নমষ্কার,,
গতকাল ছিল ২৯ ফেব্রুয়ারি, যে তারিখটা সচরাচর পাওয়া যায় না। আমরা যে বছরকে লিপ ইয়ার বলি। অনেকেই এই বিশেষ দিন উপলক্ষে নানান রকম পার্টি করেছেন । কেউ বা আবার ভালো-মন্দ খেয়ে দিনটাকে স্পেশাল করে রাখার জন্য খেতে গিয়েছিল রেস্টুরেন্টে। তবে সবার ভাগ্যে দিনটাকে আর স্মরণীয় করে রাখার সুযোগটা হয়নি। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে মরতে হয়েছে বেইলি রোডের সেই রেস্টুরেন্টে। এতটা মর্মান্তিক মৃত্যু আমাদের কখনোই কাম্য নয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে মৃত্যুর সংখ্যাটা দেখে বুকের ভেতরটা রীতিমতো কেঁপে উঠেছে। এমন লিপ ইয়ার বোধ হয় কেউ চাই নি আমরা। স্বজন হারা পরিবারগুলো যেন এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারে এমনটাই প্রার্থনা করি সৃষ্টিকর্তার কাছে।
সেদিন এই বছরে দ্বিতীয়বারের মতো গিয়েছিলাম বই মেলাতে। অবশ্য যাওয়ার কোন প্ল্যান ছিল না ঐদিকে। হঠাৎ করেই কিছু পরিচিত মানুষের সাথে দেখা হয়ে যাওয়ার জন্য বইমেলার ভেতরে ঢুকেছিলাম। তবে ভেতরে ঢুকে স্বস্তি পাইনি একদমই। দিনটা ছিল ছুটির দিন। বিকালের পর থেকে উপচে পড়া ভিড় ছিল পুরো বইমেলার প্রাঙ্গণ জুড়ে। পা ফেলার জায়গা ছিল না যেন কোথাও। এর আগে যেহেতু মেলাতে গিয়েছিলাম তাই যেদিকে আগে ঘুরেছি সেদিকে আর না গিয়ে এবার অন্য সাইট টা ঘুরে দেখেছি ভালো করে। কয়েকটা প্রকাশনীতে গিয়ে কিছু বই নেড়েচেড়ে দেখলাম। এর আগের দিন যেহেতু বই কিনেছি এবারে তাই শুধু চোখ বুলিয়ে যাচ্ছিলাম। নতুন বইয়ের পৃষ্ঠাগুলো উল্টিয়ে দেখতে আমার ছোটবেলা থেকেই ভীষণ ভালো লাগে। যে কোনো বইয়ের মোড়কের প্রতি আমার আকর্ষণটা সব থেকে বেশি কাজ করে।
কিছুটা সময় হাটাহাটির পর আর ভালো লাগছিল না। আসলে এত পরিমাণ ধুলো ছিল চারপাশে নিঃশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। আমার সাথে থাকা দুজন আরো কিছুটা সময় থাকতে চাইলেও আমি ওদের জোর করে বাইরে বের করে নিয়ে আসি। এরপর যখন বের হয়ে টিএসসির দিকে এগোতে লাগলাম তখন মনে হচ্ছিল চারপাশ থেকে মৌমাছি এসে আক্রমণ করেছে। এত প্রচন্ড পরিমাণে মানুষের ভিড় ছিল। কোন এক পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলার সুযোগ পর্যন্ত ছিল না। ঢাকা ভার্সিটির ভেতরে কিছুটা সময় নিজেরা আড্ডা দেই। তারপর রিকশা নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেই। এটাই হয়তো শেষ যাওয়া এবারের বই মেলায়। সব ঠিক থাকলে আসছে বছর আবার দেখা হবে।
আসলেই দাদা ঠিক এমন লিপ ইয়ার হবে তা কি কেউ জানে ৷ দিনশেষে স্বজন হারা মানুষ গুলো শোক কাটিয়ে উঠতে পারে এমনটা প্রত্যাশা করি ৷ যা হোক বছরের শেষ বইমেলা দারুন একটা সময় অতিবাহিত করেছেন ৷ রাতের আলোক সজ্জা বইমেলার ঘোরাঘুরি ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ওমা ২৯ তারিখ আবার কিসের ছুটির দিন ছিলো দাদা??
আর রাতের বেলা ছিলেন বলে তো বেশ ভালো লাইটিং পেয়েছেন! আমরা অবশ্য সন্ধ্যা হতে হতেই বেড়িয়ে পড়েছিলাম বলে এমন লাইটিং উপভোগ করতে পারি নি। তবে হ্যা, বিকেলের দিকে হুর হুর করে পিপড়ার মতোন মানুষ ঢুকেছিলো সেদিনও। আর এত মানুষের ভীড়ে ধুলোবালি তে আমারো অবস্থাও আপনার মতোই হয়েছিল। তবে বিশেষ দিনটা বন্ধুদের সাথে ভালোই কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দিদি আমি গিয়েছিলাম শবে বরাতের পরদিন। ঐ ছুটির কথা লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম। মানুষের এতো ভিড় আর ধুলো সত্যিই অসহ্য লাগে। সাথে কিছু কাছের মানুষ জন থাকে বলেই একটুখানি ভালো লাগে। ভালো থাকবেন দিদি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে এরকম লিপ ইয়ার যেন কারো জীবনে না আসে এরকমটাই কামনা করি। সবাই ভালোভাবেই উদযাপন করার চেষ্টা করেছিল। লিপ ইয়ার কে কিন্তু এরকম দুর্ঘটনার সম্মুখীন হবে এটা তো কেউই কখনো ভাবতে পারেনি। বেইলি রোডের সেই রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার কারণে অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে শুনে খারাপ লেগেছে। ২৯ শে ফেব্রুয়ারি শেষ বইমেলাতে গিয়েছিলেন এই বছরে, এটা শুনে ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। বইমেলাতে গিয়ে কাটানো মুহূর্তটা সবার মাঝে সুন্দর করে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অস্বাভাবিক এই মৃত্যু গুলো ভেতরে খুব নাড়া দিয়ে যায় আপু। ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল মেনে নিতে। পুরো লেখাটা পড়ে সুন্দর একটা মতামত দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে বেইলিরোডে কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার যে ধুমধাম পড়েছিল সেখানেই ঘটলো মারাত্মক দুর্ঘটনা। তরতাজা অনেকগুলো প্রাণ এই পৃথিবীতে থেকে বিদায় নিল। যাই হোক নিউজটি দেখে খুবই খারাপ লাগছিল। আমিও বইমেলায় গিয়েছিলাম তখনও প্রচন্ড ভিড় ছিল। যেটা সত্যিই অস্বস্তিকর সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করার পাশাপাশি সেখানে ঠেলাঠেলি বেশি । যেটা আপনি ভালই বুঝতে পেরেছেন শেষ মুহূর্ত দৃশ্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন সবসময়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই বছরের শেষ বই মেলাতে গিয়েছিলেন দ্বিতীয়বারের মতো। যদিও যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল কিছু মানুষের সাথে দেখা করার। চার বছর পর যে লিপ ইয়ার আসে এটার জন্য সবাই অপেক্ষায় থাকে। এবং অনেকেই এটা উদযাপন করে নিজেদের মতো করে, আবার অনেকেই করে না। কিন্তু এই বছরে কিছু মানুষের জীবনে যে এত বড় একটা দুর্ঘটনা আসবে এটা তো তারা একেবারে জানতো না। এটা তাদের মৃত্যু ডেকে এনেছিল যারা মারা গিয়েছে। সত্যি তাদের কথা ভাবতেই বুক কেঁপে উঠতেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পুরো দেশের মানুষকে নাড়া দিয়ে গেছে এই ঘটনা ভাই। এমন মর্মান্তিক মৃত্যু কখনোই কাম্য নয়। পরপারে সবাই ভালো থাকুক এই প্রার্থনাই করি ভগবানের কাছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যি আগুনের লেলিহানে পুড়ে যাওয়া মানুষ গুলোর কথা ভাবলে সত্যি বুকটা মুচড়ে উঠে। তারা কি ভেবেছিল কখনো খেতে গিয়ে ফিরে আর বাড়ি আসতে পারবেনা।আপন মানুষ গুলোর পাশে বসে খাওয়ার গল্প করতে পারবে না।মৃত্যু হবে জানি।তবে এমন মৃত্যু যেনো কারো জীবনে না নেমে আসে।আপনার মতো আমিও বন্ধের দিন একুশে ফ্রেব্রুয়ারী বিকেলে বই মেলায় গিয়েছিলাম।কি পরিমান যে ভিড় ছিল বলার মতো নয়।বেশি ঘুরতে আর পারিনি।আমি আবার ভিড় একদম সহ্য করতে পারিনা।যাই হোক আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যিই এমন মৃত্য কখনোই মেনে নেওয়া যায় না আপু। কি যে একটা কষ্ট লাগে এমন ঘটনা গুলো সামনে আসলে সেটা বলে বোঝাতে পারবো না। আর আপনার মত আমিও ভিড় সহ্য করতে পারি না আপু। ভীষন অস্বস্থি লাগে। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। ভালো থাকবেন আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit