নিজের বাড়িতে নিজেকেও অতিথি মনে হয়

in hive-129948 •  7 months ago 

নমষ্কার,,

কখনো কখনো নিজের বাড়িতে নিজেকেই অতিথি হিসেবে মনে হয়। এই অনুভূতিটা যে শুধু এবারই প্রথম এমন নয়। এর আগেও এমনটা হয়েছে। হবে নাই বা কেন ! বাড়িতে যখন শুধু দুই দিনের ছুটি কাটানোর জন্য আসি তখন নিজেকে অতিথি না ভেবে আর কোন উপায় আছে! আমার হয়েছে ঠিক এই হাল। প্রায় একমাস পর বাড়িতে যাচ্ছি। ঈদে তো যাওয়া হয় নি। বাড়ি থেকে পাঠানো খাবার অনেক আগেই ফুরিয়ে গেছে। রান্না করা কিছু খাবারও আনা দরকার তাই।

IMG20240426082418.jpg

IMG20240426113807.jpg

Location

আমার প্রতি সপ্তাহের শেষে নাইট ডিউটি করে তারপর ছুটি শুরু হয়। তাই একবারে ব্যাগ গুছিয়ে নিয়েই অফিসে গেছিলাম। তাড়াতাড়ি যেন রওনা দিতে পারি। সত্যি বলতে গোছানোর তেমন কিছু ছিলোও না। খাবারের বক্সস গুলো তুলে নেওয়া টাই বড় চাপ ছিল আমার জন্য। হিহিহিহি। এক ব্যাগ ভর্তি শুধু খাবারের বক্সই হয়েছিল। এক মাসে এত কিছু যে এসেছিল এটা ভাবতেই আমার অবাক লাগে। যাই হোক অফিস থেকে সকাল সকাল বের হয়ে রওনা নেই কল্যাণপুরের দিকে। ইচ্ছে ছিল সকাল সাড়ে সাতটার বাস টা ধরার। কিন্তু জ্যামে সেটা আর হলো না। অবশেষে সকাল আটটার গাড়িতে আমি রওনা দিলাম।

IMG20240426115330.jpg

Location

একদম সময় মত গাড়ি এসে গেল। আমার সিট টাও বেশ ভালো ছিল। একদম সিঙ্গেল সিটটাই পেয়েছিলাম। বাসে ওঠার পর ঠান্ডা পানির বোতল আর পেপার দিল। আমি জানি পেপার টা আর পড়া হবে না আমার। ঘুমাতে হবে আমাকে। তাই ঠান্ডা জলে গলা ভিজিয়ে চোখ বুঝলাম। তার আগে বাড়িতে ফোন করে জানিয়ে দিলাম যে রওনা দিয়েছি, আর যেন ফোন না করে তিন ঘণ্টার ভেতর। মজার ব্যাপার হলো কথা গুলো বললাম মাকে। আর বাবা তখন ছিল বাইরে। এক ঘন্টা পরেই আবার বাবার ফোন পেলাম। তারপর আবার আমার দিদির ফোন। কেমন টা লাগে! সারা রাত জাগার পর ফোন রিসিভ করতে বেশ খারাপ লাগে। অন্যদিকে বাড়ির লোকজনও চিন্তা করে, তাই এত খোঁজ নেয়। কিছু বলারও নেই এখানে।

জ্যাম ছিল না একদমই। ত্রিশ মিনিটের যাত্রা বিরতি সহ আমি প্রায় চার ঘন্টার মধ্যেই বাড়িতে পৌঁছে গেলাম। অনেক ভালো একটা জার্নি বলা যায় আমার জন্য। কিন্তু বাসে এসিতে তো অনেক আরামে ছিলাম। নামার সাথে সাথে মনে হচ্ছিল পুরো শরীর আগুনে পুড়ে গেল। হাহাহাহা। তবে শত কষ্টের পরও মা বাবার কাছে যাচ্ছি এটাই পরম তৃপ্তির, শত আনন্দের।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

অনেক দিন পর বাড়িতে গেলে দুই /তিন দিনের জন্য নিজেকে অতিথি লাগাটা স্বাভাবিক। এসির ভেতর থেকে বের হলে শরীরের মধ্যে গরম আরো বেশী করে ঢোকে।তবে মা-বাবার মুখটি দেখতে পেলে গরম কোন ব্যাপারই না।সুন্দর সময় কাটুক এমনটাই প্রত্যাশা করি।

