মুঠোফোনে বন্দী সাইন্স সিটি 😊

in hive-129948 •  2 years ago 

নমস্কার,,,

ইন্ডিয়া থেকে ঘুরে এসেছি মোটামুটি এক মাস হতে চলল। অনেক কিছুই পোস্ট করেছি এবারের ঘোরাঘুরি নিয়ে। বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছিলাম। ফোনের গ্যালারি আজকে ঘাটতে বসে হঠাৎ করেই চোখে পড়লো এখনো বেশ কিছু জায়গার ছবি পোস্ট করা বাকি আছে। চিন্তা করলাম সেখান থেকে আজকে একটা পোস্ট করে দেই।

IMG_20220910_185650.jpg
Location

IMG20220812164909.jpg
Location

IMG20220812164944.jpg
Location

চায়না টাউন থেকে বের হয়ে দাদা আমি আর নিলয় দা তিনজন মিলে সোজা রওনা দিলাম সাইন্স সিটির দিকে। মোটামুটি বিকেল হয়ে গেছে ততক্ষণে। আমারও শরীরের বারোটা বেজে গেছে। একটানা ৫ দিন হল ছোটাছুটি করছি। শরীরটা মোটামুটি ভেঙ্গে পরেছিল। গায়ের ভেতরে জ্বর জ্বর অনুভব করলাম। হালকা গলা ব্যথা হতে শুরু করল। এসবের মাঝেই এসিতে থাকছি আবার বেরোচ্ছি। অসুবিধাটা সেজন্য আরও বেশি হচ্ছিল। গাড়িতে বসেই একটা প্যারাসিটামল খেয়ে নিলাম।

IMG20220812165554.jpg
Location

IMG20220812165632.jpg
Location

IMG20220812165714.jpg
Location

IMG20220812165702.jpg
Location

সাইন্স সিটির ভেতরে আমরা তিন জন মিলে রোপওয়ে তে প্রবেশ করলাম। মোটামুটি সাত, আট তলা বিল্ডিং এর সমান উচ্চতা হবে। আমরা তিনজনেই চারদিকের ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে গেলাম। এক কথায় অসাধারণ লাগছিল ওপর থেকে সাইন্স সিটির পুরো পরিবেশ দেখতে।

IMG20220812171340.jpg
Location

IMG20220812170904.jpg
Location

তারপর সেখান থেকে নেমে খুব দ্রুত একটা শো দেখতে চলে গেলাম। আমাদের মিনিট পাঁচেকের মত দেরি হয়ে গিয়েছিল। বলা চলে আমি এবং দাদা একদম দৌড়ে দৌড়ে ঢুকেছি আর নিলয় দা ছিল সবার আগে। ভেতরে ঢুকেও আরেক কান্ড। বসার চেয়ার খুঁজে ওপরে উঠতে উঠতে এত উপরে উঠে গেছি বুঝতেই পারিনি একদম শেষ প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছি। ওঠার সময় খুব একটা বুঝতে পারেনি তবে চেয়ারে বসে রীতিমত বুক কেঁপে উঠছিল নিচের দিকে তাকালে। আমি আর দাদা তো ভীষণ হাসাহাসি করছিলাম এই নিয়ে কারণ ওইদিকে নিলয় দা ভয়ে চোখ বন্ধ করেছিল মাথা ঘুরছে দেখে।
চমৎকার একটা শো ছিল এক কথায়। আমি আর দাদা বেশ মজা করে দেখেছি।

IMG20220812174134.jpg
Location

IMG20220812174554.jpg
Location

IMG20220812174607.jpg
Location

IMG20220812180800.jpg
Location

IMG20220812180746.jpg
Location

IMG20220812181811.jpg
Location

শো থেকে বেরিয়েই চলে গেলাম অপর পাশের গ্যালারিতে। বলা চলে বিজ্ঞান নিয়ে খেলা হচ্ছে এখানে যেন । ছোট-বড় নানান ধরনের সব মজার বিষয়বস্তু নিয়ে সাজানো হয়েছে প্রতিটি কর্নার। আমরা তিনজন মিলে বেশ মজা করে ঘুরলাম একদম পাঁচতলা থেকে নিচতলা পর্যন্ত।

IMG20220812182405.jpg
Location

IMG20220812182424.jpg
Location

IMG20220812182642.jpg
Location

IMG20220812182919.jpg
Location

সত্যি বলতে সাইন্স সিটির আসল মজাটা স্বচক্ষে দেখে। মুখে গল্প শুনে বা ছবিতে দেখে আসল মজাটা একদমই পাওয়া যাবে না। আর এত চমৎকার একটা পরিবেশ ছোট থেকে বড় সবাই যেন মিশে যেতে পারে জায়গাটার সাথে। আমরা পুরোটা ভালোভাবে ঘুরে দেখতে পারেনি সময়ের অভাবে। তবে ইচ্ছা আছে এরপর যদি আবার কখনো কোলকাতা যাই তবে আরেকবার সাইন্স সিটি থেকে ঘুরে আসবো।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এমনিতেই দেখেইতো বিভোর হয়ে পড়েছি সাইন্স সিটি ফটোগ্রাফি গুলো। দেখতে অবাক করার মত সৌন্দর্য বিরাজ করছে। আর আপনার কথা শুনে ইচ্ছে করছে নিজে গিয়ে একবার স্বচক্ষে দেখে আসি। শারীরিক অসুস্থতা এবং সময় স্বল্পতার কারণে ভালো করে ঘুরে দেখতে পারেননি জেনে খুবই খারাপ লাগছে। আমাদেরকে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।

একবার সময় করে যাবেন , দারুন লাগবে এক কথায়। অনেক চমক পাবেন। ভালো থাকবেন ভাই।

দাদার পোস্টে আমি সবকিছু পড়েছিলাম ভাইয়া। সেদিনও সাইন্স থিয়েটারের শো-য়ের ব্যাপারটা বুঝিনি আজকেও বুঝলাম না। সেটা কিসের উপর ভিত্তি করে হয় ভাইয়া? দাদার বেশ সাহস তা বুঝাই যাচ্ছে।

ধরুন বিশাল বড় একটা সিনেমা হল,, সেখানে বিজ্ঞানের নানান আবিষ্কার নিয়ে এবং আদি কাল থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত বিবর্তনের নানান ধাপ সব কিছু মিলিয়ে একটা ভিডিও সিরিজ বানানো হয়। এক একটা পার্ট ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মত। নানান ধরনের অ্যানিমেশন দিয়ে এবং গ্রাফিক্স দিয়ে পর্ব গুলো বানানো হয়। আর পুরো হল টা তে এমন এমন এঙ্গেল থেকে প্রজেক্টর দেওয়া আছে যে, ওখানে বসে থাকলে মনে হবে যে আপনিও ঠিক ঐ ভিডিওর দৃশ্য গুলোর মাঝে বসে আছেন। বাস্তবেই যেন আপনি অমন একটা পরিবেশে বসে। চমৎকার লাগে দেখতে। বোঝাতে পারলাম কি একটু?

জি ভাইয়া বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন না বুঝে কই যাই 🙂।

হিহিহিহি,,, আমি ধন্য 🙏। কোলকাতা গেলে অবশ্যই সাইন্স সিটি ঘুরে আসবেন। অনেক চমক পাবেন।

দারুন দারুন দাদা, কলকাতায় গিয়ে সাইন্স সিটির যে বর্ণনা আপনি দিলেন সত্যিই মুগ্ধ হওয়ার মত আসলে খুব ইচ্ছা করছে অবশ্যই সুযোগ পেলে দেখে আসবো ইনশাআল্লাহ। ফটোগ্রাফি গুলো সব মিলিয়ে দারুন ছিল চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এত চমৎকারভাবে সাইন্স সিটি ঘুরার আনন্দঘন মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য। সবচেয়ে বড় ব্যাপার ছিল আপনার সাথে আমাদের প্যান্টম দাদা ছিল তাই বেশি আনন্দ পেয়েছিলেন।

ভাবি আর বাচ্চাদের সাথে নিয়ে যাবেন ভাই। সবাই এক সাথে থাকলে অনেক মজা লাগবে। আর হ্যাঁ দাদা ছিল বলেই এত আনন্দ করে আসতে পেরেছি। ভালো থাকবেন ভাই

