বাড়ি ফেরা

in hive-129948 •  2 years ago 

নমষ্কার,,

সবাইকে জানাই শারদীয় শুভেচ্ছা। আজ মহাসপ্তমী পূজা। চার দিকে ঘোরাফেরা আর ঠাকুর দেখা চলছে পুরোদমে। আমার সাথে যদিও এবছর পূজো টা একটু অন্যরকম ভেবেই কাটছে। তবুও এটুকু স্বস্তি যে হসপিটাল থেকে বাড়ি চলে আসতে পেরেছি। তার মানে এই নয় যে আমি পুরোপুরি সুস্থ। জ্বর কমেছে তিন দিন হলো। রক্তের প্লাটিলেট এক লক্ষ দশ হাজার আছে। দুই দিন ধরে টেস্ট করেও একই রেজাল্ট আসছে। ওটা বাড়াতে হবে। হসপিটালে থেকে আর খুব একটা কাজ নেই। ডক্টর বলেছেন খাওয়া দাওয়া করে বাকিটা তুলতে। আর এক দিন পর পর ব্লাড টেস্ট করতে।

IMG20220929213402.jpg
Location

শরীরের অবস্থা একটু ভালো দেখে ছেড়ে দিল ডক্টর। আমিও রীতিমত হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। আমার সব থেকে আরাম লেগেছে হাত থেকে ক্যানুলা খোলার পর। পাঁচ টা দিন হাতের মাঝে ছিল। বাপরে বাপ। খুব কষ্ট এই জিনিসে। হাত থেকে খোলার পর পর দেখছিলাম নিজের হাত টা,,, বড্ড মায়া হচ্ছিল। কত ঝড় বয়ে গেছে কয় দিনে।

IMG20220929230254.jpg
Location

সব থেকে মজার ব্যাপার হলো, আমি নিজে সব সময় ব্লাড টেস্ট আর স্যালাইন পুষ করা নিয়ে ভয় পেতাম। আর ভগবানের কি লীলা যে আমার সাথেই এসব হতে হলো। দুই হাতে ইনজেকশন পুশ করতে করতে পুরাই শেষ।

বাড়িতে এসে একটা আলাদা শান্তি পাওয়া যায় সত্যিই। যতোই অসুখ থাকুক না কেন। মনের শান্তি টাই বড় কথা। শরীর মারাত্মক রকমের দুর্বল। বাথরুম পর্যন্ত হেঁটে যেতেই মনে হয় পরে যাব। মুখে খাবারের স্বাদ ছিল না কয়দিন, তবে ওটা এখন আসছে ধীরে ধীরে। রোজ প্রচুর তরল জাতীয় খাবার আর ভিটামিন সি খাওয়ার চেষ্টা করছি।

IMG20220929213405.jpg
Location

এমন একটা বাজে অসুখ যার জন্য মুখে খাওয়ার কোন ওষুধ নেই। এতদিন ধরে পুষে নিয়ে বেড়াতে এত অসহ্য লাগছে! কিছু করার নেই যেন। ফোন নিয়ে টাইপ করাও খুব কষ্টের। শরীর এত দুর্বল যে কিছুক্ষণ ফোন নিয়ে কোন কাজ করলেই ঘুমিয়ে যাই। কি আর বলবো। আজ এখানেই রাখছি। আমার জন্য প্রার্থনা করবেন 🙏।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সত্যি বলেছেন ভাইয়া কথায় আছে না,যেখানে বাগের ভয় সেখানেই রাত পোহায়।আপনি সময় ব্লাড টেস্ট আর স্যালাইন পুষ করা নিয়ে ভয় পেতেন সেটাই আপনার সাথে হয়েছে । যাইহোক আপনি সুস্হ হয়ে বাড়িতে এসেছেন যেনে ভালো লাগল। এখন শরীরে ভালো ভাবে যত্ন নিন, আশাকরি তারাতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

ব্লাড টেস্ট করতে করতে আমি নাজেহাল পুরো আপু। দোয়া করবেন যেন শরীরটা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। অনেক ভালো থাকবেন।

দাদা প্রথমে জানা শুভ শারদীয় দূগাপুজা শুভেচ্ছা। ডেংগু জর মারাত্নক একটা জর দাদা।আপনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন দেখে অনেক ভালো লাগল। খাবার দাওয়া ঠিক মত করলে শরীর শক্তি আসবে।মালতা খান বেশি করে রুচি আসবে।ভগবান বুদ্ধ কাছের প্রার্থনা করি আপনি যেন পুরো পুরি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান।

অনেক ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর করে এই ভাইয়ের জন্যে প্রার্থনা করার জন্য। অনেক ভালো থাকবেন।

যাক বাড়িতে আসতে পেরেছেন এটা শুনে খুবই ভালো লাগলো। শরীর অসুস্থ হলে হসপিটাল এ থাকার থেকে বাড়িতে নিজের আপনজনের সাথে থাকলে নিজেকে কিছুটা সুস্থ মনে হয প্লাটিলেট এক লক্ষ দশ হাজার আছে সেটা শুনে ভালো লাগলো এটা স্বাভাবিক ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করলে এটাও ঠিক হয়ে যাবে।এখন আপনার প্রচুর পরিমাণে রেস্ট দরকার তরল খাবার কিন্তু চালিয়ে যেতে হবে। তারপরও তো আপনি অসুস্থ হয়েও একটু একটু করে লিখছেন যেটা দেখে ভালো লাগছে। দোয়া করছি খুব তাড়াতাড়ি যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন ।আপনার বাবা এখন কেমন আছেন?

আমি তো সবসময় একদম বেড রেস্টে আছি আপু। আরো যে কতদিন এই দূর্ভোগ পোহাতে হবে কে জানে! বাবাকে ডাক্তার দেখিয়েছি,, আগের থেকে বেশ ভালো আছেন এখন আপু। দোয়া রাখবেন 🙏

রক্তের প্লাটিলেট কমে গেলে অনেক বিপদ, খাওয়া দাওয়া ঠিকঠাকমতো খেলে মনে হয় প্ল্যাটিলেটের পরিমাণ বাড়তে পারে। আর এই দিক থেকে আমার ও অনেক প্যারা লাগে যদি হাতের মধ্যে ক্যানুলা লাগানো থাকে। এই ক্যানুলা আসলে খুবই কষ্টদায়ক। যাইহোক অবশেষে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন এটাই বড় কথা। আর বাড়িতে গেলে দেখবেন বাকি অসুখ এমনিতেই চলে যাবে ধন্যবাদ।

খাওয়া দাওয়া করছি বেশ কিন্তু তারপরও প্লাটিলেট বাড়ছে না খুব একটা। শরীরটা খারাপ লাগে এই জন্য খুব। দোয়া করবেন ভাই। 🙏

অনেক অনেক দোয়া রইল ভাই আপনার জন্য যাতে করে আপনি সব দিক থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন

দোয়া করি ভাইয়া যেনো শিগ্রই সুস্থ হয়ে উঠেন। বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেড়ে গিয়েছে। এই তো সপ্তাহ খানেক আগে এক ডেঙ্গু রোগিকে রক্ত দিয়ে এসেছি। আমার ঘরেও জ্বর। আব্বু আম্মু দুজনই জ্বর এ ভুগতেছে।

ডেঙ্গু যে কতটা ভয়াবহ নিজের হয়ে ভালোই টের পাচ্ছি ভাই। দোয়া করি আংকেল অ্যান্টি তারাতারি সুস্থ হয়ে উঠুক। মা বাবা অসুস্থ থাকলে কোন কিছু করেই শান্তি পাওয়া যায় না।

অবশেষে আপনি সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। আসলে এটাই আমাদের জীবন আমরা যে সকল জিনিসগুলো ভয় পাই সেগুলো অসুস্থতার ফলে আমাদের খুব বেশি পরিমাণে করতে হয়। বেশি বেশি তেল জাতীয় খাবার এবং ভিটামিন সি খাবার চেষ্টা করুন তাহলে খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন।

হ্যাঁ ভাইয়া খাওয়া দাওয়া করছি ওভাবেই কিন্তু এখনও বেশ সময়ের প্রয়োজন এই খারাপ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। অনেক ভালোবাসা রইলো ভাই।

সময় তো একটু লাগবেই ভাইয়া তারপরও কি আর করার আছে চেষ্টা করে যান আশা করি মহান সৃষ্টির দরকার আপনাকে সুস্থ করে দেবে

  ·  2 years ago (edited)

শেষমেষ বাড়িতে ফিরছেন এটা শুনে ভালো লাগলো। কিন্তু তারপরেও রক্তের প্লাটিলেট একটু বাড়ানোর চেষ্টা করবেন। আর বাড়িতে আসলে ও নিজের যত্ন নিবেন। এত অসুস্থতার মাঝেও যে আমাদের মাঝে কিছুটা সময় দিয়েছেন এটা দেখে ভালো লাগলো। আপনি যেন একেবারে সুস্থ হয়ে যান, আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

সারা দিন একঘেয়েমি ভাবে শুয়ে থাকতে একদম ভালো লাগে না আপু। তাই চেষ্টা করি অল্প করে হলেও যেন এই পরিবারের সাথে সময় কাটাতে পারি। অসংখ্য ধন্যবাদ এভাবে সব সময় পাশে থাকার জন্য। অনেক ভালো থাকবেন আপু।

খবরটা শুনে আসলেই ভালো লাগলো। কালকেই দোয়া করছিলাম যেন দশমীর আগে বাড়ি যেতে পারেন। ঠিকই তাই হল। আর অনেকদিন পর হসপিটাল থেকে বাড়ি ফেরার যে কি আনন্দ তা যারা যায় তারাই শুধু জানে। ক্যানুলার কথা আর বলেন না। আমার দুই বাচ্চা হওয়ার সময়ই আমি শেষের দিকে গিয়ে আর রাখতে পারিনি। খুলে ফেলেছি। পরে নরমাল ইনজেকশন দিয়ে বাকি ওষুধগুলো পুশ করেছি। দোয়া রইল যেন তাড়াতাড়ি মুখের স্বাদ ফেরত আসে এবং আমার খাবার দেখে লোভ লাগে।

মন থেকে ভালোবেসে কারো জন্য দোয়া করলে উপরওয়ালা নিশ্চয়ই সেটা পূরণ করেন। 🙏🙏। সত্যি বলছি আপু হাতে ক্যানুলা লাগানোর পর কয়েকবার মাথায় এসেছে একটা মা তাহলে আরো কত কষ্ট সহ্য করেন তার সন্তানের জন্য। মা এর তুলনা শুধু একজন মা ই হয়। অনেক ভালো থাকবেন আপু। আর এমন মিষ্টি দোয়া সব সময় যেন এই ভাইয়ের সাথে থাকে 🙏।