জগদ্ধাত্রী পুজোয় একটু বের হওয়া

in hive-129948 •  8 days ago 

নমস্কার,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও বেশ ভালো আছি।

বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে পুজোয় ঘুরাঘুরি নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো। আমাদের ১২ মাসের ১৩ পার্বণ বলা হয়। আসলে প্রত্যেক মাসেই কোন না কোন পুজো থাকে আমাদের। গত মাস থেকেই পুজো গুলো পরপর করে চলে আসছে। প্রথমে দুর্গাপুজো তারপর লক্ষ্মীপুজো তারপর কালীপুজো আর আজ ছিল জগদ্ধাত্রী পুজো। প্রত্যেক পুজোয় কমবেশি অনেক ঘোরাঘুরি হয়েছে। পুজো গুলোর মধ্যে সবথেকে বড় করে হয় দুর্গাপুজো তারপর কালী পুজো তারপর লক্ষী পুজো আর জগদ্ধাত্রী পুজো আমাদের এখানে মোটামুটি ভাবে করা হয়।

20241110_192657.jpg

20241110_192707.jpg

তবে খুব ব্যাপকভাবে করা হয় সেটা বলবো না। আমাদের ওয়েস্ট বেঙ্গলের কিছু কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে আসলে এই জগদ্ধাত্রী পুজো অনেক বড় করে করা হয়। এ বছর আমাদের পাড়াতে কয়েকটি জগদ্ধাত্রী পুজো প্যান্ডেল করা হয়েছে। খুব বেশি বড় করে করা না হলেও মোটামুটি করা হয়েছে। অন্যান্য বছরও করা হয়। তবে জগদ্ধাত্রী পুজোতে সাধারণত খুব বেশি আমার ঘোরাঘুরি হয় না। আর পাড়ার পুজো হওয়ার কারণে অল্প দেখে এসে পুজোর ঘোরাঘুরি কমপ্লিট হয়। যাইহোক, আজ জগদ্ধাত্রী পুজো ছিল।হঠাৎ সন্ধ্যায় আমার এক বন্ধুর সাথে ফোনে কথা হওয়ার সময় টুকটাক পুজো মন্ডপে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করি। যেহেতু সন্ধ্যার দিকে বেরিয়েছিলাম তাই দুই বন্ধু প্রথমে একটু বাইরে থেকে খাওয়া-দাওয়া করি তারপর হাঁটতে হাঁটতে এই পুজো মন্ডপের কাছে গিয়ে পৌঁছাই। পুজো মন্ডপটা বেশ সুন্দর করে সাজিয়েছিল। পুজো মন্ডপের ভিতর গিয়ে দেখি পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে বসার বেশ কিছু চেয়ারও ছিল।কিছু সময় দুই বন্ধু মিলে বসে এই পুজো অনুষ্ঠানটা দেখতে থাকি। আসলে এই পূজো সম্পর্কে আমার খুব বেশি ধারণাও নেই।

20241110_192710.jpg

20241110_192721.jpg

তবে কোনরকম জানি আর কি এই পুজো নিয়ে। দুই বন্ধু সেখানে কিছু সময় বসে থেকে টুকটাক করে প্যান্ডেল ঠাকুরের এবং অন্যান্য কিছু ফটোগ্রাফি করে আমরা আবার একটু হাঁটতে বের হই। এখন কিছুটা ঠান্ডা পড়ে গেছে তাই বাইরে যখন হাঁটছিলাম একটু ভালই লাগছিল। গরমের সময় আসলে অনেক কষ্ট হয়ে যায়। দুর্গাপুজোর সময় বেশি গরম থাকে সেজন্য দুর্গাপুজোয় সময় কষ্টটা বেশি হয়। তবে এখন যেহেতু হালকা হালকা ঠান্ডা পড়ে গেছে তাই পুজো দেখা শেষ করে সুন্দর একটা সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছিলাম। পুজো দেখা শেষ করে কিছুটা হেঁটে একটা চায়ের দোকানে বসে দুই কাপ চা খেয়ে দুই বন্ধু আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করি।

20241110_192659.jpg

20241110_192714.jpg


পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীলাইফ স্টাইল
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনবারাসাত, নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, আজকের এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

IMG_20220728_164437.jpg

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

First_Memecoin_From_Steemit_Platform.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

মা দুর্গা হলেন রনংদেহী৷ কিন্তু জগদ্ধাত্রী হলেন ঘরোয়া মহিয়সী৷ গতকাল যখন ট্রেন ধরব বলে বেরলাম রাস্তায় কিছু প্যান্ডেল দেখে বুঝলাম জগদ্ধাত্রী পুজো চলছে৷ বেশ কয়েকবছর আগে উত্তরপাড়ার ওই দিকে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলাম। বিশাল বিশাল ঠাকুর৷ আর কী দারুণ তার সাজ৷ মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকার মতন। আপনার ব্লগ পড়ে ওই রূপসী মুখগুলোই আমার চোখের সামনে ভেসে উঠল।

ধন্যবাদ দিদি, এত সুন্দর করে এই কথাগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পূজা চলছে ভাই। আমি বেশ কয়েকবার সেই জাঁকজমক নিজে গিয়ে দেখে এসেছি। সে ভাষায় বর্ণনা করবার নয়। এমন আলোকসজ্জা আমি কোথাও দেখিনি। তবে তোমার ওখানেও বেশ সুন্দর জগদ্ধাত্রী পূজা হয় দেখছি।। যে মন্ডপটির ছবি শেয়ার করেছ তা অনবদ্য। ভীষণ সূক্ষ্ম কাজে ভরিয়ে তোলা হয়েছে মন্ডপ। জগদ্ধাত্রী পূজা চলে গেল মানেই পুজোর আমেজ শেষ। এবার আবার দৈনন্দিন জীবনে ফেরার পালা।

চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পূজা চলছে ভাই। আমি বেশ কয়েকবার সেই জাঁকজমক নিজে গিয়ে দেখে এসেছি। সে ভাষায় বর্ণনা করবার নয়।

আমিও এই ব্যাপারে শুনেছি দাদা। তবে সেইখানে যাওয়ার সৌভাগ্য কখনো হয়নি আমার।