নমস্কার,,
তীব্র গরমে সারা দেশের যা অবস্থা তাতে সবাই হাপিয়ে উঠেছে। আর যেন সহ্য করাই যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে বেচেঁ থাকাটাই কষ্ট হয়ে যাবে। কোন পাপের যে শাস্তি ভোগ করছি সবাই মিলে এটা শুধু ঈশ্বরই জানেন। বিছানায় শুয়ে থাকতে অবধি পারছি না। আমি ঢাকাতে থাকলেও আমার ফ্ল্যাট টা দোতলায়। আর দুইটা বড় বেলকুনি আছে। এক পাশে বেশ ফাঁকা। ভালো রকমের বাতাস আসে রুমে সব সময়। তাতেও কুলিয়ে উঠতে পারছি না। না জানি অন্য সবার কি হাল হয়ে আছে।
কয়েকদিন ধরে অফিস করে একদম বিরক্ত লেগে গিয়েছিল। কোন কিছুতেই মন বসছিল না। এদিকে গরমে কোনদিকে যাওযার উপায় নেই। তারপরও সন্ধ্যার আগে বেরিয়ে চলে গেছিলাম স্বামীবাগ। উদ্দেশ্যে ছিল মন্দির দর্শন করা। অনেক দিন ধরে মন্দিরে যাওয়া নেই। তাই ভাবলাম একটু মন্দির থেকে ঘুরে আসতে পারলে হয়তো ভালো লাগবে। গরম উপেক্ষা করেই চলে গেলাম। যাওয়ার সময় খুব একটা খারাপ লাগে নি। বেশ ফাঁকা ছিল চারপাশ। কিন্তু মন্দিরে ঢোকার সাথে সাথে দেখি উপচে পড়া ভীড়। আসলে সেদিন ছুটির দিন ছিল। সেজন্য হয়তো সবাই মন্দিরে ঘুরতে এসেছিল।
প্রথমে গেলাম বাবা লোকনাথের মন্দিরে। প্রণাম সেরে কিছুটা সময় একপাশে বসলাম। ওখানে সন্ধ্যায় কীর্তনের আয়োজন করা হয়েছিল। বেশ ভালো লাগছিল শুনতে। একটু পর বেরিয়ে গেলাম পাশের ইসকন মন্দিরে। আমার ইচ্ছে ছিল ওখানে সন্ধ্যা আরতি দেখব। আসলে ইসকন মন্দিরের আরতি একদম মন ভুলিয়ে দেয়। কিন্তু সেখানে যাওয়ার সাথে সাথে আমার চোখ কপালে উঠে গেল। এতো মানুষ যে দাড়ানোর উপায় নেই। গরমে যেন অতিষ্ট হয়ে গেলাম। কিছুটা সময় সেখানে থাকার পর আর যেন থাকতেই পারছিলাম না। উপায় না পেয়ে সোজা বেরিয়ে পরলাম মন্দির থেকে। ভাবলাম গরমে আর কোথাও যাওয়া যাবে না। সোজা বাড়ির দিকে রওনা দেওয়া টাই বুদ্ধি মানের কাজ হবে। অবশেষে যখন বাড়ি ফিরলাম দেখি ঘাম দিয়ে পুরো স্নান করে উঠেছি।
যদিও একটু ভোগান্তি ছিল তবে মন্দির থেকে ঘুরে এসে বেশ ভালো লেগেছে। মনটাও বোধ হয় একটু হালকা হয়েছিল। ঈশ্বর সকলকে ভালো রাখুক, সুস্থ রাখুক এটাই প্রার্থনা সব সময়।