সময় টা সত্যিই খুব ভালো কেটেছে আপু। দোয়া করবেন। আর অনেক ভালো থাকবেন।

আপনি তো বিবাহিত মেয়েদের মত হয়ে গেলেন,হিহিহি।আমরা যারা শ্বশুরবাড়ি থেকে আসি তারাই একমাত্র নিজের বাড়িতে মেহমানের মত।আর আপনিও এমন হয়ে গেলেন। যাইহোক আপনি নিজের খাবার নেয়ার জন্য এতগুলা বক্স জমা করেছেন,এক ব্যাগ হয়ে গেল। বাসায় কিভাবে খান আমি ভাবছি। যাইহোক বাড়ি যাচ্ছেন হিসেবে সবারই চিন্তা হয় তাই বারবার কল করে।বাড়িতে সবার সাথে দিনগুলো ভালো কাটাবেন আশা করি।

আপনার মন্তব্য পড়ে আমারও অনেক হাসি পেয়েছে আপু। হাহাহাহা। আমি বাইরের খাবার খুব একটা খেতে পারি না । তাই বাড়ি থেকে যে তরকারি রান্না করে পাঠায় ওটা দুপুরে খাই, আর কাজের খালা যেটা রান্না করে ওটা রাতে খাই। দোয়া করবেন আপু। আর অনেক ভালো থাকবেন।

কি আর করা,বাড়ির বাইরের খাবার অনবরত খাওয়া তেমন ভালো লাগে না।কিছুদিন কক্সবাজারের হোটেলগুলোর খাবার খেয়েই বুঝেছি, বাসায় রান্না করা খাবার কতটা তৃপ্তি দেয়।

একদম ঠিক বলেছেন আপু। বাড়ির খাবার ছাড়া বাইরে টিকে থাকা খুব কষ্ট হয়ে যায় আমার মত ব্যাচেলর দের জন্য।

কর্মজীবনে অবস্থা টা এমনই হয় ভাই। মনে হয় আমি যেন এই বাড়ির অতিথি। বেশি দিনের বা চিরস্থায়ী ভাবে কখনো আসাই হয় না। ঐ দুই একদিনের জন্য আসা যেমনটা অতিথি আসে। ব‍্যাগ ভর্তি শুধু খাবারের বক্স ব‍্যাপার টা একটু ফ‍্যানি ছিল হা হা। এসি বাসে গেছেন দেখে একটু শান্তিতে গিয়েছেন। না হলে যে গরম পড়ছে সিদ্ধ হয়ে যেতেন হা হা।

বাস থেকে নেমে এক রকম সিদ্ধই হয়ে গেছিলাম ভাই। অসম্ভব গরম পরেছে। মেনে নেওয়ার মত না একদমই। দোয়া করবেন ভাই। অনেক শুভ কামনা রইলো।

ভাইয়া আপনার মত আমারও অবস্থা একই ।প্রতিনিয়ত নিজেকে নিজের বাড়িতে অতিথি মনে হয় ।কারণ সব সময় বাড়িতে দু-একদিনের জন্যই যাওয়া হয় ।যাইহোক আপনি অনেকদিন পর বাড়িতে যাচ্ছেন তাও দুদিনের জন্য এবং সবথেকে বড় কথা খাবার আনতে যাচ্ছেন। ব্যাপারটা সত্যিই ভীষণ মজার লাগলো। খাবার না ফুরালে মনে হয় এখন যেতেন না হা হা। বেশ ভালো জার্নি হয়েছে, নিরাপদে বাড়ি পৌঁছেছেন যেনে ভালো লাগলো ।আর এসি বাসে গেলে এই এক সমস্যা বাস থেকে নামলে যেন গা পুড়ে যায়। তারপরেও মা বাবার কাছে যাওয়ার আনন্দ অন্যরকমের।ধন্যবাদ আপনাকে।

আপু,, খাবার না ফুরালেও আমি মাসে একবার হলেও বাড়িতে যাবই। না হলে তো হাফ পাগল থেকে ফুল পাগল হয়ে যাব একদম। হাহাহাহা। দোয়া করবেন আপু। আর অনেক ভালো থাকবেন।