সন্ধ্যার পরে হাঁটাহাঁটি ও পছন্দের ড্রিঙ্কস পানের অভিজ্ঞতা।

in hive-129948 •  3 months ago 

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


এর আগেও একটা পোস্টে আমি জানিয়েছি ঢাকায় আমি বোনের বাসায় থাকাকালীন সন্ধ্যার পরে বেশ খানিকটা সময় হাঁটাহাঁটি করি। আমার বোন থাকে বনশ্রীতে। ঢাকায় গিয়ে আমি বোনের বাসাতেই উঠি। দীর্ঘদিন ধরে আমার বোন ওই এলাকাতে আছে। যার ফলে আমারও সেখানে যেতে যেতে এলাকাটা মোটামুটি চেনা হয়ে গিয়েছে। ঢাকা শহরে এমনিতে দিনের বেলা হাঁটাহাঁটি করা বেশ মুশকিল। শুধু ভোরের দিকে যা একটু হাটার সুযোগ পাওয়া যায়। যেহেতু ভোরে হাঁটতে বের হতে পারি না। তাই আমি চেষ্টা করে সন্ধ্যার পরে হাঁটাহাঁটি করতে। বোনের বাসায় গিয়ে প্রথম দিন সন্ধ্যার পরে ভাগ্নেকে নিয়ে বের হয়েছিলাম হাটাহাটি করতে। তবে পরদিন ভাগ্নের টিচার থাকায় আমি একাই হাঁটতে বের হয়েছিলাম।

1000002139.jpg

1000002151.jpg

ঢাকা শহর আমার এমনিতে পছন্দ না হলেও ঢাকা শহরের একটা জিনিস আমার খুব পছন্দ। সেটা হচ্ছে সেখানকার বৈচিত্র্যময় খাদ্য সম্ভার। এমন কোনো ধরনের খাবার নেই যেটা ঢাকা শহরে পাওয়া যায় না। আর এখন প্রত্যেকটা আবাসিক এলাকাতেই সব ধরনের খাবারের দোকানের আউটলেট আপনি পেয়ে যাবেন। সেটা পিজ্জা হাট থেকে শুরু করে কেএফসি সুলতান ডাইন থেকে শুরু করে কাচ্চি ভাই পর্যন্ত সবই প্রায় পেয়ে যাবেন। বনশ্রীতে ঢাকার নামকরা বেশিরভাগ খাবারের দোকানের আউটলেট রয়েছে। যার ফলে হাঁটাহাঁটি করার সময় ক্ষুধা পেলেই ঢুকে পরি কোন একটা রেস্টুরেন্টে। তবে সেদিন হাটতে বের হয়ে আমার কিছুই খেতে ইচ্ছা করছিল না। তবে মনে মনে পরিকল্পনা করেছিলাম যদি হাঁটাহাঁটির কোন পর্যায়ে তৃষ্ণা বা ক্ষুধা পায় তখন কিছু খেয়ে নেবো।


1000002154.jpg

সেদিন হাঁটাহাঁটি যখন শেষের পর্যায়ে তখনও দেখি তেমন একটা ক্ষুধা লাগেনি। তবে গরমের ভেতর হাঁটাহাঁটির কারণে বেশ পানির তৃষ্ণা পেয়েছিলো। আপনাদের অনেকের কাছেই মনে হতে পারে এখন আমার গরম এলো কোথা থেকে? ঢাকা শহরে এখনো কিছুটা গরম রয়েছে। যদিও আগের থেকে অনেক কম। যাই হোক তৃষ্ণা লাগার কারণে আমি পরিকল্পনা করলাম কোন একটা জুসের দোকান থেকে যে কোন একটা পছন্দের পানীয় কিনি। এই কথা চিন্তা করতে করতে দেখতে পেলাম একটা জুসের দোকান। সিপ নামের সেই দোকান থেকে এর আগেও আমি জুস খেয়েছি। ঢাকা শহরের প্রতিটা এলাকায় এখন এই ধরনের ছোট ছোট জুসের দোকান দেখতে পাওয়া যায়। এরা নানা রকমের জুস তৈরি করে থাকে।


1000002155.jpg

যাইহোক আমি সেই দোকানে ঢুকে তাদের মেনু কার্ড দেখতে লাগলাম কোনো একটা পছন্দের জুসের জন্য। শেষ পর্যন্ত তাদের মেনু কার্ড দেখে আমি ব্লু লেগুন নামের একটি ড্রিংক অর্ডার করলাম। এই ড্রিঙ্কসটা আমার বেশ পছন্দের। তবে সমস্যা হচ্ছে এই ড্রিংসটা সবাই ভালোভাবে বানাতে পারে না। যার ফলে আমি কিছুটা চিন্তায় পড়েছিলাম যে ড্রিঙ্কসটা তারা কেমন বানাবে। এর ড্রিংকসটা তাদের কাছে দুটো সাইজে ছিলো। একটা মিডিয়াম আর একটা লার্জ। তবে আমি লার্জ টাই অর্ডার করেছিলাম। কিন্তু ড্রিঙ্কসটা অর্ডার করে আমাকে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছিল। কারণ সেই জুসের দোকানে তখন আরো কিছু কাস্টমার ছিলো। যাই হোক শেষ পর্যন্ত যখন জুসটা হাতে পেলাম। তখন চুমুক দিয়ে দেখলাম জুসটা তারা বেশ ভালোই বানিয়েছে। এই ধরনের ড্রিঙ্কস আমার কাছে বরাবরই বেশ পছন্দের। আর তারা বানিয়েছিলো বেশ ভালো। তবে লার্জ সাইজ নেয়ার কারণে সেটা শেষ করতে আমার বেশ কষ্ট হয়েছিলো। যাই হোক জুসটা শেষ করার পরে। আমি বিল মিটিয়ে সেখান থেকে আপুর বাসার দিকে রওনা দিলাম। আর এভাবেই আমার সেদিনের হাটাহাটি শেষ হয়েছিলো।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসSamsung s24 ultra
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানঢাকা

logo.png



PUSS_Banner2.png



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @rupok,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

এখন তো মনে হয় ঢাকাতেও গরমের তীব্রতা কিছুটা কমেছে যদিও ঢাকাতে শীত আসে অনেক পরে। গরমের তীব্রতা না থাকলেও যেকোন জ্যুস খেতে সব সময়ই ভাল লাগে। লম্বা সময় হাটার পর তো খেতে আরো ভাল লাগে!

ধন্যবাদ আপনার হাটাহাটি এবং লার্জ সাইজের জ্যুস খাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করা জন্যে।

আমাদের এখানেও একই অবস্থা, গরম কিছুটা কমেছে। তবে এখনও মোটামুটি ভালোই গরম পড়ে। যাইহোক সন্ধ্যার পর হাঁটাহাঁটি করে দারুণ একটি ড্রিঙ্কস পান করেছেন ভাই। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।