একঘেয়েমী জীবন থেকে মুক্তির খোঁজে

in hive-129948 •  7 months ago 

নমস্কার,,

আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অসীম কৃপায় সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। অনেকদিন হয়ে গেল পোস্ট করা হচ্ছে না। প্রিয় এই প্লাটফর্মটা থেকে অনেকটাই দূরে আছি বলা চলে। সত্যি বলতে ব্যাটে বলে ঠিকমত মেলাতে পারি না তাই আগের মতো আর কাজটাও করা হয় না। তবে মিস করি ভীষণ এই পরিবারকে।

IMG20240621175535.jpg

Location

একঘেয়েমি লাগছিল সবকিছুই কয়েকদিন ধরে। কোন কিছুতেই যেন মন লাগছিল না। মনে হচ্ছিল সবকিছু গোলমালে। অফিস থেকে রুম আবার রুম থেকে অফিস এটা কোন জীবন হতে পারে! নিজের সময় নিজেকে দেওয়া ছাড়া আর কোন রাস্তায় যেন খোলা নেই। মন বসছিলো না কোন কিছুতেই। হঠাৎ করেই সেদিন বিকালবেলা রাজিব ফোন দিয়ে বলল শ্যামলীর দিকে চলে আসতে। ওখানে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে একটা মন্দির আছে সেখানে ছোট একটা অনুষ্ঠান হবে ওর মামার বাড়ির পক্ষ থেকে। যেতে না চাইলেও জোর করেই আমাকে বের করেছে বলা যায়। আমিও ভাবলাম যেহেতু কোনো কিছুতেই মন লাগছে না তাই একটু ঘুরেই
আসা যাক।

IMG20240621181859.jpg

IMG20240621194450.jpg

Location

পল্টন থেকে শেরে বাংলা নগর যেতে যতটা ভোগান্তি পোহানোর কথা ছিল তেমন কিছুই হয়নি। ভেবেছিলাম ভীষণ যানজট হবে। কিন্তু একদম ফাঁকা ছিল রাস্তা। আরামে চলে গেলাম আমার গন্তব্যস্থলে। এর আগে ঢাকায় আমি শ্যামলীর দিকে থাকতাম। সে সময় অবশ্য কখনো লক্ষ্য করিনি এখানে এত চমৎকার একটা মন্দির আছে। যাই হোক যাওয়ার সাথে সাথেই দেখলাম অনেক আমন্ত্রিত মানুষজন সেখানে এসেছে। যদিও আমি সবার অপরিচিত। তবে রাজিবের ফ্যামিলি মেম্বারদের সাথে আমি একটু আগে থেকেই পরিচিত ছিলাম। অনেকদিন পর সবার সাথে দেখা হয়ে বেশ ভালই লাগছিল।

মন্দিরের প্রার্থনা শেষ হওয়ার পর কিছুক্ষণ ভক্তিমূলক গানের আসর হয়। সেখানে বেশ কয়েকজন ভক্তিমূলক গান গাইলেন। এত ভালো লাগছিল গান গুলো শুনতে যে বলে বোঝাতে পারবো না। শেষ বেলা তে সবার জন্য প্রসাদের ব্যবস্থা ছিল। আমি আর রাজিব অনুষ্ঠান শেষ করে একসাথে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। অনেকদিন পর খুব ভালো একটা সময় কেটেছিল এবং সেই সাথে জীবনের একঘেয়েমি টা কিছুটা হলেও দূর হয়েছে বলে মনে হলো।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

চাকরিতে ঢোকার পর আর জীবনের কোন আনন্দ থাকে না। প্রতিদিন নিয়ম করে অফিসের আসা আর যাওয়া এগুলোই করতে হয়। আর ছুটির দিনে তো আরও বেশি বের হতে ইচ্ছা করে না। সবাইকে এরকমই দেখি। আপনার বন্ধু জোর করে বাইরে নিয়ে যাওয়াতে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। ভালো লাগলো দেখে।

কি আর বলবো আপু, কোথাও কোন কিছুতেই যেন শান্তি নেই। কি এক জীবন! দোয়া করবেন ভাইয়ের জন্য। এটুকুই বলার।

অফিস থেকে রুম আবার রুম থেকে অফিস এটা কোন জীবন হতে পারে!

এই প‍্যারা টা এখন আমি অনূভব করছি ভাই। কী যে একটা ঝামেলা কী বলব আপনাকে। এখন আপনার গানের আড্ডা আপনার পোস্ট গুলো অনেক মিস করি।

একঘেয়েমি জীবনের মধ্যে মন্দিরে সময় টা বেশ ভালো কাটিয়েছেন ভাই।

ভাই আজকেই একটা গানের আড্ডার পোস্ট করেছি। দেখবেন সময় করে । আশা করি ভালো লাগবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।