ভোগান্তির একটা দিন

in hive-129948 •  2 years ago 

নমষ্কার,,

ভিসার জন্য ডেলিভারি ম্যাসেজ আসার কথা ছিল এই মাসের ২১ তারিখের পর। কিন্তু কাকতালীয় ভাবে দেখি গতপরশু রাতেই ফোনে ম্যাসেজ চলে আসে পাসপোর্ট রিসিভ করার জন্য। নয় দিনের মাঝেই দেখি রেডি সব কিছু। ঐদিকে বেশিরভাগ মানুষের ২০-২৫ দিনের মত সময় লাগছে। সেখানে আমার এত তাড়াতাড়ি কি করে হলো! মনে মনে ভয় পাচ্ছিলাম যে রিজেক্ট হলো নাকি। সে যাই হোক পাসপোর্ট টা তো নিতে যেতে হবে। তাই আজকের দিনটাকে ভেবে রেখেছিলাম যাওয়ার জন্য।

IMG20221215154901.jpg

যমুনা ফিউচার পার্কে পাসপোর্ট ডেলিভারি শুরু করে বিকাল তিনটা থেকে। এক বন্ধুর সাথে কিছু টা সময় কাটিয়ে তারপর পাসপোর্ট নিয়ে বাড়ি ফিরব। এমন টাই প্ল্যান করলাম। সাড়ে এগাোটায় বের হলাম রুম থেকে। মহাখালী থেকে এমন জ্যাম শুরু হলো যে যমুনা ফিউচার পার্কে পৌঁছাতে দেড়টা বেজে গেল। বন্ধুর সাথে দেখা আর তখন করলাম না। সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখি পাসপোর্ট নিতে আসার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছে মানুষ। উপায় না দেখে আমিও দাড়ালাম। আমার সামনে মোটামুটি দুইশ মানুষ দাড়িয়ে। সময় বাড়ার সাথে সাথে পেছনে আরো পাঁচ- ছয়শ মানুষ দাড়িয়ে গেল। কি এক অবস্থা!

IMG20221215132555.jpg

সব দিন বিকাল তিনটা থেকে ভেতরে লোক ঢুকতে দেয়। কিন্তু আজ কি যেন প্রবলেম হয়েছিল । তাই জন্য প্রায় চারটার দিকে ভেতরে ঢোকার গেট খুলে দেয়। মোটামুটি দুই ঘণ্টা লাইনে দাড়িয়ে থেকে ভেতরে ঢুকে গেলাম। ভেতরে অন্য অনেক কাউন্টারে মোটামুটি ত্রিশ জন করে লাইনে দাড়িয়ে ছিল। কিন্তু আমার পাসপোর্ট টা যেখানে ছিল ওটা একদম ফাঁকা ছিল। বলা যায় ঢুকে পাঁচ মিনিটের মাঝেই আমার কাজ হয়ে যায়। পরে তো দেখলাম সব কিছু ঠিকমতোই আছে। যদিও এক বছরের ভিসা পেলে বেশি ভালো হতো। মনে হয় না এত তাড়াতাড়ি আমার যাওয়া হবে আর।

IMG20221215162002.jpg

IMG20221215161748.jpg

IMG20221215162425.jpg

যাই হোক তারপর আশেপাশে একটু ঘুরে দেখলাম কিছু শোরুম। পকেট ফাঁকা ছিল। তাই দেখেই চলে আসতে হয়েছে। আর ফেরার পথে বন্ধুর সাথে আড্ডা দিয়ে বেশ ভালো রকমের একটা জ্যাম ঠেলে বাড়ি পৌঁছে যাই। সারাদিন ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া হয়নি। তার ভেতর দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে অনেকক্ষণ। বাড়ি পৌছার পর শরীর একদম নেতিয়ে গেছে। খাওয়া দাওয়া করে মাত্র পোস্ট করলাম। আজ একটা ফ্রেশ ঘুম দরকার। দেখা যাক রাত টা কেমন কাটে! 🙏

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

প্রায় দুইশ মানুষ পার হওয়ার পর অবশেষে ভেতরে প্রবেশ করতে পেরেছেন এতে বোঝাই যাচ্ছে আপনার অনেক ধৈর্য। আমি তো এতক্ষণ ধৈর্য ধরে দাঁড়িয়ে থাকতেই পারতাম না। আসলে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই এখন। বেশ লম্বা লাইন দেখতে পাওয়া যায়। ব্যাংকে গেলেও একই অবস্থা। আর পাসপোর্ট অফিসে গেলে তো ভোগান্তির শেষ নেই। যাইহোক ভাইয়া যেহেতু অনেক পরিশ্রম হয়েছে আজকে তাই ফ্রেশ ঘুম দেওয়াই উত্তম হবে।

হ্যাঁ আপু ক্লান্ত শরীর নিয়ে ঘুমটা বেশ হয়েছিল রাতে। আর আপু, লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না একদম। বলতে পারেন সবাই একরকম বাধ্য হয়েই ছিল। তবু যে সব কাজ মিটেছে এটাই অনেক। অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন।

শীতের দিন জন্য বেঁচে গিয়েছেন ভাইয়া। তা না হলে গরমের দিনে এই 200 জনের লাইনে দাঁড়াতে হলে তো অসুস্থ হয়ে যেতেন। ২ ঘন্টা লেগেছে এই এতগুলো মানুষের ঢুকতে। একদিক দিয়ে ভিড় থাকলেও অন্য দিক দিয়ে ফাঁকা পেয়ে কিছুটা পুষিয়ে দিয়েছে। আজকে ভিড় জন্যই মনে হয় তিনটার পরিবর্তে চারটায় গেট খুলেছে। যাই হোক সবশেষে ভিসা পেয়েছেন তাই অনেক। ভালো লাগলো জেনে।

ঢাকায় ভিড় টা অত্যাধিক বেশি আপু। আমাদের ঐদিকে দিলে এত কষ্ট হতো না। তবু যে কাজ হয়েছে এটাই অনেক বড় কিছু ছিল। দোয়া করবেন আপু। তারাতারি সুস্থ হয়ে উঠুন। 🙏