নমস্কার,,
"আমি হব সকাল বেলার পাখি, সবার আগে কুসুম বাগে উঠব আমি ডাকি।" ছোট বেলার প্রিয় কবিতা টা মনে থেকে গেলেও কাজের কাজ বোধ হয় করা হয় না কখনোই। ভোর তো দূরের কথা সকাল টাও দেখা হয় না মাঝে মধ্যে শীতের মাঝে। লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সকালটাকে নষ্ট করে চলেছি দিনের পর দিন। এ বছরে শীতের মধ্যে ভোরে উঠিনি একদিনের জন্যও। তবে আজ সেই রেকর্ড টা ভেঙ্গেই গেল। বলা যায় অনেকটা ঠেলায় পরে গাছে ওঠার মত। হিহিহিহি।
আমি ছিলাম দিদির বাড়িতে। পরদিন সকালে দিদির শ্বশুর শাশুড়ি ঢাকা যাবে। অন্যদিকে দিদির হাসব্যান্ড একটু অসুস্থ। তাই আমাকে আগের রাতেই বলে রাখলো যে জামাইবাবু যদি অসুস্থ থাকে তবে আমাকে দিদির শ্বশুর শাশুড়িকে বাস টার্মিনাল এসে বাসে উঠিয়ে দিতে হবে। বিপত্তি হলো ওনারা রওনা দিবেন ভোর পাঁচটায়। মানে একদম প্রথম গাড়িতে। আসলে সকাল এগারোটার মধ্যেই ওনাদের ঢাকা পৌঁছতে হবে কিছু বিশেষ কাজের জন্য। আমার তো না বলার কোন অপশন নেই হাতে। দিদিকে বললাম যখনই যাবে আমাকে যেন ডেকে দেয়।
ভোর পৌনে পাঁচটায় আমাকে ডেকে দেয়। কাশির সিরাপ খাওয়ার জন্য রাতেও তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তাই ভোর বেলা ওঠার অভ্যাস না থাকলেও শরীরটা অতোটা খারাপ লাগছিল না। ঠিক পাঁচটায় বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেলাম। কত দিন পর এমন ভোরে রাস্তায় হাঁটছি। ভাবতেও ভালো লাগছিল। কিছুদূর পর্যন্ত রাস্তা টা ফাঁকাই ছিল। কিন্তু একটু দূর এগোতেই যখন সাতমাথার কাছে চলে আসলাম আমি পুরো অবাক হয়ে গেলাম। তখন ভোর নাকি সন্ধ্যা বোঝার কোন উপায় ছিল না। একের পর এক সারি বেঁধে নাইট কোচ গুলো ঢুকছিল। পুরো সাতমাথা জুড়ে মানুষের মেলা। চা থেকে শুরু করে ছোট খাটো ফাস্ট ফুডের দোকান গুলোতেও ভালো রকমের ভিড়।
আমি দিদির শ্বশুর শাশুড়িকে গাড়িতে তুলে দিয়ে কিছুক্ষণ চারপাশে ঘুরলাম। ভোরে এক কাপ রং চাও খেয়ে নিলাম। তারপর পকেটে হাত দিয়ে ফাঁকা রাস্তায় সিস দিতে দিতে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। সকলের মিষ্টি হিমেল হাওয়াটা মন্দ লাগছিল না এক কথায়।
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া ইদানিং ভোরে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাসটা একদম নেই বললেই চলে। যদিও আপনি কাজের জন্য উঠেছিলেন তবে আমি মনে করি বেশ ভালো উপভোগ করেছিলেন ভোর বেলার সময় টা। ধন্যবাদ সুন্দর একটি ভোরের মহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তবে আমাদের সবার সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস টা করে তোলা উচিত। এটা শরীরের জন্য সত্যিই অনেক ভালো। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি কিন্তু ভোরেই উঠি।ভোরে উঠলে আলাদা রকমের অনুভূতি হয় মনের মাঝে। সপ্তাহে ছুটির দুই দিন ৮/৯ টায় উঠি।যাক দিদির শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে ঢাকার বাসে তুলে দিতে সকালে উঠলেন।আর অনুভূতিতে ভালো লাগা ছিল বললেন।সত্যি কথা বলতে সকালের ঘুমটা ভীষণ আরামের এই শীতের সময়টাতে। কিন্তু উঠে গেলে আরো বেশী আরামের হয় মনের অনুভূতিগুলোর।আসলে বাইরে বের না হলে বোঝা যায় না কত মানুষ শীতকে উপেক্ষা করে বাইরে আছে।ধন্যবাদ আপনাকে অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটা ঠিক আপু, একবার উঠে গেলে আর প্রবলেম হয় না। না উঠলেই যত আলসেমি মাথা চারা দেয়। অনেক ধন্যবাদ আপু সব সময় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit