এই বছরে প্রথম পূজোর প্যান্ডেলে যাওয়া

in hive-129948 •  2 years ago 

নমস্কার,,

আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা। আজ মহাঅষ্টমী। প্রতি বছর এই দিনে সকালে উঠে স্নান সেরে নিয়ে পাঞ্জাবী পরে চলে যেতাম পূজার প্যান্ডেলে। অঞ্জলি দিয়ে তারপর একদম দুপুরের দিকে খাবার খেতাম। কিন্তু এবার আর সেই ভাগ্য আমার হলো কই! না খেয়ে থাকা এবং অঞ্জলীর জন্য অতক্ষণ অপেক্ষা করা কোন টাই আমার পক্ষে সম্ভব নয়। মাথা ঘুরে উঠে একটু পা ফেললেই। তবে বছরের এমন দিনে পুজোর প্যান্ডেলে না গেলেও কেমন একটা লাগে। তাই একবারের জন্য গিয়েছিলাম মন্দিরে।

IMG20221003094708.jpg
Location

ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে একটা ডাব খেলাম প্রথমেই। তারপর স্নান করে উঠতেই মা বললো নতুন জামাকাপড় পরে মন্দিরে গিয়ে একবার প্রণাম করে আসতে। কিন্তু এবার তো কোন পুজো উপলক্ষ্যে কোন কেনাকাটাই করা হয় নি। আসলে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় ঢাকাতে আর কিছু নেওয়া হয় নি। সুস্থ্ থাকলে বাড়ি আসার আগে আগে হয়তো কিছু একটা নিয়ে নিতাম। যাই হোক এমনিতেই শুদ্ধ বস্ত্র পরে চলে গেলাম পূজোর প্যান্ডেলে।

IMG20221003094042.jpg

Location

IMG20221003094815.jpg

Location

এবার এই প্রথম আমার পূজোর মন্দিরে আসা। অন্যসময় হলে আমাকে বাড়িতে পাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। একদম বাড়ির পাশেই এই পূজো টা হয়। ছোট বেলা থেকেই এখানে নাচ গান হৈ হুল্লোর করে পূজো কাটাই। এবছর এত পরে আমাকে দেখে অনেকেই চমকে উঠেছে। আর চেহারা টাও হয়েছে আমার, পুরাই বিধ্বস্ত অবস্থা 👌। কি আর করা, ধীরে ধীরে সবার সাথে একটু কথা হলো। মা এর মুখ দর্শন করে হাত জোড় করে প্রণাম করলাম।

IMG20221003094553.jpg

Location

IMG20221003094629.jpg

Location

বেশি সময় ছিলাম না। পনেরো মিনিটের মত ছিলাম। মাথা ঘুরে উঠছিল তাতেই। চারপাশ টা একটু ঘুরে দেখে নিলাম। বেশ সুন্দর করেই সাজিয়েছে মন্দির টা। পুরোহিত মশাই পুজোতে বসেছিলেন তখন। ঢাক আর কাসরে মিষ্টি একটা বাজনা বাজছিল। চারদিক টা আবার দেখে নিয়ে ধীরে ধীরে বাড়িতে চলে আসলাম। সত্যি বলতে এমন পুজো যেন আর কখনো না আসে , মায়ের পূজোর দিনে এমন ঘর বন্দী থাকতে একদম ভালো লাগে না। মা দুর্গার কাছে একটাই প্রার্থনা সামনের বছর থেকে যেন আবার আগের মত হইহুল্লোড় আর আনন্দ করে পুজোর প্রতিটা দিন কাটাতে পারি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা প্রার্থনা করি খুব তারাতারি সুস্থ হয়ে উঠুন।আপনাদের প্যান্ডেলটি অনেক সুন্দর।কাল আপনাদের ওখানে যাচ্ছি দুপুরের পর।

তাই! আমি তো বগুড়া গিয়েছিলাম সকাল বেলায় ব্লাড টেস্ট করাতে। এবার তো সুস্থ্ নেই , মা কৃপা করলে সামনের বছর একসাথে পুজো দেখা হবে।

অবশ্যই দাদা প্রার্থনা করি জলদি সুস্থ হয়ে উঠুন।

আপনার সুস্হ্যতা কামনা করছি দাদা।এইবার আপনার শরীর অসুস্হ্য তাই কম ঘোরাঘুরি হচ্ছে আশা করি আগামী বার বেশ মজা করতে পারবেন। আপনাদের বাড়ির পাশের অনুষ্টান তো বেশ সুন্দর হয়েছে।সবার জন্য শুভ কামনা রইলো।বাড়ির সবাই যাতে আনন্দের সাথে এইবারের পূজার অনুষ্টান উপভোগ করতে পারেন🙏🙏🙏

এবার তো আর কোন কিছুই সম্ভব নয়, দেখা যাক সামনের বছর মা কি করেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

প্রথমে আপনার সুস্থতা কামনা করি। আপনি পূজা মন্ডলে গিয়ে তেমন বেশি টাইম ছিলেন না। আশা করি সামনের বছর খুব সুন্দর করে ঘুরাঘুরি করবেন। আপনার বাড়ির পাশে হওয়াতে একটু সুবিধা হল। সবার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল সুন্দরভাবে উদযাপন করার জন্য।

পুরো লেখাটা সুন্দর করে অনুধাবন করে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু। ভালো থাকবেন।

দাদা আপনি যে একটু সুস্থ হয়ে মায়ের মন্দিরে দর্শন করলেন ৷ এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া ৷ আমি তো মনে করেছিলাম আপনি মেডিক্যাল ভর্তি থাকবেন ৷ তবে এখন অনেক ভালো লাগলো যে আপনি বাড়ি আসছেন ৷ এসে মায়ের মন্দিরে গেছেন মায়ের আর্শিবাদ দাদা ভালো হয়ে যাবেন ৷

আসলেই ভাই মায়ের মন্দিরে যে যেতে পেরেছি এটাই অনেক বড় পাওয়া এ বছরে। আশীর্বাদ রাখবেন যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি।

আপনার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে অনেক অনেক প্রার্থনা করি। আপনি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন।পূজোর প্যান্ডেল অনেক সুন্দর হয়েছে ‌। দেখে অনেক ভালো লাগলো । প্রতিমার ফটোগ্রাফি অনেক অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।