কাঁচ কলার কোপ্তা কারি রেসিপি ।। ১০% বেনিফিশিয়ারি @shy-fox এর জন্য

in hive-129948 •  2 years ago 

আসসালামু ওয়ালাইকুম,

সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

সব সময় যে মাছ মাংস দিয়ে মজার আইটেম তৈরি করা যায় তা নয় মাঝে মাঝে সবজি দিয়ে মজার মজার আইটেম তৈরি করা যায়। যেমন আমি আপনাদের মাঝে আজ হাজির হয়েছে কাঁচকলার কোপ্তা কারি রেসিপি নিয়ে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যে কাঁচকলা পছন্দ করে না। বিশেষ করে বাচ্চারা তো খেতেই চায় না।

বাচ্চাদের বিভিন্ন কৌশলে খাওয়াতে হয়। আমি এই রেসিপিটি এর আগে কখনো বানানোর চেষ্টা করিনি। এমনিতে কাঁচকলার চপ তৈরি করেছি অনেক বার। কাঁচকলার চপ খেতে বেশ মজা। আর কাঁচকলার কোপ্তা কারি তো খুবই সুস্বাদু।

20220809_185323_0000.jpg

তাহলে চলুন দেখি কি কি উপকরণ লাগছে আজ কাঁচকলার কোপ্তা কারি তৈরি করতে।

উপকরন ও পরিমানঃ

উপকরন পরিমান
কাঁচ কলা ৫ টি
আলু ১ টি
পেঁয়াজ কুচি ৮ টি
কাঁচা মরিচ ১০-১২টি
ধনিয়া পাতা কুচি অল্প পরিমাণে
তেজপাতা ২টি
ধনিয়া গুড়া দেড় চা চামচ
জিরা গুড়া দেড় চা চামচ
গরম মসলা গুড়া হাফ চা চামচ
আদা বাটা ২ চা চামচ
রসুন বাটা ২ চা চামচ
বেসন ৩ টেবিল চামচ
কাজুবাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ
টমেটো সস ২ চা চামচ
সয়াবিন তেল পরিমান মতো
লবন স্বাদ মতো

রন্ধন পদ্ধতিঃ

ধাপ-১

প্রথমে কাঁচকলা আর আলুর টুকরো গুলো হালকা হলুদ দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে।

ধাপ-২

সিদ্ধ হয়ে গেলে চটকে নিতে হবে। তারপর বেসন, আদা রসুন, লবন, গরম মসলা, জিরা গুড়া,মরিচ গুড়া,কাঁচা মরিচ কুচি আর ধনিয়াপাতা কুচি দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে।

ধাপ-৩

এখন যেমন ইচ্ছে সাইজের তৈরি করে নিবো।

20220706_133155.jpg

ধাপ-৪

গরম তেলে ভেজে নিবো। এইভাবে সব গুলো চপ ভেজে নিবো।

ধাপ-৫

এইবার ভাজা শেষ হলে কারি তৈরির পালা। একটি হাড়িতে তেল গরম হলে তাতে তেজপাতা আর শুকনো মরিচের ফোড়ন দিবো।

20220706_135104.jpg

ধাপ-৬

অল্প পরিমাণে চিনি দিবো তাহলে তরকারির রং ভালো আসবে। তারপর জিরা গুড়া, মরিচ গুড়া, ধনিয়া গুড়া, হলুদ গুড়া, গরম মসলা গুড়া আর আদা রসুন বাটা দিয়ে কষিয়ে নিবো।

ধাপ-৭

এই পর্যায় কাঁচা মরিচ আর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে কিছু সময় ভেজে নিবো।

ধাপ-৮

টমেটো সস আর কাজুবাদাম বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ আবার কষিয়ে নিবো। যেন পুড়ে না যায় তাই হালকা একটু পানি দিয়ে দিবো।

ধাপ-৯

পানি দিয়ে কষানোর পর ভেজে রাখা চপ গুলো দিয়ে মসলার সাথে কষিয়ে নিবো।

ধাপ-১০

খুন্তি দিয়ে নাড়িয়ে মসলার সাথে মিশিয়ে নিবো। হাড়ি নাড়িয়ে কিছু সময় কষিয়ে নিবো। খুন্তি দিয়ে নাড়ানো যাবে না।

20220706_140129.jpg

ধাপ-১১

পানি একটু শুকিয়ে এলে এখন ২ চা চামচ ঘি দিয়ে।দিবো। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবো তরকারিটা হয়ে যাওয়া পর্যন্ত। শুধু মসলা কষাতে যতটুকু সময় লেগেছে কিন্তু তরকারি হতে বেশি সময় লাগেনি।

