নমষ্কার,,
একটা সময় খুব করে শুনতাম সরস্বতী পুজো মানেই বাঙালির ভ্যালেন্টাইনস ডে। কথাটার তাৎপর্য যারা ইউনিভার্সিটি লাইফে পড়েছে তারাই শুধু বুঝতে পারবে। তবে মজার ব্যাপার আজ পর্যন্ত কখনোই সরস্বতী পুজো আর ভ্যালেনটাইনস ডে এই দুটো তারিখ একসাথে পরতে আমি দেখিনি। কিন্তু এবছর কাকতালীয়ভাবে কি করে যেন সরস্বতী পুজো আর ভালোবাসা দিবস একই দিনে পড়ে গেছে। ব্যাপারটা এক কথায় অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। ইউনিভার্সিটি লাইফের শুনে আসা সেই লাইনটা যেন বাস্তবে রূপ নিয়েছে আজ। আর তাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি সরস্বতী পুজো এবং বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
প্রতিবছর সরস্বতী পুজোর দিনে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে স্নান করে অঞ্জলি দিতে যাওয়া হয়। তারপর বিকেলের দিকে নানান পুজো মন্ডপে ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখা হয়। এর সাথে প্রসাদ খাওয়ার ধুম তো আছেই। কিন্তু এবছর সেই সৌভাগ্যটা আর হয়ে ওঠেনি আমার। অবাক করা হলেও সত্যি যে এ বছরে একটা সরস্বতী পূজার মন্ডপও আমি ঘুরে দেখতে পাইনি। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অফিস করে ক্লান্ত শরীর নিয়ে আর বাইরে যেতে ইচ্ছে করেনি একদমই। সন্ধ্যেবেলা কখন যে ঘুমিয়ে গেছিলাম নিজেই বুঝতে পারি নি। নিজে নিজে ভাবছি আর চমকে যাচ্ছি। এমন দিনও জীবনে আসলো যে একটা সরস্বতী পূজোর প্যান্ডেলেও যেতে পারলাম না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং আরো অনেক জায়গায় সবার ঘোরাঘুরির ছবি দেখে ভীষণ মন খারাপ হচ্ছে এটা সত্যি। আসলে হাতে কোন অপশন ছিল না আর। তাই এরকম সাদামাটা ভাবেই দিনটা কাটাতে হলো। অফিস থেকে যখন বাসার দিকে ফিরছিলাম তখন অনেক ছেলেমেয়েকেই রিকশা দিয়ে ঘুরতে দেখছিলাম। প্রায় সবাই ছিল পাঞ্জাবি আর শাড়ি তে। অনেকের হাতে আবার একগুচ্ছ লাল গোলাপ। ও হ্যাঁ বসন্তের ছোঁয়াও লেগে গেছে বাঙালির জীবনে। আজকের দিনে বিশেষ কি বলব বা কি লিখব এটা ঠিক মাথায় আসছে না। তবে মন থেকে চাই যে পৃথিবীর সকল ভালবাসা যেন পূর্ণতা পায়। সকল ভালবাসাগুলো যেন ভালো থাকে। আমরা সবাই যেন ভালোবেসে ভালোবাসার মানুষটিকে আমাদের জীবনে রেখে দিতে পারি পরম যত্নে এবং অনেক আদরে।
সকলের সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি।