ইন্ডিয়া ভ্রমণ ২০২৩- পর্ব ২ - মালদা টু কুচবিহার ট্রেন জার্নি

in hive-129948 •  last year 

নমস্কার,,

প্রায় চার ঘণ্টা জার্নি করে হিলি থেকে মালদা পৌঁছানোর পর শরীর টা ভীষণ ক্লান্ত লাগছিল। আর এত খিদে পেয়ে গিয়েছিল যে বলে বোঝাতে পারব না। তবে আমার জন্য যে একদম জামাই আদর অপেক্ষা করে আছে এটা একদমই জানা ছিল না। আমার মামী আমার জন্য সব কিছু রান্না করে একদম টেবিলে সাজিয়ে রেখেছিল। শুধু ফ্রেশ হয়ে খাওয়ার অপেক্ষা। গুনে দেখি প্রায় তেরো রকমের আইটেম রান্না করেছে। আমি রীতিমত অবাক। পুরো টেবিল দিয়ে সাজানো খাবার। আফসোস যে ঐ মুহুর্তে একটাও ছবি তুলে রাখি নি আমি। যাই হোক দারুন ভুঁড়ি ভোজনের পর কিছুটা সময় শুয়ে রেস্ট নিলাম।

IMG20231227213123.jpg

Location

বেশি সময় যে রেস্ট নেব সেই উপায় ছিল না। কারণ রাত দশটায় আমার ট্রেনের টিকিট করা ছিল। ওদিকে মামীর ছোট ছোট দুই ছেলে মেয়ে আমার পিঠে উঠে নাচানাচি করছিল। তাই শুয়ে খুব একটা আরাম করার উপায় ছিল না। হিহিহিহি। তবে ওরা এতো মিষ্টি যে সব ক্লান্তিই দূর হয়ে যাবে ওদের পেলে। আমি ঐ রাতেই বেরিয়ে যাব দেখে ভীষন মন খারাপ ছিল বাচ্চা দুটোর। অনেক বুঝিয়ে বের হতে হয়েছিল।

মালদা স্টেশন টা খুব কাছেই ছিল ওখান থেকে। পেটে খুব একটা খিদে ছিল না অবেলায় খাওয়ার জন্য। তবু রাত নয় টায় হালকা করে খেয়ে স্টেশনের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেলাম। আমার সাথে আমার মামাও ছিল। একদম ট্রেনে উঠিয়ে দিয়ে এসেছিল।

IMG20231227214045.jpg

Location

বলা যায় একদম ঠিক সময়ে ট্রেন চলে আসে। আমার সিট টা ছিল থার্ড টায়ার এসি তে, লোয়ার ব্রেঞ্চ। উঠেই দেখি আমার সিটে এক মহিলা ছোট বাচ্চা নিয়ে ঘুমিয়ে আছে। আমি ডাকতেই বলছে, দাদা আমি ছোট বাচ্চা নিয়ে ওপরে যেতে পারব না, প্লিজ একটু উপরের স্লিপারে যান আপনি। কি আর করার। মানবতার খাতিরে আমিই চলে গেলাম। এমনিতে খুব একটা প্রবলেম হয় নি।বালিশ কম্বল সব ছিল। আমি শুয়ে পড়লাম। তবে কেন যেন ঘুম ঠিক মত হচ্ছিল না। একটু পর পরই জাগা পেয়ে যাচ্ছিলাম। একটা সময় শুয়ে থাকতেও বিরক্ত লাগছিল। রাত তিনটায় বসে বসে পোস্ট লিখছিলাম তখন। হিহিহিহি।

![IMG20231228055951.jpg](UPLOAD FAILED)

Location

আমার ট্রেন টা ভোর পাঁচটাতে কুচবিহারে পৌছানোর কথা থাকলেও একটু লেট ছিল। তাই ভোর ছয় টায় আমি পৌঁছে যাই। আমার দাদা আমাকে নিতে রওনা হয়ে গিয়েছিল আমার ফোন পেয়ে। আমি মিনিট দশকের মত স্টেশনে ওয়েট করি। এর মধ্যে দাদা এসে যায় আমাকে নিতে। আর এভাবে বেশ ভালো ভাবেই পৌঁছে গেলাম কুচবিহার পিসির বাড়িতে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!