আমার অলস দুপুর

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

নমস্কার,,

সেদিন কিছু প্রয়োজনীয় কাজ নিয়ে গিয়েছিলাম বগুড়াতে। আমার বিকালের দিকে ওখানে যাওয়ার কথা ছিল। সকালের দিকে আমার ছোট বোন আমাকে হঠাৎ করেই মেসেজ দিয়ে বলল দাদা তুমি কবে আসবে বগুড়াতে। আমি যথারীতি বললাম আমি একটু পরেই যাচ্ছি। তখন বোন জানালো তাহলে একটু তাড়াতাড়ি রওনা দাও, কিছু দরকার আছে।

IMG20230405145739.jpg
Location

আমি সকালের স্নান খাওয়া শেষ করে রওনা দিয়ে দিলাম। বাইরের রোদটা যখন মাথায় পড়ছিল তখন রীতিমতো শরীর পুড়ে যাচ্ছিল মনে হয়। বাড়ির ভেতর থেকে এতটা বুঝতেই পারিনি। সাংঘাতিক রকমের তাপমাত্রা। যাই হোক একদম ভর দুপুরবেলা পৌঁছে গেলাম বগুড়াতে। বাস দিয়ে আধা ঘণ্টার রাস্তা।

সাথে সাথে বোনকে ফোন দিয়ে বললাম পৌঁছে গেছি আমি। বোন আমাকে পৌর পার্কের দিকে যেতে বললো। ইচ্ছে ছিল বাইরে রেস্টুরেন্টে বসে দুপুরের খাওয়াটা একসাথে খেতে খেতে আড্ডা দেব। কিন্তু আমার মাথাতেই ছিল না এখন রমজান মাস চলছে। সেই ভর দুপুরবেলা যখন পার্কের ভেতরে ঢুকছিলাম আমি শুধু ভাবছিলাম ভেতরে যদি ছায়া না পাই তাহলে একদম মরে যেতে হবে।

IMG20230405133301.jpg
Location

IMG20230405133640.jpg
Location

পৌর পার্কের ভেতরে ঢুকে মনটা ভরে গেল একদম। রমজান মাসের কারণে অনেকটাই নিরিবিলি চারপাশ। তা না হলে এই পার্কে কপোত কপতির অত্যাচারে শান্তিতে ঘোরাফেরা করা যায় না। বসার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। আর সব থেকে বড় কথা জায়গাটা ভীষণ শীতল ছিল গাছপালার জন্য। আমার বোন আসলে ওকে নিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করি চারপাশটা। অনেকদিন পর এখানে এসেছি আমি। ভেতরে তেমন কিছু নেই হয়তো তবুও ভালো লাগছিল বেশ।

IMG20230405133231.jpg
Location

পুকুরের একটা পাশে বসে গেলাম দুই ভাইবোন মিলে। তারপর নানা ধরনের আড্ডা শুরু হল। সত্যি বলতে প্রয়োজনীয় কিছু কথা বলার জন্যই আমাকে ডেকেছিল ছোট বোন। যতটা পারি ওকে পরামর্শ দিলাম। গল্প করতে গিয়ে কিভাবে যে আড়াই ঘণ্টা সময় কাটিয়ে ফেলেছিলাম বুঝতেই পারিনি দুজনে। এভাবেই একটা অলস দুপুর কেটে গেল আমাদের দুই ভাই বোনের। জায়গাটায় বেশ বাতাস ছিল। এজন্য এতোটা সময় থাকতে পেরেছিলাম। তা না হলে এই তীব্র রোদের মধ্যে বাইরে থাকাই মুশকিল হয়ে যেত।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভাইয়া বোন মিলে বেশ ভালই আড্ডা দিয়েছেন। সত্যি রমজান মাস বলে লোক জনের চাপ কম থাকে। সবুজের সমারোহ শীতল ছায়ায় বসে এমন আড্ডা দিতে দুই ঘন্টা কেনো,হাজার ঘন্টা পার হয়ে গেলেও মনে হয় না যে সময় কোথা দিয়ে গেল।যাইহোক দুজনে মিলে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন যেন ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাক।

একদম ঠিক বলেছেন আপু পরিবেশটা সত্যিই উপভোগ করার মতোই ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।

দাদা ভাই বোনের এরকম সম্পর্ক থাকা দরকার। ছোট বোন আপনাকে বগুড়ায় তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য বলল। অথচ আপনি আধা ঘন্টার মধ্যে বগুড়ায় পৌঁছে গেলেন। তবে রমজান মাস বিদায় মনে হয় পার্কে গিয়ে কিছু খেতে পারলেন না। তারপরও ছোট বোনের সাথে কথা বলতে বলতে আড়াই ঘণ্টা পার করে ফেলেছেন। তবে শুনে খুব ভালো লাগলো ছোট বোনকে ভালো পরামর্শ দিয়েছেন।

আমরা আসলে ভাই বোন সব সময় অনেক মজা করি আপু। তাই আড্ডাটা বেশ জমে উঠেছিল। অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন সবসময়।

আসলে দাদা ভাই বোনের সম্পর্কে এমনই হওয়া দরকার। আপনার ছোট বোন আপনাকে বগুড়া যাওয়ার কথা বলো। তারপর আপনি গাড়ি করে আধা ঘন্টার মধ্যে বগুড়া গেলেন। প্রথমে মনে করলেন কোথাও বসে দুপুরের খাবার খেয়ে কথা বলবেন। পরে হঠাৎ করে আপনার মনে হল এখন রমজান মাস। যাই হোক পার্কে বসে ছোট বোনকে ভালো পরামর্শ দিয়েছেন। এবং ফ্রাই আড়াই ঘন্টা ছোট বোনের সাথে কথা বললেন। সত্যি আপনার পোষ্টটির মাধ্যমে ছোটবোনের জন্য আন্তরিকতা কতটুকু তা বুঝিয়ে দিলেন।

হ্যাঁ ভাই একদম ঠিক বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সময় নিয়ে আমার লেখাটা পড়ে সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।