ভাইয়া আমার তো ইচ্ছে করছে সরাসরি গিয়ে সাইন্স সিটিতে ঘুরে আসতে। বেশ সুন্দর এবং অবাক করা অনেক কিছু রয়েছে। অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও আপনি পিছপা হন নি ঘোরাঘুরি করতে। তাছাড়া সাবধানে থাকবেন ভাইয়া আবহওয়ার পরিবর্ত তাই প্রায় সব জায়গায় অসুস্থতা দেখা দিচ্ছে। এবং অনেকে তো ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে।

ইচ্ছে টা কে যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবে পূর্ন করুণ আপু। জীবন টা অনেক ছোট তো। অনেক ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর করে সাজিয়ে মন্তব্য করার জন্য।

দাদার পোস্টে দেখেছিলাম সায়েন্স সিটির সৌন্দর্য। রোপওয়েটা বেশ চমৎকার। চেয়ারে বসে সোজা উপরে। তবে আপনি একটানা পাচঁ দিন কিভাবে ছুটাছুটি করলেন 😬। আমি হলে তো শেষ একদম। যায়হোক, কখনো দেখার সৌভাগ্য হলে ভালোই হতো সায়েন্স সিটি।

ওরে ভাই রোজ সকালে বের হতাম রাত এগারোটার পর বাড়ি ঢুকতাম। চোষে বেরিয়েছি এক কথায়। হিহিহিহি। আপনি যান একবার,, আপনিও পারবেন 😊

আপনার তোলা সাইন্সসিটি এর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগুলো করার পাশাপাশি বর্ণনা গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল

অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন সবসময়।

কলকাতার সাইন্স সিটিতে আমিও একবার গিয়েছিলাম। খুবই ভালো লেগেছিল ভেতরের বিভিন্ন জিনিস দেখে। আমরাও একটি থ্রিডি মুভি দেখেছিলাম বাচ্চারা সহ। খুব ইনজয় করেছিলাম।রোপওয়ে অবশ্য ওঠা হয়নি। কারণ একটু ভয় লাগে এত উপরে উঠতে। আপনার আজকের সাইন্স সিটির ছবিগুলো দেখে পুরনো স্মৃতিগুলো চোখের সামনে একদম ভেসে উঠলো। সময় পেলে আরও একবার যেতে হবে।

রোপওয়ে তে এমনি ভয় পাই নি, তবে হাত বের করে ছবি তুলতে ভয় পাচ্ছিলাম,, মোবাইল টা যদি পরে যায় নিচে এই ভয়ে 😉। সময়ের অভাবে আমরা পুরো টা ঐ দিন ঘুরতে পারি নি,, চলুন আবার যাই এক সাথে 😊

আপনার পোস্টের মাধ্যমে আমার সাইন্স সিটি দেখা হলো।দেখে মনে হলো বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু মিলিটারি মিউজিয়াম মনে হয় এর অবিকল তৈরি।ধন্যবাদ এমন একটা সুন্দর স্থান শেয়ার করার জন্য

বঙ্গবন্ধু মিলিটারি মিউজিয়ামে কখনো যাওয়া হয় নি,, ইচ্ছে আছে খুব তাড়াতড়িই একবার যাওয়ার। তখন মিলিয়ে দেখব 😊

দাদা,সাইন্স সিটির এই ঘটনাটি বেশ কয়েকদিন আগে আমাদের প্রিয় দাদার পোস্টে করেছিলাম। উঠতে উঠতে একেবারেই উপরে উঠে নিলয় দাদার ভয়ে বুক কাঁপা ঘটনাটি আমি আগে থেকেই জানি। তবে সাইন্স সিটির বিভিন্ন সৌন্দর্যময় স্থানটুকু আপনারা মুঠোফোনে যে দারুন ভাবে বন্দী করেছেন সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।সাইন্স সিটির লাল পাঙ্গাস মাছের ফটোগ্রাফিটি দেখে আমার পুকুরের পাঙ্গাস মাছের কথাই মনে পড়ে গেল।

হাহাহাহা,,, দারুন বলেছেন ভাই। তবে ওখানে অনেক ধরনের মাছ ডিসপ্লে তে আছে। খুবই চমৎকার লাগে ওগুলো দেখতে। ভালো থাকবেন ভাই।