দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে খেতে

in hive-129948 •  last year 

বন্ধুরা,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ভালো আছি।

প্রথমেই আজকের নতুন একটি ব্লগে সবাইকে স্বাগতম জানাই। আজকের ব্লগে ব্যারাকপুরের বিখ্যাত দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো তোমাদের সাথে।

20230617_204750.jpg

20230617_204400.jpg

কিছুদিন আগে "ব্যারাকপুর স্টেশনে অনেকটা সময়" নামে একটি ব্লগ শেয়ার করেছিলাম। যে ব্লগে তোমাদেরকে আমি জানিয়েছিলাম আমি ব্যারাকপুরে বন্ধুদের সাথে দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করার জন্য গেছিলাম এই মাসের ১৭ তারিখ। ব্যারাকপুর স্টেশনে গিয়ে আমাকে অনেকটা সময় অপেক্ষাও করতে হয়েছিল আমার এক বন্ধুর জন্য। যাই হোক ব্যারাকপুর স্টেশনে আমরা তিন বন্ধু একসাথে হওয়ার পর আমরা দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে রওনা করি।

ব্যারাকপুর স্টেশনের একদম পাশেই দাদা বৌদির দুটি বড় রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এই ব্যারাকপুর স্টেশনের কাছে আগে দাদা বৌদির ছোট রেস্টুরেন্টে ছিল। এখন সেটি বিশাল বড় করে করেছে। সাততলা ভবন করে তারা নতুন রেস্টুরেন্টটি করছে। যদিও নতুন রেস্টুরেন্টের কাজ এখনো সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে পারিনি। স্টেশন থেকে পায়ে হেঁটে একটু এগিয়ে গেলেই এই রেস্টুরেন্টে চোখে পড়ে। প্রথমে আমরা তিন বন্ধু মিলে ঠিক করেছিলাম নতুন রেস্টুরেন্টে যাব কিন্তু পরে ভেবে দেখলাম নতুন রেস্টুরেন্ট করার কারণে দামের তারতম্য হয় কিনা সেই জন্য আর সেখানে যায়নি।

20230617_204334.jpg

20230617_204302.jpg

আগে যখন এই রেস্টুরেন্টটি ছোট আকারের ছিল তখন দাম অনেকটাই কম ছিল অন্য যে রেস্টুরেন্ট টি রয়েছে তার তুলনায়। যাই হোক এই কনফিউশনে আর যায়নি আমরা। তাই আমরা অন্য যে রেস্টুরেন্ট টি রয়েছে, এর আগেও যেখানে আমরা গেছি সেখানেই চলে যাই তিন বন্ধু। পায়ে হেঁটে দুই মিনিট গেলেই এই রেস্টুরেন্ট টি চোখে পড়বে। এই রেস্টুরেন্টটিও যথেষ্ট বড় ছিল। রেস্টুরেন্ট টি তিনতলা ছিল। আমরা প্রথমে রেস্টুরেন্টের মধ্যে ঢুকে বসার জন্য জায়গা পাই না। সেই জন্য আমাদেরকে কিছু সময় বাইরে বসতে হয় ।

তারপর রেস্টুরেন্টের এক কর্মী এসে আমাদের তিনতলায় নিয়ে যায় এবং আমাদেরকে একটি জায়গা দেখিয়ে দেয়। যেখানে আমরা তিনজন মিলে বসে পড়ি। এরপরে আমাদের তিন বন্ধুর আলোচনা শুরু হয় কে কি খাবে এই নিয়ে। দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে এসে আমি অনেকবারই বিরিয়ানি খেয়েছি তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বিরিয়ানি খাব না । তাই আমি আমার নিজের জন্য ভেজ মাঞ্চুরিয়ান আর ভেজ ফ্রাইড রাইস অর্ডার করি। আর আমার অন্য দুই বন্ধু তাদের জন্য বিরিয়ানি অর্ডার করে। আমরা খাবারের সাথে সর্ব মোট পাঁচটি কোল্ড্রিংস এবং জলেরও অর্ডার করি।

20230617_204355.jpg

20230617_211306.jpg

আমাদের অর্ডার করার প্রায় ১৫ মিনিট পরেই আমার খাবার অর্থাৎ ভেজ ফ্রাইড রাইস আর ভেজ মাঞ্চুরিয়ান চলে আসে। আমার খাবার চলে আসার পর আমি কয়েক মিনিট অপেক্ষা করি আমার বন্ধুদের খাবার আসার জন্য। কিন্তু যখন দেখি তাদের খাবার আসছে না তখন কি করব বুঝতে পারছিলাম না । তখন বন্ধুরা বলে, খেয়ে নিতে। বেশি সময় খাবার এমন করে রেখে দিলে খাবারও ঠান্ডা হয়ে যাবে আর সঠিক টেস্ট পাওয়া যাবে না। সেই জন্য আমি প্রথমেই খাওয়া শুরু করে দেই। তাদের খাবার আসতে লেট হওয়ার কারণে তারাও কিছু কিছু খাবার নিয়ে খাচ্ছিল আমার প্লেট থেকে।

রেস্টুরেন্টে অনেক ভিড় থাকার কারণে তাদের খাবার আসতে একটু লেট হয়ে গেছিল। প্রায় ২৫ মিনিট পরে তাদের খাবার আসে। তাদের খাবার আসতে আসতে আমার খাবারের অনেকটাই শেষ করে ফেলেছিলাম আমি সবার সাথে গল্প করতে করতে। যাই হোক তাদের খাবারগুলো চলে আসলে আমরা তিন বন্ধু মিলে যে যার খাবার ইনজয় করি এবং অনেক গল্প আড্ডা করি। অনেকটাই মজা করেছিলাম আমরা তিন বন্ধু সেদিন খাওয়ার সাথে গল্প করতে করতে করতে। বন্ধুদের সাথে এরকম সময় কাটাতে পারলে সত্যিই বেশ অসাধারণ লাগে। সেদিন বন্ধুদের সাথে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাড়িতে ফিরতে ফিরতে অনেকটাই লেট হয়ে গেছিল আমার।

20230617_214206.jpg

পোস্ট বিবরণ

ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনব্যারাকপুর, ওয়েস্ট বেঙ্গল।

দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া নিয়ে শেয়ার করা আজকের ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

দাদা বৌদির রেস্টুরেন্টের কথা এর আগে বিভিন্ন জনের পোস্টের মাধ্যমে জেনেছিলাম। এই রেস্টুরেন্টের খাবার সবার অনেক পছন্দের। আসলে এত লোভনীয় ও মজার খাবার হলে পছন্দ তো হবেই। সত্যি ভাইয়া খাবার গুলো দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। অনেক ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি জেনে।

আপু এই রেস্টুরেন্টটি বিরিয়ানির জন্য সবথেকে বেশি ফেমাস। তবে এইবার আমি সেখানে গিয়ে বিরিয়ানি খাইনি, অন্য খাবার খেয়েছিলাম। আমি যে খাবার খেয়েছিলাম সেটাও অনেক টেস্টি ছিল।

এখন দেখছি রেস্টুরেন্টের নতুন নিয়ম চালু করেছে, সেটা হল কলাপাতায় বিরিয়ানি। যেটা এর আগে দিত না। যাইহোক নতুন যে রেস্টুরেন্টটা করেছে ৫ তলা, ওটা এখনো পর্যন্ত যাওয়া হয়নি তবে কিছুদিনের মধ্যেই যাওয়ার ইচ্ছা আছে মাটন বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য।

দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে এখন খাবার গুলো কলাপাতার উপরই দেওয়া হয়। আমি এর আগে গিয়ে যতবার খেয়েছি কলা পাতায় দেয়নি । এবারই গিয়ে প্রথম পেলাম।

দাদা বৌদি রেস্টুরেন্ট নামটি খুবই চমৎকার। দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে খুবই সুস্বাদু খাবার খেয়েছেন। নিশ্চয়, দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টের খাবার গুলোর মান যথেষ্ট ভালো। চমৎকার এই রেস্টুরেন্টের সুস্বাদু খাবার খাওয়ার মুহূর্তটুকু আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে এ ধরনের রেস্টুরেন্টে বন্ধুদের সাথে খাবার খাওয়া আর আড্ডা দেওয়ার মজাই আলাদা।

হ্যাঁ ভাই এই রেস্টুরেন্টের খাবার খুবই সুস্বাদু ছিল। সেদিন সেখানে খেতে গিয়ে বন্ধুদের সাথে খুব সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছিলাম।

কখনো খাওয়ার সুযোগ হয় কিনা জানিনা দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে। তবে খাবার গুলো দেখে বুঝা যাচ্ছে অনেক লোভনীয়। অনেক মজার করে খাওয়া দাওয়া করলেন তিন বন্ধু মিলে। অসাধারণ একটি ব্লগ শেয়ার করলেন আপনি আমাদের সাথে। অনেক ভাল লেগেছে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আপু আমাদের কলকাতায় কোনো দিন ঘুরতে আসলে অবশ্যই এই দাদা বৌদি রেস্টুরেন্ট থেকে বিরিয়ানি খেয়ে যাবেন। এটা আমাদের কলকাতার খুবই ফেমাস বিরিয়ানির জায়গা। যাই হোক আমার শেয়ার করা ব্লগের প্রশংসা করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।

আপনারা তিন বন্ধু মিলে, ব্যারাকপুরের দাদা বৌদিতে গিয়ে অনেক এনজয় করেছেন দেখছি। ব্যারাকপুরে দাদা বৌদির বিরিয়ানিটাই খুব ফেমাস শুনেছি ,তবে আপনি দেখছি ভেজ ফ্রাইড রাইস আর ভেজ মাঞ্চুরিয়ান খেয়েছিলেন। সেটিও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু ছিল খেতে। নতুন তৈরি হওয়া সাত তলা ভবন বিশিষ্ট দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টের কথা জানা ছিল না, আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম।

দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টের এই নতুন বিল্ডিংটির কথা আমি বেশ আগেই শুনেছিলাম কিন্তু এইবার গিয়েই সামনে থেকে দেখেছিলাম।