ধাপ-১২

এইতো তৈরি হয়ে গেল মজাদার কাঁচ কলার কোপ্তা কারি।

20220706_140718.jpg

আপনাদের কাছে কেমন লাগলো অব্যশই জানাবেন আর ভালো লাগলে বাসায় ট্রাই করে দেখবেন।

20220706_141917.jpg

সবাই খুব ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

আল্লাহ হাফেজ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কাঁচকলা দিয়ে আগে কখনো এভাবে কোপ্তা কারি তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি বেশ লাভোনীয় লাগছে। এভাবে একদিন অবশ্যই বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখব। ধন্যবাদ আপনাকে।

আমিও প্রথম তৈরি করলাম ভাইয়া।

কাঁচ কলার কোপ্তা কারি রেসিপি দেখতে বেশ চমৎকার লাগছে। খেতে ও নিশ্চয় মজা হয়েছে। আপনি ধাপে ধাপে সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

কাঁচা কলা আর আলুর সমন্বয়ে আপনি বেশ দারুন বড়া তৈরি করে দেখিয়েছেন। হয়তো এর নাম আপনি ভিন্ন দিয়েছেন তবে আমরা বিশেষত্ব বড়া বলেই চিনি। জয় হোক নামে বড় বিষয় নয়, তবে এই জাতীয় রেসিপিগুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। আর তৈরি করতে বেশ তেমন টাইম লাগে না, জানা থাকলে খুবই সহজ। অতি সংক্ষিপ্ত সময়ে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব।

আমিও বড়া বলি ভাইয়া। কিন্তু অনেকেই বড়া বললে চিনে না।

আপনি কাঁচ কলার কোপ্তা কারি রেসিপি করেছেন। রিসিভের কালার দেখে মনে হয় খুব সুস্বাদু হবে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যাঁ আপু খুব ইয়াম্মি হয়েছিল।

কাঁচকলা আমার অনেক পছন্দের সবজি। এবং ঠিকই বলেছেন সবসময়ই যে মাছ মাংস দিয়ে ভালো রেসিপি তৈরি করা যায় এটা ভুল। দারুণ তৈরি করেছেন কাঁচকলার কোপ্তাটা। দেখে বেশ সুস্বাদু লাগছে। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

সবজি শরিরের জন্য ও ভালো আর এর তৈরি রেসিপি গুলো খুব মজা হয়।

কাঁচ কলার কোপ্তা কারি রেসিপি খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। আপনার রেসিপি তৈরি দেখে মনে হচ্ছে সত্যিই অনেক সুস্বাদু হয়েছে খেতে। সত্যি বলতে আপনার রেসিপি দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

তাহলে তো খেতেই হবে কাঁচকলার কোপ্তা কারি।

কাঁচ কলার কোপ্তা কারি রেসিপি 😋 আমি এখনো খাইনি তবে আপনার রেসিপি দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে আপু। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে

যেহেতু খাওয়া হয়নি তাহলে তো একবার ট্রাই করতেই পারেন ভাইয়া।

কাঁচ কলার কোপ্তা কারি রেসিপি দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুব মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপি পরিবেশন অনেক ভাল লেগেছে। দেখে শিখে নিলাম, পরবর্তী তৈরি করব ইনশাল্লাহ।

মাছ দিয়ে কোপ্তাকারী তৈরি করে খেয়েছি কিন্তু এভাবে কখনো কাঁচা কলা দিয়ে খাওয়া হয়নি ।আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হবে। একদিন বাসায় তৈরি করে দেখব। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য । আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

হ্যাঁ আপু বাসায় তৈরি করলেই বুঝবেন কত মজা এই কাঁচ কলার কোপ্তা কারি।

আপনি খুবই সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি একটি রেসিপি তৈরি করেছেন যা দেখি আমার খুবই লোভ লেগে গেছে। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই লোভনীয় হয়েছে। কাঁচ কলার কোপ্তা কারি রেসিপি খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এই রেসিপিটি তুলে ধরার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

কাঁচ কলার কোপ্তা কারি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই ইয়াম্মি একটি রেসিপি। দেখে তো খুবই লোভনীয় মনে হচ্ছে। বেশ ভালো লেগেছে দেখে। খুব সুন্দর ভাবে এই রেসিপিটি করেছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।

কাঁচা খোলা বরাবরই আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে কাঁচা খোলা দিয়ে মাছ রান্না করলে অনেক বেশি সুস্বাদু মনে হয়। আপনার এই কাঁচা কলার কোপ্তা কারি রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি লোভনীয় ছিল শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার কাছে তাহলে এই কাঁচকলার কোপ্তা কারি বেশ মজা লাগবে একদিন তৈরি করে দেখতে পারেন বাড়িতে।

আসলে আপু ঠিক বলেছেন বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য বিভিন্ন টেকনিক নিতে হয়। আপনি আজকে দারুণ কৌশল নিয়েছেন কাঁচা কলা দিয়ে খুব সুন্দর কোপ্তা কারি রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখতে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। ধন্যবাদ আপনাকে ছবিটি শেয়ার করার জন্য।

আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া