নমষ্কার,,
সেদিন দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রাজীবের অফিসে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দিচ্ছিলাম। ওখানে আমার আরো কিছু সিনিয়র আছেন। একদিক দিয়ে সময়টা বেশ ভালোই কাটছিল। তারপর হঠাৎ করেই রাজিব আমাকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসলো। মূলত অফিশিয়াল কিছু কাজেই একটু বাইরে আসা। কিন্তু যে কাজে বাইরে আসলো সেটা হলো না। দুজনে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম একটা মার্কেটের ভেতর। এটা ছিল বায়তুল মোকাররমের ঠিক বিপরীতে। সত্যি বলতে ভেতরে কোন কাজ ছিল না। আমরা দুজনে এক ফ্লোর থেকে অন্য ফ্লোরে এমনি এমনি হাঁটছিলাম এবং কিছু প্রোডাক্ট দেখছিলাম। এর মাঝেই মনে হলো একটা হেডফোন নিয়ে নেই। কারণ যেটা এখন ব্যবহার করছি সেটা মাঝে মধ্যে একটু ঝামেলা করে। যেই কথা সেই কাজ। আমি আর রাজীব দুজনে দুটো হেডফোন নিয়ে নিলাম।
আমার হাতে আর বেশি সময় ছিল না কারণ বাড়ির দিকে রওনা দিতে হবে। ইতিমধ্যে প্রায় বিকাল হয়ে গেছে। মাঝে আবার গুলশানেও যেতে হবে। বেশি কথা না বাড়িয়ে একটা পাঠাও ডেকে নিলাম। যানজটের এই শহরে পাঠাও ছাড়া যাতায়াত করাটা খুব কষ্টেরই বলা যায়। রওনা দিলাম গুলশানের দিকে। বাইকের পেছনে ছুটে বেড়াতে আমার বেশ মজাই লাগে। যদিও একটু ভয় হয়। তবু ব্যাপারটা উপভোগ করি। আসলে ঢাকায় যেভাবে সবগুলো গাড়ি ছুটে বেড়ায় তাতে ভয় না পাওয়ার কোন কারণ নেই। একটু এদিক-সেদিক হলেই ঘটে যেতে পারে বড় রকমের কোন দুর্ঘটনা। বাইকের পেছনে বসার সাথে সাথেই এজন্য বলে দেই, আমার তাড়া নেই, আস্তে ধীরে দেখেশুনে যেন বাইকটা চালায়। হিহিহিহি।
ঢাকায় এত ঘুরাঘুরি করি কিন্তু হাতির ঝিলের পাশটায় কখনো হেঁটে ঘোরার সুযোগ হয়নি। মনে মনে এত ভাবি যে নিরিবিলি সময় কাটাবো কিছুটা এখানে এসে। কিন্তু সেই সুযোগ আজ অবধি হয়ে ওঠেনি। প্রত্যেক বার বাইক দিয়ে যখন যাতায়াত করি তখনই এই হাতিরঝিলটা ঘুরে দেখা হয়। আর আমার আফসোসের পরিমাণটাও বেড়ে যায়। সেদিন প্রায় পড়ন্ত বিকেলে ওই পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম । দেখলাম অনেকেই পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছে হাতিরঝিলে। চারপাশের সৌন্দর্য আসলেই মুগ্ধ করার মত। আগে কি ছিল, আর এখন কি হয়েছে! ভাবতেই অবাক লাগে পুরো।
যাই হোক এভাবেই এলোমেলো কিছুটা ছুটে বেড়ানোর পর আমি চলে আসলাম গুলশানে। মাঝে মধ্যে প্ল্যান ছাড়া এমন ছুটে চলা মন্দ হয় না একদমই। বরং এতেই বেশি আনন্দ পাওয়া যায়।
মাঝে মাঝে বাইকে চলাচল করতে সত্যি অনেক ভয় লাগে। আসলে ঢাকা শহরের জ্যাম এতটাই বেশি যে একটু অমনোযোগী হলেই দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। যাইহোক ভাইয়া কোন একদিন হাতির ঝিলে সময় কাটানোর ইচ্ছেটাও পূর্ণ হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit