বারো মন্দির ঘাট ঘুরতে গিয়ে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি - ০১

in hive-129948 •  2 years ago 

নমস্কার সবাইকে,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি।

প্রথমেই আজকের ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম জানাই। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। কয়েকদিন আগে বারো মন্দির ঘাট নামক একটি জায়গায় আমি ঘুরতে গেছিলাম। সেখানে ঘুরতে গিয়ে আমি অনেক ফটোগ্রাফি করেছিলাম। সেখান থেকে করা ফটোগ্রাফি গুলো আমি দুটি পর্বের মাধ্যমে শেয়ার করব। দুটি পর্বের প্রথমটি আজ শেয়ার করবো। বারো মন্দির ঘাট নামক জায়গাটিতে আমার ঘুরতে খুবই ভালো লাগে। কয়েক মাস আগেও আমি এখানে গেছিলাম ঘুরতে। আলাদা একটা শান্তি লাগে গঙ্গার ঘাটে বসে সময় কাটাতে।

উত্তর 24 পরগণা জেলার ব্যারাকপুর মহকুমার অন্তর্ভুক্ত পানিহাটির সুকচরে হরিশ চন্দ্র দত্ত রোডে বারো মন্দির ঘাটটি অবস্থিত। 1213 বাংলা সালে প্রায় 200 বছর আগে তৈরি করা হয়েছিল । নবীন চন্দ্র দত্ত এটি নির্মাণ করেন । এটি তিনি নির্মাণ করেছিলেন তাঁর পিতা হরিশ চন্দ্র দত্তের স্মরণে। বারোটি সংলগ্ন শিব মন্দিরের সাথে ঘাটটি নির্মাণ করেন তিনি।

ফটোগ্রাফি-০১

20230206_175123.jpg
সূর্য ডুবে যাওয়ার পরের দৃশ্য এটি। সূর্য ডুবে যাওয়ার পর দূরের আকাশটা অনেকটা লাল হয়ে গেছিল। অসাধারণ সুন্দর এক দৃশ্য দেখা যাচ্ছিল গঙ্গার ঘাটে দাঁড়িয়ে। আমি তো হতবাক হয়ে গেছিলাম এত সুন্দর দৃশ্য দেখার সুযোগ পেয়ে। আমি অনেকটা সময় এই দৃশ্য উপভোগ করি। অনেকগুলো ফটোগ্রাফিও করেছিলাম এই দৃশ্যের। সেইগুলোর মধ্য থেকে এই ফটোগ্রাফিটি শেয়ার করলাম।


ফটোগ্রাফি-০২

20230206_171554.jpg

বারো মন্দির ঘাটে প্রবেশের পূর্বে যে গেটটি পড়ে সেই গেটের ফটোগ্রাফি। এটি সূর্য ডুবে যাওয়ার কিছু সময় আগে তুলেছিলাম। সূর্যের আলো যখন এই গেটের উপর পড়েছিল, লাল রং উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। খুবই সুন্দর লাগছিল তখন এই গেটটি দেখতে।


ফটোগ্রাফি -০৩

20230206_173353.jpg

গঙ্গা নদীর বুকে নৌকা বেয়ে চলেছে। এরকম দৃশ্য এই গঙ্গার ঘাটে গিয়ে সব সময় দেখার সুযোগ হয় না। মাঝে মাঝেই দেখা যায়। সেদিন আমার সৌভাগ্য হয়েছিল এরকম একটি দৃশ্য দেখার। বেশ ভালো লেগেছিল এমন দৃশ্য দেখার সুযোগ পেয়ে । নৌকার মাঝি যখন নৌকা নিয়ে যাচ্ছিল তখন ঘাটে থাকা কিছু লোক চিৎকার করে মাঝিকে ঘাটের কাছ দিয়ে যাওয়ার জন্য বলছিল। যদিও মাঝি এইসব কথায় কান না দিয়ে সে তার মত নৌকা বেয়ে চলেছিল তার গন্তব্যে।


ফটোগ্রাফি -০৪

20230206_175141.jpg

এই দৃশ্যটি বেশ ইন্টারেস্টিং ছিল । নদীর ঘাটে অনেকটা শ্যাওলা বেঁধে গেছিল । কিছু সময় পর দেখি সেখানে কয়েকটি কুকুর গিয়ে সেই শ্যাওলার উপর উঠে পড়েছে। কুকুরগুলোর আচরণ দেখে মনে হচ্ছিল তারা সেখানে কোন খাবার খুঁজছিল।


ফটোগ্রাফি-০৫

20230206_172533.jpg
এই ফটোগ্রাফিটিতে দেখা যাচ্ছে একটি লোক গঙ্গা স্নান করছে এবং গঙ্গাকে প্রণাম করছে, তার স্নান করার সময় সেই ঘাটে কিছু ছেলেরা দাঁড়িয়ে গঙ্গার সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করছে। কয়েক বছর আগে আমি এই গঙ্গার ঘাটে এসে স্নান করেছিলাম। সে এক অন্যরকম অনুভূতি হয়েছিলো গঙ্গায় স্নান করার সময়।


🦥পোস্ট বিবরণ🦥


শ্রেণীফটোগ্রাফি
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনপানিহাটি , ওয়েস্ট বেঙ্গল।

আজকে শেয়ার করা বারো মন্দির ঘাট ঘুরতে গিয়ে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভাইয়া আপনি বারো মন্দির ঘাট ঘুরতে গিয়ে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। রাতের বেলা গঙ্গা নদীর সুন্দর্য দেখতে অনেক ভাল লাগছিলো। গঙ্গা নদী বহমান তো তাই পানি পরিষ্কার থাকে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

বিকালের একটু আগে গিয়ে মোটামুটি রাত আটটা পর্যন্ত সেখানে সময় কাটিয়ে তারপর বাড়িতে আসি। অনেক সুন্দর লাগে রাতের গঙ্গা দেখতে।

বারো মন্দির ঘাট নামটা বেশ ইন্টারেস্টিং।আপনি বারো মন্দির ঘাটে গিয়ে সেখানে বেশকিছু ফটোগ্রাফি করেছেন, খুব ভাল লাগলো। আপনি ফটোগ্রাফির নীচে বর্ননা লিখে দিয়েছেন তাই আরো বেশি ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।

এত সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে কমেন্টটি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

মন্দিরে ঘাটে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন।মন্দিরে ঘাটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছেন। আপনি বারো মন্দির ঘাটে ঘুরতে গিয়ে তোলা ফটোগ্রাফি বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। ফটোগ্রাফির সাথে সাথে সুন্দর বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন পড়ে ভালো লাগলো। এতো সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্য দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।