নমস্কার,,
এখনো পুরোপুরি এক বছর হয়নি আমার লাস্ট বারের কলকাতা যাওয়ার। আসার আগের দিন একদম সকাল থেকে প্রায় মাঝ রাত পর্যন্ত সময়টা কাটিয়েছিলাম আমাদের শ্রদ্ধেয় দাদার সাথে। এক কথায় যদি বলা যায় পুরো স্বপ্নের একটা দিন ছিল আমার জন্য। ভীষণ আনন্দ করে সারাটা দিন এবং সন্ধ্যা কাটিয়েছিলাম। সবকিছু নিয়ে অবশ্য পরবর্তীতে বাংলাদেশে ফিরে পোস্টও করেছি।
আজকে অনেকদিন পর ফোনের ভিডিওগুলো যখন দেখছিলাম হঠাৎ করেই সেই দিনের একটি ভিডিও সামনে এসে গেল। ভাবলাম ছোট্ট সেই ভিডিওটাই সবার সাথে শেয়ার করে নেই। বিকালের দিকে আমরা সাইন্স সিটিতে গিয়েছিলাম ঘুরতে। বেশ লম্বা সময় কাটিয়েছিলাম আমি, দাদা এবং নিলয় দা তিনজন মিলে। সাইন্স সিটিতে কাটানো সময়ের আরও বেশ কয়েকটা ভিডিও আমার কাছে ছিল। কিন্তু ভুল করে ডিলিট করে ফেলেছি। আজকে তাই পোস্টটা করার সময় বেশ আফসোস হচ্ছিল সেগুলো নিয়ে।
ছোট্ট এই ভিডিওটুকু করেছি আমরা যখন রোপওয়েতে করে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাচ্ছিলাম ওই সময়টাতে। সত্যি কথা বলতে আমি জানতাম না রোপওয়ে জিনিসটা আসলে কি। গাড়ির ভেতরে আমাদের দাদা ভীষন এক্সাইটেড ছিল এই রোপওয়েটা নিয়ে। পরে বুঝতে পারলাম ঝুলন্ত একটা বিশাল বক্সের ভেতর চেপে বেশ উচুঁ দিয়ে সাইন্স সিটির এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাওয়াটাই রোপওয়ে।
একদম মাঝামাঝিতে গিয়ে কিছুটা সময় আমরা শূন্যের উপরে ভেসে ছিলাম, মোটামুটি ৯ থেকে ১০ তলা বিল্ডিং এর সমান উঁচু হবে এমন জায়গাটায়। তখন আমরা সবাই ভিডিও করছিলাম, ছবি তুলছিলাম। আবার ফোনটা বের করে ছবি বা ভিডিও করতেও ভয় পাচ্ছিলাম একটু একটু। ধুম করে যদি পড়ে যায় তবে একদম টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। হিহিহিহি। দাদা এবং আমি বেশ সাবধানতার সাথেই ফোন ব্যবহার করছিলাম।
ভিডিওটাতে বিশাল উঁচু যে বিল্ডিংটা আপনারা দেখতে পাবেন যেখানে দুটো বিল্ডিং একসাথে কানেক্ট করা সেই বিল্ডিংটা সামনাসামনি দেখতে অসাধারণ লাগছিল এক কথায়। নিলয় দা জানালো ঐ বিল্ডিংয়ে শাহরুখ খানের একটি ফ্ল্যাট নেওয়া আছে। আমি তো মজার ছলে বেশ কয়েকবার দাদাকে বলছিলাম, চলুন দাদা শাহরুখ খানের বাড়ি থেকে একটু চা কফি খেয়ে আসি হিহিহিহি।
আজকের পোস্টটা যখন লিখছিলাম চোখের সামনে সেই দিনটার কথা ভীষণ মনে পড়ছিল। একসাথে ঘোরাঘুরি, খাওয়া-দাওয়া এবং মুভি দেখা, হাসি ঠাট্টা, উফ্ তিন জন ছেলে একসাথে ঘুরলে যা হয়। আমার জীবনের অন্যতম স্বরনীয় একটা দিন ছিল সেদিন। সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকব আমাদের শ্রদ্ধেয় দাদার প্রতি এমন একটা বিশেষ মুহূর্ত আমার ছোট্ট এই জীবনে এনে দেওয়ার জন্য।
আপনি যখন কলকাতায় এসেছিলেন তখন তো একটুখানি আভাস পেয়েছিলাম,খুব সম্ভবত নিলয়ের কাছ থেকে। সাইন্স সিটিতে আমি দুইবার গেলেও আসলে কখনো রোপওয়েতে উঠেনি। আর শাহরুখ খানের একটা ফ্ল্যাট খুব সম্ভবত কলকাতাতে আছে, তবে কোথায় আছে এটা জানিনা। সব মিলিয়ে আসলে খুব ভালো লাগার মত একটা পোস্ট ছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদার জন্যই রোপ ওয়ে তে ওঠা। দারুন একটা অভিজ্ঞতা ছিল। আর ওখানে যে শাহরুখ খানের ফ্ল্যাট আছে এটা নিলয় দার মুখেই শোনা। 😀।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit