নমষ্কার,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি ইংরেজী নবর্ষের শুভেচ্ছা। 💐💐💐💐
২০২১ সাল থেকে ২০২০ যে খুব একটা আলাদা হতে চলেছে এমন টাও না আমার মনে হয়। করোনা এখনও আমাদের পিছু ছাড়ে নি। আর খুব সহজে ছাড়বে বলে কোন লক্ষনও পাওয়া যাচ্ছে না। আরো বেশ কিছু বছর করোনা কে সাথে করে নিয়েই আমাদের এগোতে হবে। তবে হ্যাঁ, পৃথিবীর মানুষ এখন ভয়কে জয় করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। অনেকটা পুরোনো অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে পৃথিবী। আমার বিশ্বাস খুব তাড়াতাড়ি আমরা আরো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারবো।
থারটিফার্স্ট নাইটে বেশ কয়েক বছর হলো বাড়ির বাইরে থাকতে হচ্ছে। এবছরও তাই। ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ঢাকা গিয়েছিলাম। তাই বন্ধুর সাথে ওর ফ্ল্যাটে ছিলাম। বন্ধুর অফিসের কাজে রাত্রে বেড়িয়ে পরে। ফ্ল্যাটে দুই রুমে ছিলাম আমি আর আমার বন্ধুর দাদা। মানে আমাদের অমিত দা।
দাদা কিছু কাজ শেষ করে রুমে ফিরতে একটু দেরি হয়ে যায়। তো ঢুকেই আমাকে বলছে , সজীব চারপাশে সবাই পার্টি করছে আমাদের কি হবে রে 🤪। আমরা কি খাবো রাতে। আমি বললাম কিছু নেই তেমন। রান্না করতে হবে নতুন করে।
সাথে সাথে দাদা বললো ফ্রিজে খাসির মাংস রাখা আছে। বের কর ভিজিয়ে রাখ আর পিয়াজ কাটা শুরু কর, আমি ফ্রেশ হয়ে আসি। রাত তখন ১০.২৫। আমি আমার কাজে লেগে গেলাম। দাদাও একটু পর এসে কাজ শুরু করে দিল। দুজন মিলে বেশ একসাথে কাজ করছিলাম।
আমি ভাত রান্না করতে চাইলেও দাদা বলল আজ পোলাও খাওয়া হোক। যেই কথা সেই কাজ । পোলাও রান্নার আয়োজন শুরু করলাম। তখন রাত সাড়ে এগারটা হবে হয়তো। আমার মাথা তেই ছিল না নতুন বছরের জন্য হাং আউট শুরু হয়ে গেছে। তখন যুক্ত হলাম। সবার কথা শুনছিলাম আর কাজ করছিলাম। এর মধ্যে পোলাও নিয়ে এক কাণ্ড ঘটে গেল। সেটা আর নাই বা বললাম। হ্যাং আউটে ম্যাসেজ করেছিলাম তাই অনেকেই হয়তো জানেন ব্যাপারটা 😀😀।
হঠাৎ করেই শুনতে পেলাম চারদিক থেকে একসাথে বাজি ফাটতে শুরু করে দিয়েছে। তখনই বুঝতে পারলাম রাত বারোটা বাজতে আর বোধহয় বেশি দেরি নেই। আমি আর দাদা ব্যালকনিতে দাঁড়ালাম। হ্যাংআউটেও শুনছিলাম সব কথা। ঢাকার আকাশ রঙিন ফানুস দিয়ে ভরে গিয়েছিল। চমৎকার লাগছিলো সেই দৃশ্যগুলো। চারদিকে এত আতশবাজি হচ্ছিল। আর নানান রকমের গান বাজনা। সবকিছু মিলিয়ে এক অন্যরকম অনুভূতি। দারুন লাগছিল সবকিছু। নতুন বছর শুরুর সাথে সাথে কাছের সব মানুষকে উইশ করলাম। এভাবেই রাত ১২.৪৫ বেজে গেল।
আমাদের খাওয়া হয়ই নি তখনও। দাদাকে বললাম চলুন খেয়ে নেই। দাদা বলছে ফুলকপির পকোড়া খেতে ইচ্ছে করছে খুব। চল ঝটপট বানিয়ে ফেলি। কি আর করা। দাদার ইচ্ছে পূরণ করতেই হবে। তারাতারি সব রেডি করে পকোড়া ভেজে খেতে বসলাম। রাত তখন ১.১৮ বাজে। সে যাই হোক। দুই ভাই একসাথে বেশ মজা করে খেয়ে নিলাম।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে যখন শুতে গেলাম তখন মোটামুটি রাত দুইটা বাজে। তখনো জানতাম না আমার জন্য আরো কত যুদ্ধ অপেক্ষা করে আছে। আমার ঘরের মানুষ @isha.ish সন্ধ্যে থেকে ভেবে ভেবে কত কি লিখে রেখেছে। আমাকে দিয়ে প্রমিজ করিয়ে নেবে। আমি যেন ওই কাজ গুলো না করি। করলে আমার নাম ভুলিয়ে দেবে বলে হুমকিও দিয়েছে ওই মাঝ রাতে 😂😳। ভাবতে পারছেন আমার অবস্থা টা! কি আর করা। ঘরের শান্তি ধরে রাখতে সব পুরুষের ন্যায় আমাকেও মুখ বুজে সব স্বীকার করতে হলো 🤪। দাঁতের ওপর দাঁত দিয়ে সব হ্যাঁ হ্যাঁ করছিলাম 😉😉। ভগবান জানেন কতটা কি পারবো 🙏🤗।
তারপর মোটামুটি রাত তিনটার পর ঘুমিয়ে গেছি। এই ছিল আমার থার্টি ফার্স্ট নাইট থেকে নতুন বছরে পদার্পণ এর গল্প। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে 😊😊।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ভাইয়া থার্টি ফার্স্ট নাইট এর চমৎকার অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতি আমাদের কাছে আজকে উপস্থাপন করেছেন আপনি। খুবই সুন্দর করে গত কালকের দিনটি উদযাপন করেছেন আপনারা এবং খাওয়া-দাওয়ার আমেজও ছিল বেশ ভালই। শুভ কামনা রইল আপনাদের সকলের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
You have been upvoted by @sm-shagor, a Country Representative of Bangladesh. We are voting with the Steemit Community Curator @steemcurator07 account to support the quality contents on steemit.
Follow @steemitblog for all the latest update and
Keep creating qualityful contents on Steemit!
Joining #club5050 for Extra vote.😊
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit