বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে লাইফ স্টাইল রিলেটেড একটি পোস্ট তোমাদের সাথে শেয়ার করবো। আসলে এ পোস্টটিতে কালীপুজো নিয়ে ঘোরাঘুরি সম্পর্কিত কিছু কথা শেয়ার করবো। এবারের কালী পুজো আমাদের বারাসাতেই হচ্ছে।এই কারণে সবকিছু ঘুরে দেখা অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে। তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে বারাসাতের কালী পূজো দেখতে আসার কারণে এখানেও প্রচন্ড ভিড় হয়ে যায় লোকের। সেই কারণে অনেকটা ধাক্কাধাক্কি করেই বিভিন্ন পূজো প্যান্ডেল দেখতে হয়। তাছাড়া লাইনে অনেক সময় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সব পূজো প্যান্ডেল দেখার জন্য।

আজকে যখন পূজো প্যান্ডেল দেখতে বেরিয়েছিলাম এরকম কয়েকটা প্যান্ডেলে গিয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তাছাড়া লোকের ধাক্কাধাক্কি খেয়ে বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যেতে হচ্ছিলো। আজ সন্ধ্যার পর থেকেই পুজো প্যান্ডেল দেখা শুরু করেছিলাম। তারপর রাত ১১ টা পর্যন্ত সব পূজো প্যান্ডেল দেখেছি। সবশেষ যে পুজো প্যান্ডেলটি দেখেছি সেটি শেয়ার করবো আজকের এই ব্লগে। এই পূজো প্যান্ডেলটি ছিল চৌমাথায়। মধ্যমগ্রামে চৌমাথা নামক একটি জায়গা রয়েছে সেখানে প্রত্যেক বছরই খুব সুন্দর করে পূজো প্যান্ডেল করা হয়। আমি প্রত্যেক বছরই এইখানের পূজো প্যান্ডেল দেখার জন্য আসি। তাদের পুজো প্যান্ডেলে সবসময় ইউনিক কিছু করার চেষ্টা করে। তাছাড়া এই জায়গার মধ্যে সবথেকে বড় এখানে করা হয়। আর এইখানে পুজো প্যান্ডেলের পাশাপাশি মাঠের কিছুটা জায়গায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই কারণে এখানে লোকের ভিড় বেশি হয়ে যায়।যাইহোক, সবশেষে এখানে এসে অনেকটা সময় দাঁড়াতে হয়েছিল পূজো প্যান্ডেল দেখার জন্য।

অবশেষে এখানে ঢুকে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই পুজো প্যান্ডেলের লাইটিং আর সাজানো দেখে। কোন একটা মন্দিরের মতো করে এই পূজো প্যান্ডেলটি করা হয়েছিল। তবে আমি যেহেতু শেষ মুহূর্তে গেছিলাম তাই কোথাও গিয়ে এটি কোন মডেলে করা হয়েছে সেটা সম্পর্কে জানতে পারিনি। যাইহোক, পূজো প্যান্ডেলে বেশ ভিড়ই ছিল তাড়াতাড়ি করে সবকিছুই দেখতে হচ্ছিলো। আমি তাড়াতাড়ি করে পূজো প্যান্ডেল ঘোরার সময় কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। যেগুলো আজকের ব্লগে তোমরা দেখতে পাবে।

এই বছর যে কয়েকটি পূজো প্যান্ডেল দেখেছি তার মধ্যে ভালো লাগার লিস্টে এই পূজো প্যান্ডেলটিও রয়েছে। যাইহোক, পুজো প্যান্ডেলের ভিতরে গিয়ে বেশি সময় দাঁড়াতে দেয়নি। তাই কোন রকম করে সবকিছু দেখে নিয়ে এখান থেকে বেরিয়ে পড়ি। এই পূজো প্যান্ডেলটি আজকের ঘোরাঘুরির শেষে দেখেছিলাম। আর শেষের দেখাটা বেশ ভালোই লেগেছিল। তাই বলবো আজকের ঘোরাঘুরিটা বেশ ঠিকঠাকই গেছে।

---

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণী	লাইফ স্টাইল
ডিভাইস	Samsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার	@ronggin
লোকেশন	মধ্যমগ্রাম চৌমাথা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।

বন্ধুরা, আজকের এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

---

---

---

---

---

আমার পরিচয়

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