জুডিও -তে পুজোর শপিং করতে গিয়ে হতাশ !

in hive-129948 •  last year 

বন্ধুরা,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও বেশ ভালো আছি।

আমাদের সবথেকে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপুজো শুরু হতে আর বেশি দিন বাকি নেই। এই পুজো আসলেই আমাদের নতুন নতুন ড্রেসের দরকার হয় সবার। পুজোর বেশ কিছুদিন আগে থেকেই এই পুজোর শপিং করা শুরু হয়ে যায় । পুজোর বেশ কিছুদিন আগে যদিও আমি একবার শপিংয়ে গেছিলাম তারপরও এই গত দুইদিন আগে পুনরায় আমি আবার আমার এক বন্ধু এবং দাদার সাথে গেছিলাম ব্যারাকপুরের একটি শপিংমলে। শপিং মলটির নাম হলো জুডিও । অন্যান্য শপিংমলের তুলনাই এইখানে অনেকটা কম টাকায় শপিং করার সুযোগ রয়েছে।

20231011_201407.jpg

20231011_201403.jpg

আমাদের নিকটবর্তী মধ্যমগ্রামে একটি জুডিও শপিংমল রয়েছে । আমি সেখানেও গেছিলাম কিছু দিন আগে কিন্তু এইখানে বেশি কালেকশন ছিল না। এই জুডিও মলটি আকারে কম আয়তনের ছিল। ব্যারাকপুরে যে জুডিও মল রয়েছে সেটি তুলনামূলক অনেক বড় এবং নতুন নতুন পোশাকের অনেক বেশি কালেকশন রয়েছে সেখানে যা আমি ইউটিউবের কয়েকটি ভিডিওতে দেখতে পেয়েছিলাম। আমাদের বাড়ি থেকে ব্যারাকপুরে যাওয়াটা অনেকটা কষ্টকর। সেখানে যেতে গেলে বেশ টাকাও খরচ হয়ে যায়। মোটামুটি যাওয়া-আসা দিয়ে ১০০ টাকার মতো এক একজনের খরচ হয়ে যায়।

20231011_201331.jpg

20231011_201141.jpg

তারপরও আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এইখানে যাব শপিং করার জন্য। ঐদিন আবার আমার এক বন্ধু আমাদের বাড়িতে এসেছিল। তাকে সাথে নিয়েই আমি এবং আমার দাদা গেছিলাম এই ব্যারাকপুরে। সন্ধ্যায় রাস্তায় প্রচন্ড ভিড় হওয়ার জন্য আমাদের অনেক কষ্ট হয়েছিল যেতে। তাছাড়া অনেকটা দূরের পথ ছিল দেখে অনেকটা ক্লান্তও হয়ে পড়েছিলাম যেতে যেতে। যাইহোক কষ্ট করে সেখানে গিয়ে তো একেবারে অবাক হয়ে গেছিলাম আমি, মনে হচ্ছিল মাথার উপর আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে!

20231011_201135.jpg

20231011_201233.jpg

জুডিও শপিংমলটির সামনে এসে দেখি শপিং মলের মধ্যে হাজার হাজার মানুষ। এরকম দৃশ্য আমি আগে কোনদিনও দেখিনি অন্য কোনো শপিং মলে গিয়ে। এত ভিড় আমি প্রথমবারই দেখেছিলাম। এত ভিড় দেখেও এর ভিতরে একটু মনে সাহস নিয়ে গিয়ে দেখি বিলিং কাউন্টারে শত শত লোক দাঁড়িয়ে আছে যারা পোশাক নিয়েছে সেগুলো বিল করার জন্য। এই গুলো দেখে আমি অনেকটা নিরাশ হয়ে যাই কারণ আমি তখন এটা ভাবি যদি আমি ড্রেস কিনি সেটা বিল করাতে গেলে মোটামুটি তিন থেকে চার ঘণ্টার মতো সময় লেগে যাবে । এত টাইম দাড়িয়ে থেকে কেনা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না সেইদিন।

