নমস্কার,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভালো আছো। আমিও ভালো আছি। |
---|
জানালায় রক্ত কি করে আসলো এর উত্তর তারা কেউই খুঁজে পায় না। এই নতুন শহরে আসার পর তাদের সাথে যে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে তারা হয়তো সেটা কল্পনাও করেনি। তবে প্রত্যেক মঙ্গলবারে এই জিনিসটা দেখতে হচ্ছিল তাদের। প্রথম প্রথম এই বিষয় নিয়ে কেউ কারও সাথে কথা না বললেও পরবর্তীতে পরিবারের সবাই মিলে এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করে। তিশা, তিশার মা, তিশার বাবা, তিশার ছোট ভাই সবাই যে যার অভিজ্ঞতা একে অন্যের সাথে শেয়ার করে। তখন তারা বুঝতে পারে তারা যে এই বাড়িটাতে রয়েছে সেটাতে করো না কোন সমস্যা অবশ্যই রয়েছে। সেদিন রাতে কোন রকম করে তারা একসাথে কাটায়। আর যেহেতু তারা এই জিনিসটা খেয়াল করেছে প্রত্যেক সপ্তাহের মঙ্গলবারেই এই ঘটনা ঘটেছিলো।
সেজন্য পরের দিন থেকে সামনের সপ্তাহ আসা পর্যন্ত তারা একটু নিশ্চিন্ত থাকে। এই সময়ের মধ্যে তারা আশেপাশের যে লোকজন গুলো ছিল। তাদের কাছ থেকে এই বাড়ি নিয়ে একটু খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করে। তারা অনেকেই বলে এই বাড়িতে পূর্বে যারা ছিল। তাদের ভেতরে তারা আতঙ্ক দেখতে পেয়েছিল এবং অনেকটা ভয়েই তারা বাড়ি ছেড়েছিল। পুরনো বাড়ি কম টাকায় কিনে তিশার বাবা যে বিপদে পড়েছে। সে সেটা তখন বুঝতে পারে। তবে এই সময় বাড়ি বিক্রি করা নতুন বাড়িতে শিফট করা তাদের জন্য সত্যি চ্যালেঞ্জিং ছিল। তারা প্রথম অবস্থায় কোন উপায় না পেয়ে এই ঘটনাগুলো কেন ঘটছে তার কারণ খোঁজ করার চেষ্টা করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তারা কারণ জানতে পারে না। পরে যার কাছ থেকে এই পুরনো বাড়ি তিশার বাবা কিনেছে তাদের শরণাপন্ন হয় এই বাড়ির আসল রহস্য জানার জন্য।
তবে যেহেতু তারা বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছে এই কারণ গুলো না বলেই। সেজন্য প্রথম অবস্থায় তারাও বলতে চায় না। তবে অনেক জোরাজোরি করার পর তারা এর আসল কারণ বলে। তারা জানায় যে অনেক আগে একবার তাদের এই বাড়িতে ডাকাতের উৎপাত হয়েছিল। ডাকাতের উৎপাত হলে তারা পুলিশকে ফোন করে। তারপর যখন পুলিশ আসে পুলিশ আর ডাকাতের মধ্যে গোলাগুলি হয়। সেই গোলাগুলিতে দুজন ডাকাত এই বাড়ির মধ্যেই মারা যায়। তারা রক্তাক্ত অবস্থায় পালানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু পালাতে পারেনি। এই বাড়ির ভিতরেই মারা যায়। সেজন্যই তাদের আত্মা হয়তো এখনো এই বাড়িতে ঘুরে বেড়ায়।
আর যেহেতু ওই ডাকাতির ঘটনা মঙ্গলবারে ঘটেছিল। সেই জন্যই প্রত্যেক মঙ্গলবারই এই সমস্যাটা দেখা যায়। যাইহোক, তিশার বাবা এই সমস্যার কথা জানতে পেরে এর একটা সলিউশন করতে চায়। কিন্তু এসব সমস্যা হলে কি করতে হয় এই সম্পর্কেও তিশার বাবা জানতো না। তবে তিশার বাবার এক পরিচিত লোক ছিল। তার কাছে সে এই সমস্যা সম্পর্কে সলিউশন করার জন্য যায়। অতঃপর যা যা করণীয় সবকিছু করে প্রতি মঙ্গলবার ঘটে যাওয়া এই ভৌতিক ঘটনাগুলো বন্ধ করায়। তারপর থেকে তারা শান্তিতে বসবাস করতে থাকে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ক্রিয়েটিভ রাইটিং (ভৌতিক গল্প) |
---|---|
লোকেশন | বারাসাত , ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit