সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে কাটানো কিছু মুহূর্ত

in hive-129948 •  2 years ago 

নমস্কার,,

কয়েকদিন আগের কথা। মামাতো বোনের বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলাম সিরাজগঞ্জে। গরম টাও ছিল সে সময় সাংঘাতিক রকমের। কোনভাবেই ঘরে থাকা যাচ্ছিল না যেন। তার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল আমার দিদিরা একদম টপ ফ্লোরে থাকতো। সেজন্যই চারপাশ থেকে তাপমাত্রাটা আরও বেশি লাগতো। দুপুর বেলা খাওয়া-দাওয়া করার পর যখন কোন ভাবেই থাকতে পারছিলাম না ঘরে, তখন আমার ছোট ভাইকে বললাম বাইরে কোথাও ঘুরে আসতে। যেখানে একটু বাতাস পাওয়া যাবে। ছোট ভাই তখন আমাকে বলল তাহলে বাইক নিয়ে যমুনার পাড়ে যাওয়া যাক।

IMG20230415165633.jpg
Location

যথারীতি আমরা দুই ভাই বাইক নিয়ে চলে গেলাম যমুনার পাড়ে। এটাই প্রথমবার আমার এই জায়গায় ঘুরতে আসা। সত্যি বলতে অসম্ভব ভালো লাগছিল পুরো পরিবেশটাই। আর নদীর পাড়ে আসলে সবারই ভালো লাগে এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া সেখানে বেশ ভালো বাতাস ছিল। আমরা গিয়েছিলাম সিরাজগঞ্জের যমুনা পাড়ের হার্ড পয়েন্ট নামক জায়গাটায়। দেখলাম আমাদের মত আরও অনেকেই এসেছে সেখানে ঘুরতে। অনেকে গাড়ি নিয়ে অনেক দূর দূরান্ত থেকে এসেছে।

IMG20230415170553.jpg
Location

IMG20230415170842.jpg
Location

IMG20230415170044.jpg
Location

আমাদের সাথে যেহেতু বাইক ছিল তাই পুরো জায়গাটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘুরে বেড়িয়েছি। আবার যেখানে বেশি ভালো লাগতো সেখানে বসে কিছুক্ষণ নিরিবিলিতে গল্প করেছি দুই ভাই। দেখলাম নতুন একটা স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণ কাজ চলছে সেখানে। কাজ মোটামুটি শেষের দিকে, এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় পড়ে আছে। সাঁতার যেহেতু পারিনা তাই জলে নামতে ভীষণ ভয় পাই। তারপরেও সাহস করে নদীর কিনারে একটা ব্লকের ওপরে বসে কিছুক্ষণের জন্য জলে পা ভেজালম। সত্যি বলতে প্রথমে একটু ভয় ভয় লাগছিল কিন্তু পরে অনেক ভালো লেগেছে এই অনুভূতিটুকু।

IMG20230415165432.jpg
Location

IMG20230415170056.jpg
Location

IMG20230415165817.jpg
Location

IMG20230415165748.jpg
Location

সিরাজগঞ্জ শহরের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র মনে হয় এই জায়গাগুলো। বিকাল যত ঘনিয়ে আসছিল লোক সমাগম ততই বেড়ে চলেছিল। আমরা নিজেদের মত কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে নদীর পাড়ে চা খেয়ে তারপর সন্ধ্যার পর বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। সিরাজগঞ্জ থেকে আমার বাড়ির দূরত্বটা খুব একটা বেশি নয়। আমি শুধু ভাবছিলাম , এত কাছে এত চমৎকার একটা ঘোরার জায়গা আছে অথচ এতদিনে একবারও আমি ঘুরতে আসিনি। এখন যেহেতু বোন চলে এসেছে এখানে , মাঝে মধ্যেই ঘুরতে আসা যাবে তাহলে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলে সমুদ্র সবারই পছন্দের। সমুদ্রের মাঝে ঘুরাঘুরি করতে পছন্দ করো না এরকম মানুষ খুবই কম রয়েছে। যেহেতু আপনি আপনার মামাতো বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন সিরাজগঞ্জে ওখানে অনেক গরম থাকার কারণে ঘরে থাকা যাচ্ছিল না তাই আপনি আপনার ছোট ভাইকে বলেছিলেন কোথাও একটা ঘুরতে যাওয়ার জন্য। তিনি আপনাকে বলেন যমুনার পড়ে যাওয়া যাক। এরপর আপনিও রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। তারপরে দুজনে বাইক নিয়ে বেশি ভালোই ঘোরাঘুরি করেছিলেন। যাইহোক ভালো লাগলো আপনার ঘোরাঘুরি করার এত সুন্দর একটা পর্ব পড়ে।

আপু এটা সমুদ্র নাহ্ তো ,, যমুনা নদী 😉😉। তবে নদী সমুদ্র যাই হোক না কেন দুই টাই মন ভালো করে দেওয়ার মত জায়গা 😊।

এই গরমে এমনিতেই ঘরে থাকা যায় না। তার উপর আবার যদি টপ ফ্লোর হয় তাহলে তো টিকা মুশকিল। ভালো করেছেন গরমে টিকতে না পেরে নদীর পাড়ে ঘুরতে চলে গিয়েছেন। নদীর পারে পরিবেশ এমনি ভালো থাকে। তাছাড়া এরকম শহরগুলোতে বিকালের দিকে নদীর পাড়ে প্রচন্ড রকমের ভিড় হয়। আমাদের এলাকাতেও দেখি একই অবস্থা। আপনার মত আমিও সাঁতার জানিনা কিন্তু এরকম পানি পেলে ঠিকই পা ডুবিয়ে বসে থাকি। বেশ ভালো সময় পার করেছেন মনে হচ্ছে।

আপনি নদী এলাকার মানুষ হয়ে সাঁতার শেখেন নি কেন শুনি!! আপনি শিখলে তো আমি জলে পরলে আপনাকে দিয়ে উদ্ধার হতাম 😅। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

ভাইয়া অসাধারণ সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে আপনার কাটানো মুহূর্তটুকু জেনে আমার খুবই ভালো লেগেছে। যমুনা নদীর জলে পা ভিজিয়ে রাখার মুহূর্তটুকু নিশ্চয়ই দারুন ছিল।

অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।

সে কি কথা মশাই, নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশে থেকেও আপনি সাঁতার জানেন না।

তবে জায়গাটা আসলে অনেক সুন্দর লাগছে দেখতে। আমাদের কলকাতাতেও গঙ্গার পাড় অনেক সুন্দর, তবে এখন খুব বেশি একটা ফাঁকা নেই। সব জায়গাতেই কমবেশি পার্ক করে দিয়েছে। নদীর এরকম খোলা পরিবেশ কলকাতায় খুঁজে পাওয়া বেশ মুশকিল।

এই সাঁতার না পারার দুঃখটা আমার সারা জীবন থেকে যাবে মনে। আর আপনাদের কলকাতার ঘাট গুলোর তুলনা নেই এক কথায়। আমি তো প্রেমে পড়ে গেছি রীতিমত।