20231011_201610.jpg

20231011_201621.jpg

আমরা যে তিনজন গেছিলাম আমাদের সবারই মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ার মতো অবস্থা হয় কারণ কেউই আগে কখনোই এত বড় ভিড় দেখিনি কোন শপিংমলে গিয়ে। যাই হোক এই ভিড়ের মধ্যে আমরা মোটামুটি মলের সব জায়গায় ঘুরে ঘুরে দেখেছিলাম । সেইদিন পছন্দ হলেও কেনার উপায় ছিল না কারণ কিনে বিল করে আমরা বাড়ি নিয়ে আসতে পারবো না এটা আমরা পুরোপুরি শিওর ছিলাম ভিড় দেখে। এভাবে এত দূরে শপিং করতে গিয়ে এতটা নিরাশ হয়ে যেতে হবে তা বুঝতে পারলে বাড়ি থেকেই বের হতাম না সেইদিন । যাইহোক, একটু পরে শপিংমলের বাইরে এসে কিছুটা সময় আড্ডা দিয়ে বাড়ি চলে আসি আমরা । এভাবে পুজোর শপিং করতে গিয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হয় কোনো কিছু না কিনে সেইদিন।



ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: নেয়ার ব্যারাকপুর স্টেশন , নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।



বন্ধুরা, জুডিও শপিংমলে দুর্গাপুজোর শপিং করতে যাওয়া নিয়ে শেয়ার করা এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানিও। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

যেহেতু জুডিও শপিংমলে স্বল্প খরচে কেনাকাটা করা যায় তাই এই খবরটি সবাই পেয়ে গিয়েছে যার কারণে এত মানুষ সেখানে কেনাকাটা করতে গিয়েছে। যদিও অনেক দূর আপনারা ব্যারাকপুরে গিয়েছেন জুডিও শপিংমলে কেনাকাটা করার জন্য, কিন্তু আমি মনে করি এতটা ভিড়ে আপনারা কোন কিছু না কিনে বাড়ি ফিরে এসেছেন এটা কিন্তু বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন। যাইহোক ঘুরে ঘুরে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন এটা কিন্তু ভালো হয়েছে আমরাও সেই সাথে আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেলাম। হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই পরবর্তী এক সময়ে গিয়ে শপিং করে নিয়ে আসবে, আশা করি পরবর্তীতে আরো ভিড় কমে যাবে। ঐসময় কি কি শপিং করবেন সেটা নিয়ে কিন্তু অবশ্যই পোস্ট করে জানাবেন সে পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকলাম।

আপু পুজোর আগের দিনগুলোতে শপিংমলে এরকম একটু ভিড় থাকে। ভিড় কম পেতে হলে আর পুজোর পরে গিয়ে শপিং করতে হবে , তার আগে আর কম ভিড়ে শপিং করা সম্ভব নয়।

আসলে দাদা পুজো সবাই কেনাকাটা করছে। এবং এখানে কেনাকাটা কম টাকার মধ্যে হয়ে যাবে এটা ভেবে অনেক মানুষ চলে এসেছে সেজন্যই এইরকম ভীড়। কিন্তু আমার আপনার জন্য খারাপ লাগছে। এতো কষ্ট করে রাস্তা পাড়ি দিয়ে এখানে গেলেন কিন্তু শেষমেশ মানুষের ভীড়ের কাছে হার মানতে হলো। আসলেই কী একটা খারাপ অনূভুতি এটা।।

Posted using SteemPro Mobile

একদম ঠিক কথা ভাই দাম কম থাকার কারণেই এই শপিংমলটিতে এত বেশি ভিড় ছিল। হ্যাঁ ভাই, অনেক কষ্ট হয়েছিল সেখানে যেতে, সেই সাথে কোন কিছু কিনতে না পেয়ে হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরতে হয়েছিল সেদিন।