বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে পিৎজা তৈরি করে খাওয়ার অনুভূতি তোমাদের সাথে শেয়ার করবো। আসলে পিৎজা আমার খুব প্রিয় খাবার। মাঝে মাঝেই তোমরা দেখে থাকবে আমি ডমিনোজে গিয়ে পিৎজা খেয়ে থাকি এবং সেগুলো তোমাদের সাথে শেয়ার করে থাকি। বিভিন্ন সময় চেষ্টা করি বিভিন্ন ধরনের পিৎজা টেস্ট করার। তবে এতদিন ধরে অনেক প্রকারের পিৎজাই খাওয়া হয়েছে। আর ডমিনোজের পিৎজা আমার কাছে সবসময় একটু বেশি ভালো লাগে। তাই অধিকাংশ সময়েই আমি ডমিনোজ থেকেই খেয়ে থাকি। অন্যান্য অনেক ব্র্যান্ডের পাওয়া যায়। তবে ডমিনোজ আমি বেশি খেয়ে থাকি। যাইহোক, ডোমিনোজের পিৎজা ভালো হওয়ার সাথে সাথে এর দামও কিছুটা বেশি। এইজন্য সব সময় সময় সুযোগ হয় না ডমিনোজ থেকে পিৎজা খাওয়ার। তাই মাঝে মাঝে চেষ্টা করি বাড়িতে পিৎজা তৈরি করে খাওয়ার। আর আমি বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করে খেতে অনেক বেশি ভালোবাসি।

লাস্ট কিছুদিন ধরেই বেশ পিৎজা খেতে ইচ্ছে করছিলো। আর বাড়িতে আগেই চিজ কেনা ছিলো। সেজন্য ভাবছিলাম গতকালকে পিৎজা তৈরি করে খাবো। তবে শুধু চিজ থাকলে তো হয় না ইস্ট, ময়দা আরও অন্যান্য অনেক কিছুরই প্রয়োজন হয় এই পিৎজা তৈরি করে খেতে গেলে। যাইহোক, গতকাল সন্ধ্যার সময় বাজারে যাই এবং যা যা উপকরণ দরকার সেগুলো বাজার থেকে কিনে নিয়ে আসি। উপকরণ গুলোর মধ্যে ছিলো টমেটো, পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম, অরিগ্যানো, ইস্ট, ময়দা, বাটার ইত্যাদি। পিৎজা তৈরি করতে গেলে আগে থেকেই ময়দার ডো তৈরি করে রেখে দিতে হয়। না হলে আবার পিৎজা সুন্দর হয় না। যাইহোক, গতকালকে সন্ধ্যের সময় ময়দার ডো আমি তৈরি করে রেখে দেই এবং দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর ডো যখন অনেকটা ফেঁপে ওঠে তখন পিৎজা তৈরি করার জন্য ময়দা তৈরি হয়ে যায়। ময়দার ডো রেডি হলে তার উপর রেডিমেট পিৎজা সস, চিজ আর যেসব সবজি ছিল সেগুলো দিয়ে পিৎজাটা রেডি করতে হয়। আর তারপর ওভেনে দিয়ে দিলেই ১৫ মিনিটের মধ্যে পিৎজা তৈরি হয়ে যায়। গতকালকে একই ভাবে এইভাবে পিৎজা তৈরি করি। আসলে গতকালকে পিৎজা খেতে বেশ ভালই হয়েছিল। পিৎজা খাওয়ার ক্ষেত্রে আমি ভেজ পিৎজাই খেয়ে থাকি। তবে বাড়ির লোকজন ভেজ পিৎজা তেমন একটা পছন্দ করে না। তারা চিকেন পিৎজা খেতে বেশি ভালোবাসে।

সেই জন্য গতকালকে ভেজ পিৎজা এবং চিকেন পিৎজা দুটোই তৈরি করা হয়েছিল। আমি যদিও চিকেন পিৎজা খাইনি আমার কাছে ভেজ পিৎজা অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। তবে দাদা এবং মা চিকেন পিৎজা খেলছিলো। তারাও সেই পিৎজার বেশ প্রশংসা করেছিল। যাইহোক, ওভারঅল বাড়িতে পিৎজা বানিয়ে পুরো ডমিনোজের মত হয়নি। তবে কাছাকাছি অনেকটাই হয়েছিলো। বেশ টেস্টি হয়েছিল এবং তৃপ্তি করেই খেয়েছিলাম। পিৎজা খাওয়ার সাথে সাথে কোল্ড ড্রিংকস খেতেও বেশ ভালো লাগে। গতকালকেও সেইভাবে খেয়েছিলাম যেমনটা রেস্টুরেন্ট বা অন্য জায়গায় গিয়ে খেয়ে থাকি। ওভারল সুন্দর একটা সন্ধ্যা কাটিয়েছিলাম এই বাড়িতে পিৎজা তৈরি করে খাওয়ার সময়।

---

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণী	লাইফ স্টাইল
ডিভাইস	Samsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার	@ronggin
লোকেশন	বারাসাত , নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।

বন্ধুরা, আজকের এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

---

---

---

---

---

আমার পরিচয়

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