মামা ভাগ্নের কাটানো মুহূর্ত

in hive-129948 •  last year 

নমস্কার,,
হঠাৎ করেই দিদির বাড়ি যেতে হয়েছিল। বোন জামাই কিছু কাজে ইন্ডিয়া গেছেন। আর শুনলাম ভাগ্নের হালকা জ্বর এসেছে, তাই দেরি না করে আমি রওনা দিয়ে দেই। একদিনেই অবশ্য সেরে গিয়েছিল জ্বরটা। ভাগ্নে বায়না করে বসলো বাইরে ঘুরতে যাবে। আর পিজ্জা খাবে। যদিও বেশি খেতে পারে না, কিন্তু বায়না যেহেতু ধরেছে , না যেয়ে উপায় নেই। বিকালের দিকে বের হলাম দুজন। রিকশা নিয়ে একটু ঘুরে তারপর চলে গেলাম জলেশ্বরীতলা। এক কথায় বগুড়া শহরের প্রাণ কেন্দ্র এটা। তারপর মামা ভাগ্নে মিলে ঢুকে গেলাম হিলিয়াম রেস্টুরেন্টে।

IMG20231210171426.jpg

Location

এই রেস্টুরেন্টে অনেক বার এসেছি এর আগেও। জায়গাটা বেশ বড়সড়। আর পরিবেশ থেকে শুরু করে খাবারের মান দুটোই অনেক চমৎকার। ভেতরে গিয়ে অভ্র তো ভীষণ খুশি। ও নিজেই ডেকে পিজ্জা অর্ডার করলো। কোন কিছু ভাবার সময় নেই একদমই। হিহিহিহি। তারপর আমি বলে দিলাম যে একদমই যেন স্পাইসি না হয়। আমাকে জানালো মোটামুটি পনেরো মিনিটের মত সময় লাগবে। এদিকে ভাগ্নের আর দেরি সইছিল না। কখন পিজ্জা আসবে! এটা বলে বলে মাথা নষ্ট করার অবস্থা। উপায় না পেয়ে ওকে সাথে নিয়ে ভেতরটায় হাঁটলাম কিছুক্ষণ। সাথে কয়েকটা ছবিও তুললাম ভাগ্নের।

IMG20231210171404.jpg

IMG20231210172038.jpg

Location

অবশেষে পিজ্জা এসে হাজির হলো। আমাদের অপেক্ষার পালা শেষ হলো। হাহাহাহাহা। সত্যি বলতে সবাই পিজ্জা খেয়ে খুব মজা পায় কিন্তু আমার কেন যেন অতটাও ভালো লাগে না। আর একটু ঠান্ডা হয়ে গেলে তো একদমই মজা পাওয়া যায় না খেয়ে। যাই হোক, আজ ভাগ্নে খুশি তো আমিও খুশি। বেশ মজা করে খাওয়া শুরু করলো। ওর মজা করে খাওয়া দেখে আমার নিজেরও খুব ভালো লাগছিল। যদিও বেশি খেতে পারে নি। বাকিটা আমি সাবার করে দিলাম।

IMG20231210173348.jpg

IMG20231210175123.jpg

Location

রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে জিজ্ঞেস করলাম ভাগ্নেকে যে, আর কি খেতে ইচ্ছে করছে। ধুম করে বলে বসলো, মামা মিষ্টি নিয়ে বাড়ি যাব। কি আর করার! সোজা নিয়ে গেলাম এশিয়া সুইটসে। ভাগ্নের যে যে মিষ্টি ভালো লাগে সবগুলো মিলিয়ে এক কেজি মিষ্টি নিয়ে তারপর বাড়ির দিকে গেলাম। সব কিছু মিলিয়ে বেশ ভালো একটা সন্ধ্যা কেটেছে মামা ভাগ্নের ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার ভাগ্নের সাথে কাটানো মুহূর্ত পরে বেশ ভালো লাগলো। আসলে বাচ্চারা এরকমই খাবে না কিন্তু বায়না ধরবে আর দেখে মনে হবে অনেক খেতে পারবে।যাইহোক তাহলে বাকিটুকু আপনি সাবার
করেছেন জেনে ভালো লাগলো । আসলে বোনের বাসায় গেলে তো মিষ্টি নিয়ে যেতেই হয় ভাগ্নে বলাতে নিয়েছেন সেটা অনেক ভালো করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া ।

আপু ওর জন্য বাসায় ঢোকার আগেই রসমালাই নিয়ে গিয়েছিলাম। আমার সাথে বাইরে বেরিয়ে আবার বায়না ধরেছিল অন্য মিষ্টি খাওয়ার। পরে আবার ঐ সাধ পূরণ করলাম। হাহাহাহা। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।

বাহ্ দাদা মামা ভাগ্নে দুইজন মিলে দেখছি বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। আপনার ভাগ্নের বেশ বুদ্ধি আছে খেয়ে দেয়ে যখন পেট ভরে গেছে তখন মিষ্টি নিয়ে বাড়িতে যেতে হবে পরে খাওয়ার জন্য। অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

এখন বাচ্চারা ভীষণ চালাক রে ভাই। ওদের সাথে পেরে ওঠা যায় না একদমই। তবে বেশ মজাই লাগে আমার কাছে। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।

মামাকে দেখে তো ভাগ্নের জ্বর পালিয়ে গেছে ফটোগ্রাফি দেখে তাই মনে হচ্ছে। ভাগ্নেরা কিংবা ভাগ্নিরা কেন জানি মামাকে খুব পছন্দ করে ভালোবাসে।আপনাদের মামা,ভাগ্নের পিজ্জা খাওয়ার মূহুর্ত গুলো বেশ ভালো লাগছে।আসলে বাচ্চারা খাক বা না খাক কিন্তুু রেষ্টুরেন্ট গেলে খুব মজা পায়।ভাগ্নের জন্য তার পছন্দের মিষ্টি কিনেছেন বেশ ভালো লাগলো জেনে।ধন্যবাদ মামা,ভাগ্নের কাটানো সুন্দর সময়ের অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।

এটা একদম ঠিক বলেছেন দিদি। মামা ভাগ্নের ব্যাপারটাই আলাদা একদম। আর আমরা দুজনে একসাথে থাকলে বেশ মজা করে সময় কাটাই। খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে দিদি। ভালো থাকবেন সবসময়।