপায় না পেয়ে আমরা একটি গাড়ি ভাড়া করে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করে এই চায়না টাউনে পৌঁছেছিলাম। এইখানে গিয়েও কনফিউশন এর মধ্যে পড়ে গেছিলাম আমরা! আমরা যে এক্সপেক্টেশন নিয়ে গেছিলাম, এইখানে গিয়ে সেরকম কোন কিছু পাচ্ছিলাম না। এইখানে শুধু রেস্টুরেন্ট ছিল । আমরা অন্যরকমভাবে ভেবেছিলাম সবকিছু থাকবে কিন্তু সেরকম কিছু গিয়ে দেখতে পাইনি প্রথমে। সেখানে নামার পর অনেকটা পথ ঘুরে আমরা একটি রেস্টুরেন্টে যাই। আমরা যে রেস্টুরেন্টেটিতে গেছিলাম তার নাম আমরা এখানে যাওয়ার আগেই শুনেছিলাম। ইউটিউবের কয়েকটি ভিডিওর মাধ্যমে আমরা এই রেস্টুরেন্টের নাম জানতে পেরেছিলাম ।

20230625_135439.jpg

20230625_135559.jpg

যাই হোক, আমরা বন্ধুরা মিলে এখান থেকে কয়েকটি খাবারের আইটেম নিয়েছিলাম । এই রেস্টুরেন্টটির খাবারের কোয়ালিটি ছিল অন্যরকম। প্রশংসা করার মতো ভালো ছিল এই রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো। আমরা বন্ধুরা মিলে মিক্সড চাওমিন এবং আরো অন্য দুটি খাবার নিয়েছিলাম । যদিও অন্য খাবারের নাম আমার এখন মনে নেই। যেদিন খেয়েছিলাম শুধু সেদিনই মনে ছিল তারপর আমি ভুলে গেছিলাম সেই খাবারের নাম। চাইনিজ নাম ছিল সেজন্য হয়তো ভুলে গেছি। এই রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার খাওয়ার পর আমরা চায়না টাউনের অনেক জায়গায় ঘুরেছিলাম। সেই সাথে আরো কয়েকটি রেস্টুরেন্ট এর মধ্যে গেছিলাম আমরা। কয়েকটি পর্বের মাধ্যমে তা তোমাদের সাথে ধীরে ধীরে শেয়ার করব।

20230625_141549.jpg



ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: চায়না টাউন, কলকাতা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।



বন্ধুদের সাথে চায়না টাউন ঘুরতে যাওয়া নিয়ে শেয়ার করা আজকের ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানিও। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

আপনারা সব বন্ধুরা মিলে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করেছেন। সত্যি ভাইয়া ঘুরতে সবারই অনেক ভালো লাগে। আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে চায়না টাউনে রেস্টুরেন্টটের খাবার গুলো দেখতে পেলাম। খাবার দাবারের মান মনে হচ্ছে ভালই । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ আপু সেদিন চায়না টাউন গিয়ে বেশ ভালই ঘুরেছিলাম। আস্তে আস্তে কয়েকটি পর্বের মাধ্যমে সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

কলকাতার চায়না টাউনে ঘুরতে যাওয়া মুহূর্ত বেশ সুন্দরভাবে উপভোগ করেছেন ভাই। আসলে কথায় ঘুরতে গেলে আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। বন্ধুরা সকলে মিলে বেশ চমৎকার মুহূর্ত অতিবাহিত করছেন। সকলে মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া করার আনন্দটাই আলাদা। রেস্টুরেন্টের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। এত চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই ওভারঅল গুছিয়ে কথাগুলো বলার জন্য। আগামী পর্ব খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করব আপনাদের সাথে।

আমার কখনো কলকাতায় যাওয়া হয়নি। তবে কলকাতা যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। কলকাতার বিভিন্ন স্থাপনা সমূহ ঘোরার ইচ্ছা আমার রয়েছে। আজকে আপনি প্রকাশ করেছেন কলকাতার চায়না টাউনে ঘুরতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত৷ আপনার কাছ থেকে আমি যে সকল অনুভূতিগুলো দেখতে পেয়েছি এর ফলে আমার এই স্থানে যাওয়ার আগ্রহ আরও বেড়ে যাচ্ছে৷ আমিও চেষ্টা করব এই জায়গায় এসে ঘোরার জন্য।

কলকাতায় কখনো আসলে এই জায়গায় গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন ভাই। চায়না টাউনে বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে সেখানে বেশ ভালো মানের চাইনিজ খাবার পাওয়া যায়।

কলকাতা সাইন টাউনে ঘুরতে গেছেন বলেই ভাই নতুন কিছু বিষয় সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারলাম। যেহেতু কলিকাতার স্থান, আমরা বাংলাদেশী। তাই কোনদিন সেখানে যেতে পারব কিনা একমাত্র আল্লাহই জানে। তবুও আপনার পোস্ট এর মধ্য থেকে ফটোগ্রাফার ও বর্ণনার কারণে অনেক কিছুই জানার সুযোগ হল।

ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় ভাই! পাসপোর্ট, ভিসা করে আমাদের কলকাতায় এসে ঘুরে যেতে পারেন ভাই, নতুন নতুন অনেক কিছুই দেখার সুযোগ হবে।