নমস্কার,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সকলে ঈশ্বরের কৃপায় ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আর আমি তো আমার মতই চলছি। কখনো বাড়িতে , কখনো বা এদিক-ওদিক ছোটাছোটির উপর। আমাদের ওই দিকটায় এখনো সকালের দিকে ভালোই ঠান্ডা অনুভূত হয়। আর তাই জন্য আলসেমির ব্যাপারটা সহজে যায় না। ঢাকায় আসার পর দেখছি সেই তীব্র শীতের ব্যাপারটা আর নেই। অনেকটাই প্রায় স্বাভাবিক দিনের মতোই। বাড়িতে থাকলে সকাল নয়টা কি করে বেজে যায় বুঝতেই পারিনা। আর ঢাকাতে একদম ভোরের দিকে ঘুম ভেঙে যায় প্রতিবারই। এর পেছনে যে কি রহস্য রয়েছে এটাই আমি বুঝে পাইনা।
সন্ধ্যার দিকে গিয়েছিলাম শ্যামলীর সেই মাঠে। ঢাকায় অন্যান্য যে কোন জায়গার থেকে শ্যামলীটাকে আমার খুব বেশি ভালো লাগে। আসলে বেশ লম্বা সময় ধরে এই জায়গাতে এক সময় ছিলাম। আশেপাশের রাস্তাঘাট দোকানপাট অনেকটাই চেনা। আর পরিবেশটাও অন্যান্য জায়গা থেকে বেশ ভালো মনে হয় আমার কাছে। শ্যামলীতে এবার আসা হল একটু লম্বা সময় পরেই। সন্ধ্যার দিকে আপন মনে হেঁটে বেড়ালাম এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে। চেনা সেই রাস্তাগুলোকে আরেকটা বার চোখ বুলিয়ে নিলাম। ভীষণ ভালো লাগছিল এক কথায়। সন্ধ্যার দিকে হাঁটার জন্য এই দিকটার পরিবেশ খুব চমৎকার।
প্রথমে বসে ছিলাম শ্যামলী খেলার মাঠে। টেস্টি ট্রিট এ বসে হালকা নাস্তা করে নিয়ে সোজা হাটা দিলাম মোহাম্মদপুরের দিকে। এদিকটায় গাড়ি-ঘোড়া রিক্সার কোলাহল বড্ড বেশি। কিন্তু তারপরও আমার কেন যেন ভাল লাগে। আর সাথে যেহেতু বন্ধু ছিল। গল্পে গল্পে কি করে যে সময় কেটে যাচ্ছিল একদমই বোঝার উপায় ছিল না। ঢাকাতে কর্মব্যস্ত মানুষগুলোর লাইফ স্টাইল আমার বেশ অদ্ভুত লাগে। সবাই দৌড়দৌড়ির ওপর থাকে সবসময়। কারো দিকে কারোর তাকানোর বিন্দুমাত্র সময় নেই। এ যেন এক অঘোষিত প্রতিযোগিতা চলছে প্রতিনিয়তই। জীবনের গতিটা এখানে একটু বেশিই গতি নিয়ে চলে।
ছবি তোলার কথা খুব একটা মাথাতে ছিল না। ঘুরেছি বেশ কিছু জায়গায়। সত্যি বলতে ছবি তোলার ভূত মাথায় থাকলে পরিবেশটা অতোটা উপভোগ করা যায় না বোধ হয়। তাই এ ব্যাপারে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। সকলে সুস্থ থাকবেন এবং সাবধানে থাকবেন।
পূর্ব পরিচিত কোন স্থানে পুনরায় যেতে এবং বেশ কিছুটা মুহূর্ত অতিবাহিত করতে কার না ভালো লাগে। ঠিক যেন আপনার আজকের এই মুহূর্তটা আমাকে মনে করিয়ে দিল পর্দা বিলের কথা। যেখানে দীর্ঘক্ষণ বসে থেকে দুই বন্ধু মিলে সুযোগ পেলেই এখনো বসে থাকার চেষ্টা করি। তবে সন্ধ্যাকালীন মুহূর্তের কারণে অনুভূতিটা আমার মন ছুয়ে গেছে। যেহেতু অনেকটা দিন এভাবে আর চলাচল করা হচ্ছে না তাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের ফেলে আসা স্মৃতি গুলো অনেক বেশি আমাদের ভেতরটাকে কাদায় ভাই। পুরোনো জায়গায় যেতে পারলে তাই অন্য রকম এক ভালোবাসা কাজ করে। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সন্ধ্যার পর মুহুর্তে দেখছি বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছিলেন। শ্যামলীর মাঠে গিয়ে ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। প্রথমে শ্যামলী নামটা পড়ে আমি ভেবেছিলাম, আপনি হয়তো কোন শ্যামলীকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন🤭🤭। কিন্তু পরে বুঝতে পেরেছি আপনি আসলে শ্যামলীর মাঠে ঘুরতে গিয়েছিলেন। মুহূর্তটা সুন্দর করে সবার মাঝে ভাগ করে নিলেন দেখে ভালো লাগলো ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হাহাহাহাহা,, এই অভাগার কপালে আর অমন কিছু নেই ভাই। শ্যামলী মাঠ নিয়েই তাই সন্তুষ্ট থাকি। অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit