নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো । সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আমিও অনেক ভাল আছি। |
---|
গত দুইদিন আগের একটি ঘটনা আজ শেয়ার করবো তোমাদের সাথে। রাজস্থান থেকে আমার এক মামাতো বোন এবং বোনের বরের আসার কথা ছিল সেইদিন রাত সাড়ে আটটার দিক। আমি এবং আমার দাদা সেই হিসেবে রাত আটটার দিকে আমাদের নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশন থেকে শিয়ালদহ এর উদ্দেশ্যে রওনা করি তাদের রিসিভ করার জন্য। তাদের সাথে যখন ফোনে কথা হয়েছিল তারা জানিয়েছিল ট্রেন একটু লেটে চলছে অর্থাৎ তাদের আসতে সাড়ে ন'টার মতো লেগে যেতে পারে। আমরা আটটায় রওনা করেছিলাম এই কারণে আমাদের এইখান থেকে শিয়ালদহ স্টেশনে যেতে মোটামুটি ৪৫ মিনিট এর মত সময় লাগে। যাই হোক ট্রেনে উঠে দমদম স্টেশনে আসতে আসতে আমাদের বৃহস্পতিবারের হ্যাংআউট শুরু হয়ে যায়।
আমরা ট্রেনে থাকা অবস্থায় হ্যাংআউটে জয়েন করি এবং অ্যাডমিন, মডারেটর সবার কথা খুব মন দিয়ে শুনি। কিছুদিন আগে আমাদের কমিউনিটিতে যা ঘটেছে সেই ব্যাপারে আমরা সবাই দুঃখী ছিলাম। সে সম্পর্কে সবার কথাগুলো শুনলাম এবং সবার অনুভবকে বোঝার চেষ্টা করলাম। ৪৫ মিনিট পর আমরা যখন শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছে গেলাম আমি বোনকে ফোন করলাম তারা কোথায় আছে জানার জন্য। তারা তখন জানালো বর্ধমান রয়েছে তারা। বর্ধমান থেকে শিয়ালদা আসতে মোটামুটি তিন ঘন্টার মত সময় লাগে। কিন্তু তারা জানায় ট্রেন যেহেতু একটু লেটে চলছিল আগে থেকে তাই এখন কিছুটা টাইম কভার করে দেবে এবং ট্রেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিয়ালদহে ঢুকে যাবে। বোনের সাথে তিন বছর পর দেখা হবে শুধু এই ভেবে যাচ্ছিলাম আর আমাদের সময়ই পার হচ্চিল না তারা কখন আসবে এই ভাবছিলাম । কিন্তু তাদের ট্রেন লেটেই চলছিল আগে আসার কোন পজিটিভ সিগনাল তাদের কাছ থেকে আমরা শুনতে পাচ্ছিলাম না। আমাদের স্টেশনে বসে হ্যাংআউট শুনতে শুনতে সময় যাচ্ছিল।
কিছু সময় পর আমরা স্টেশনের উপরে অনেকটা হাঁটাহাঁটি করি, চারপাশের মানুষজনকে একটু লক্ষ্য করার চেষ্টা করি। সেই রাতে স্টেশনে প্রচন্ড পরিমাণের ভিড় ছিল। কিছুটা সময় আমরা শিয়ালদহ স্টেশন থেকে একটু বাইরের দিকে হাঁটাহাঁটি করতে যাই। এই রাতেও কলকাতা শহর দিনের মতো মনে হচ্ছিল মানুষজনের ভিড় এবং কাজকর্মের ব্যস্ততা দেখে। যাই হোক আমরা আশেপাশের সমস্ত জায়গায় ঘোরাঘুরি করে মোটামুটি দশটার পর আবার স্টেশনে এসে কিছু সময় বসি এবং বোনদের ফোন করি তখন তারা জানায় তাদের আসতে মোটামুটি এখনও এক ঘন্টা সময় লাগবে। এই একঘন্টা কি করে পার হবে তাই ভাবছিলাম । এইবার প্লাটফর্মের এই পাশ থেকে ওই পাশ করে করে আমরা সময় গুলো পার করতে থাকি। অবশেষে রাত ১১ টার একটু পরে তারা শিয়ালদা স্টেশনে এসে পৌঁছায়।
এতদিন পর বোনকে দেখার পর আমার এত আনন্দ হচ্চিল সে কথা হয়তো ভাষায় প্রকাশ করে বোঝাতে পারবো না। বোনের সাথে কথা বলায় এত ব্যস্ত ছিলাম সেই সময় আমার ফোন দিয়ে ফটোগ্রাফি ধারণা করতে পারিনি কিন্তু আমার দাদা সবার কিছু ফটোগ্রাফি করে । অতঃপর শিয়ালদহ স্টেশনে আমাদের বাড়ি ফেরার জন্য আরো অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয় কারণ বাড়ি ফেরার পরের ট্রেন ১১ঃ৫০ মিনিট নাগাদ ছিল। সেই সময়টা আমারা স্টেশনে বসে অনেক গল্প করি। বোন অনেক দূর থেকে এসেছিল এবং তাদের অনেক খিদেও পেয়ে গেছিল তাই আমরা বাইরে থেকে টুকটাক খাবারও খেয়ে নি তখন। অতঃপর আমাদের যখন ট্রেন এর সময় হয় ট্রেনে উঠে আমরা বাড়িতে মোটামুটি রাত একটার দিকে চলে আসি।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: শিয়ালদহ স্টেশন , ওয়েস্ট বেঙ্গল।
আসলে প্রিয় মানুষের জন্য অপেক্ষার প্রহরগুলো যেন একটু দীর্ঘ হয়ে থাকে। তারপরেও অপেক্ষা করতে বেশ ভালই লাগে ।মনে হয় যেন এই বুঝি চলে আসবে ।বেশ ভালো লেগেছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ।অবশেষে আপনার বোন ভালোভাবে পৌঁছেছে এবং আপনারা বাড়িতে পৌঁছেছেন ঠিকঠাক মতো জেনে ভালো লাগলো । রাতের বেলাও স্টেশন টিতে বেশ ভিড় ছিল দেখা যাচ্ছে ।ভালো লাগলো।ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রিয় মানুষের জন্য অপেক্ষা করতে তো অবশ্যই ভালো লাগে কিন্তু সে অপেক্ষার সময়টা কেমন জানি শেষ হতে চায় না প্রিয় মানুষকে দেখার জন্য এত উদ্বেগ সৃষ্টি হয় মনের মধ্যে। রেল স্টেশনে রাতের বেলায় এত ভিড় ছিল দিন নাকি রাতটা বুঝতে পারছিলাম না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit