পুজোর ঘোরাঘুরি শেষ করে টুকটাক খাওয়া-দাওয়া করা

in hive-129948 •  15 days ago 

নমস্কার,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও বেশ ভালো আছি।

বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। তোমরা সবাই জানো যে আমাদের এইখানে বর্তমানে কালীপূজো চলছে। আর আমাদের এই বারাসাতের কালীপূজো মানে বিশাল আয়োজন করা হয় সব জায়গাতে। কালীপূজোর আগে থেকে শুরু করে পরবর্তীতে চারদিন বেশ ধুমধাম করে সবাই এই পূজো প্যান্ডেল গুলো উপভোগ করে থাকে। আমিও লাস্ট কয়েকদিন ধরে বেশি ঘুরাঘুরি করছি কোনদিন বন্ধুদের সাথে কোনদিন ফ্যামিলি কে সাথে নিয়ে এভাবেই ঘুরে বেড়াচ্ছি। আজকেই ফ্যামিলির সাথে গেছিলাম পূজোর ঘুরাঘুরি করার জন্য। অন্যান্য দিন যে সাইড গুলোতে দেখেছিলাম পূজো আজ একটু অন্য সাইডে গেছিলাম। আজকে গেছিলাম বারাসাতের টাকি রোডের দিকে। এখানে বেশ কয়েকটি বড় প্যান্ডেল করেছে যদিও সে সম্পর্কে আজকের ব্লগে শেয়ার করবো না।

20241103_230258.jpg

20241103_225706.jpg

আসলে আজ বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত ১১:৩০ টার বেশি বেজে গেছে। বাড়ি আসার পরেই একটু ফ্রেশ হয়ে আজকের ব্লগ লিখতে বসেছি। যাইহোক, আজকের ঘোরাঘুরি শেষ করে আমরা যাই মধ্যমগ্রামের চৌমাথা। আসলে আজ আমরা বাড়িতে কোন খাওয়া-দাওয়া করব না সেই প্লানই করেছিলাম। সাধারণত আমাদের পরিবারকে সাথে নিয়ে বাইরে তেমন একটা খাওয়া-দাওয়া হয় না। আমরা নিজেরা বন্ধু-বান্ধব বাইরে গেলে টুকটাক তাও খাওয়া-দাওয়া করি। তবে আজ ভেবেছিলাম পরিবারের সাথে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করবো। যাইহোক, ঘুরাঘুরি শেষ করে মোটামুটি আমরা ১১টার দিকে চলে যাই মধ্যমগ্রামের একটি ভালো রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টের নাম দা রয়েলস সেফ এই রেস্টুরেন্ট আমি আগেও খেয়েছি এদের খাবারগুলো আমার বেশি ভালোই লাগে।

20241103_230240.jpg

20241103_230254.jpg

যাইহোক, যেহেতু রেস্টুরেন্টটি ভালো ছিলো তাই অবশেষে এখানেই খাওয়ার সিদ্ধান্ত আমাদের ফাইনাল হয়। অবশেষে আমরা এই রেস্টুরেন্টে পৌঁছে যাই। অন্যান্য দিন ভিড় থাকলেও আজ আমরা যে সময় গেছিলাম খুব বেশি ভিড় পাইনি। খুব বেশি ভিড় না থাকার কারণে রেস্টুরেন্টের ভিতরে ঢুকে আমরা আমাদের টেবিল সিলেক্ট করি। তারপর খাবারের মেনুগুলো আমাদের সামনে নিয়ে আসে।আমরা আমাদের পছন্দমতো খাবারগুলো পরবর্তীতে অর্ডার করি। আমি আমার জন্য ভেজ চাওমিন আর মা এবং দাদা তাদের জন্য ফিশ ফিঙ্গার আর মটন বিরিয়ানি অর্ডার করে। খাবার অর্ডার করে আমরা নিজেরা নিজেরা গল্প করতে থাকি। এখানে আসার পরে গল্প করতে আমাদের বেশ ভালই লাগছিল।নিজেদের কিছু ফটোগ্রাফিও করি।

20241103_233009.jpg

যাইহোক, ৩০ মিনিটের মধ্যেই আমাদের খাবার গুলো আমাদের টেবিলে চলে আসে। খাবারগুলো আসার পর আমরা সব খাবারগুলো নিজেদের মধ্যে শেয়ার করে খাই। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে তারপর আমরা বাড়ির আসার প্ল্যান করি। আসলে প্রথমে সিদ্ধান্ত ছিল আমরা ট্রেনে করে আসবো কিন্তু ট্রেন টাইম অনেক দেরিতে থাকায় আমরা অন্য রাস্তা হয়ে অটো করে বাড়িতে ফিরে আসি। এতটুকুই শেয়ার করা ছিল আজকের ব্লগে।


পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীলাইফ স্টাইল
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনমধ্যমগ্রাম, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, আজকের এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

IMG_20220728_164437.jpg

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷

First_Memecoin_From_Steemit_Platform.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

ঠাকুর দেখছো আর খাওয়া দাওয়া করছো।। বেশ আছো কিন্তু ভাই। মধ্যমগ্রাম চৌমাথাতে সপ্তাহখানেক আগেই আমি গেছিলাম।। চায়ের বাড়িতে কজন মিলে খাওয়া দাওয়া করেছি। আজ তোমার পোস্ট দেখে খুব ভালো লাগলো। অনেক আনন্দ করো। ভালো থেকো।

আমার এই পোস্ট টি দেখে যে আপনার খুব ভালো লেগেছে, সেটা জেনে অনেক খুশি হলাম দাদা আমি।

আপনি অনেক ভালো করেছেন।আসলে পরিবার নিয়ে খাওয়া দাওয়ার মজাই আলাদা। আপনারা সবাই মিলে বেশ মজা করে খেয়েছেন নিশ্চয়। আসলে ঘোরাঘুরি শেষে এভাবে খাওয়া দাওয়া করতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

পুজোর ঘুরাঘুরি করা শেষ করে আপনি তো দেখছি বেশ মজা করে খাওয়া দাওয়া করেছিলেন। আপনার খাওয়া দাওয়ার মুহূর্তটা দেখে, এখন তো আমার অনেক বেশি লোভ লেগে গিয়েছে। প্রত্যেকটা খাবার দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি মজাদার ছিল। ঘুরাঘুরি করার পর খাওয়া দাওয়া না করলে যেন ভালোই লাগে না।