নমস্কার,,
আমার জীবন টা এখন পুরোটাই যেন অনিশ্চিত। কখন কি করছি আর কি থেকে কি হয়ে যাচ্ছে আমি নিজেও বুঝে পাই না মাঝে মাঝে। মাত্র দুই দিন আগে হুট হাট ডিসিশন নিয়ে এবার ইন্ডিয়া চলে আসা। অনেকটা অবাক করে দেওয়ার মতোই। তবে ঘোরাঘুরির যে প্ল্যান ছিল এমন কখনোই না। অনেকটা বাধ্য হয়েই আসা। আসলে পর পর দুইটা ভিসা তে যদি ইন্ডিয়া না আসতাম তাহলে পরবর্তীতে ভিসা পাওয়া সমস্যা হয়ে যেত। আবার নিজের প্রয়োজনীয় কাজের চাপটাও এত বেশি ছিল যে সময় সুযোগ কোনটাই করে উঠতে পারছিলাম না। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন ব্যাটে বলে যেন মিলে গেল। আমি নিজেও কিছুটা ফাঁকা হলাম আবার ইন্ডিয়া থেকে দাদা ফোন করে বললো, সজীব তুমি যদি দুই এক দিনের জন্য হলেও আসো তাহলে কোথাও একটা থেকে ঘুরে আসা যাবে। মাকে সবটা বলার পর খুব একটা আপত্তি করলো না। আর আমিও ইন্ডিয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেলাম।
অনন্যা বারে বেনাপোল দিয়ে গেলেও এবার ইমিগ্রেশন করেছি হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। আমার মূল উদ্দেশ্য কুচবিহার পিসির বাড়ি যাওয়া। সেখান থেকে কোথাও একটা ঘুরতে যাওয়া। হিলি থেকে কুচবিহারের সরাসরি ট্রেন নেই, শুধু বাস আছে। সেটাও আবার রাতে। সারা দিন জার্নি করে আবার সারারাত যদি বাস জার্নি করি তাহলে শরীর একদম শেষ হয়ে যাবে। তাই ঠিক করলাম যে মালদা গিয়ে ট্রেনে উঠব। আর ঘন্টা পাঁচেক সময় আমার অন্য আত্মীয়ের বাড়িতে রেস্ট নেব। ওদের বাড়ি টাও মালদা রেল স্টেশনের খুব কাছেই।
এই দিনে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে খাওয়া দাওয়া করে বের হওয়া আমার জন্য খুব কষ্টের মনে হয়। কিন্তু উপায় নেই। বাধ্য হয়েই সকাল সকাল উঠে স্নান করে হালকা খাবার খেয়ে বের হয়ে গেলাম। আমাদের বাস স্ট্যান্ড থেকে সকাল ৮.১৫ তে সরাসরি এক বাসে হিলির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আর যখন হিলি পৌঁছলাম তখন সময় সকাল ১১.২০। হিলিতে দাদাল ছাড়া কোন কাজ হয় না। আমিও ঐ পথেই হাঁটলাম। খুব একটা ঝামেলা পোহাতে হয় নি। বাংলাদেশ সময় সাড়ে বারোটার মধ্যেই আমার ইমিগ্রেশন হয়ে যায়। আর ইন্ডিয়ান সময় সাড়ে বারোটার দিকে মালদার একটা বাস পেয়ে যাই।
হিলি থেকে মালদা ইন্ডিয়ান স্টেট বাসে করে গিয়েছিলাম। যার অভিজ্ঞতা খুব একটা ভালো ছিল না একদমই। ভীষন লেট করেছে রাস্তায়। তারপরও বিকাল ৪.১৫ তে আমি মালদা পৌঁছে যাই। আমাকে নিতে আমার মামা বাস স্ট্যান্ডে এসেছিল। তাই আর কোন ভোগান্তিতে পড়তে হয় নি। আজ এটুকুই শেয়ার করছি। ইন্ডিয়া ভ্রমণ নিয়ে প্রতিদিন আশা করি কিছু না কিছু লিখব। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
Thank you for sharing
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit