বন্ধুরা,
তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। |
---|
গত দুইদিন ধরে আমার শরীর একটু খারাপ। গতকালকের ব্লগে তোমাদের সাথে সে সম্পর্ক শেয়ার করেছিলাম। এমনিতে গরমের তীব্রতায় জীবনযাত্রা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তার মধ্যে এই অসুস্থতা বেশ একটা বাজে অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। যাইহোক অসুস্থ শরীর নিয়েই আজকের ব্লগ লিখতে বসলাম । আজকের ব্লগে আমি কিছুদিন আগের একটি ঘটনা শেয়ার করব। ঘটনা বলতে তেমন কোন সারপ্রাইজিং ব্যাপার বা অন্য কিছু না। লাইটিং সাইনবোর্ড তৈরি করাতে কলকাতায় গেছিলাম সেই সম্পর্কে শেয়ার করবো।
যেদিন এই লাইটিং বোর্ড বানাতে যাব সেই দিন সকালেই আমার এক বন্ধুর কল আসে। বন্ধু কল করে আমাকে জানায় তার সুপার শপের জন্য একটি সাইনবোর্ড বানাতে কলকাতায় যেতে হবে। কিছুদিন আগের একটি ব্লগে আমার বন্ধুর সুপার শপ ওপেনিং নিয়ে একটি ব্লগও তোমাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। তোমরা যারা ওই পোস্টটি দেখেছো তারা বুঝতে পারবে কোন সুপার শপের কথা বলছি । যাই হোক বন্ধু কল করে কলকাতা যাওয়ার কথা বললে আমি সাথে সাথে কোন কিছু বলিনি তাকে। তার কাছ থেকে আমি একটু সময় চেয়ে নিয়েছিলাম এবং জানিয়েছিলাম আমি কিছু সময় পরে তাকে জানাচ্ছি। এক ঘন্টা পরে তাকে ফোন করে আমি জানাই , দুইজন তাহলে দুপুরের একটু পরে কলকাতায় গিয়ে কাজটি করিয়ে আনবো । যেমন কথা তেমন কাজ। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে বাড়ি থেকে দুই বন্ধু একসাথে বেরিয়ে পড়ি। প্রথমে ট্রেনে করে দমদম, তারপর দমদম থেকে মেট্রোতে করে নামি সেন্ট্রালে। মূলত এই সেন্ট্রাল থেকেই আমাদের সেই লাইটিং সাইনবোর্ড তৈরির মার্কেটে যেতে হয়। এই জায়গার খোঁজ আমার জানা ছিল না। আমার বন্ধুই আমাকে গাইড করে এখানে নিয়ে যাচ্ছিল।
সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড পায়ে হেঁটে যাওয়ার পর পর একটি সাইনবোর্ড আমাদের চোখে পড়ে । যেখানে লেখা ছিল বিবি গাঙ্গুলী স্ট্রিট। আমরা সেই রোড ধরেই এগিয়ে যাই সামনে। প্রায় চার মিনিট পায়ে হেঁটে যাওয়ার পর আমরা আমাদের কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌঁছে যাই। আমার বন্ধু আগেও এখানে এসেছিল। তাই তার কোন দোকানে যেতে হবে তাই নিয়ে কোন কনফিউশন ছিল না । সে সরাসরি তার পরিচিত দোকানে চলে যায় লাইটিং সাইনবোর্ড বানানোর বিষয়ে সব কথাবার্তা বলার জন্য। আমার এখানে বিশেষ কোনো কাজ ছিল না। শুধুমাত্র বন্ধুর সাথে গেছিলাম ওর একা একা যেতে ইচ্ছা করছিল না সেই জন্য। বন্ধু যখন দোকানে গিয়ে এসব নিয়ে কথাবার্তা বলতে থাকে আমি তখন আশেপাশে একটু ঘুরে দেখার চেষ্টা করি।
সবকিছু এখানে খুচরো এবং পাইকারি সব ভাবেই করা হয়। ছোট বড় যেকোনো ধরনের কাজ এখান থেকে করিয়ে নেওয়া যায় লাইটিং সাইনবোর্ড রিলেটেড। আমি কিছু সময় কয়েকটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে তাদের লাইটিং সাইনবোর্ড তৈরির কাজগুলো দেখি । তাদের কাজ করার স্পিড ছিল অসাধারণ । খুব দ্রুত ভাবেই তারা এই কাজগুলো করে যাচ্ছিল। আমার বন্ধু প্রায় কুড়ি মিনিটের মতো সময় নিয়ে সে তার কাজ পরিচিত দোকানে বুঝিয়ে দিয়ে আসে। তার কথাবার্তা কমপ্লিট হয়ে যাওয়ার পরে আমার কাছে এসে জানায়, দুই দিন পর আসতে হবে এই লাইটিং সাইনবোর্ড নিতে । যাইহোক বন্ধুর কাজ কমপ্লিট হয়ে গেলে আমরা দুই বন্ধু কলকাতার রাস্তায় টুকটাক একটু হাঁটাহাঁটি করি। চলার পথে পাশের একটি দোকান থেকে দুইজনে দুই কাপ চা খেয়ে নি । তারপর সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন হয়ে প্রথমে দমদম এবং পরে দমদম থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করি।
পোস্ট বিবরণ
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | বিবি গাঙ্গুলী স্ট্রিট, কলকাতা - ৭০০০১৪ |
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit