তারপর লিটন রাজনকে জিজ্ঞেস করল এখন কি করতে চাস? রাজন লিটনকে পুরো প্ল্যানটা খুলে বলল। সে বললো আমরা যদি এখন সরাসরি এই রাস্তা দিয়ে যাই তাহলে ওরা আমাদেরকে দেখে ফেলবে। যার ফলে আমাদেরকে একটু ঘুরে ওদের পিছন দিক দিয়ে গিয়ে অ্যাটাক করতে হবে। যাতে সবগুলোকে ধরতে পারি। তারপর রাজন লিটন কে জিজ্ঞেস করল আমার মেশিনটা এনেছিস? তখন লিটন মাজা থেকে একটি পিস্তল বের করে রাজনের হাতে দিলো। এক সময় রাজন লিটনের সাথে সবসময় ঘুরে বেড়াতো। তাদের বেশ শক্ত একটা গ্রুপ ছিল। তাদের গ্রুপকে সবাই ভয় পেতো।
তারপর রাজন এই পথ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যায়। যাওয়ার সময় রাজনের ব্যক্তিগত পিস্তলটা লিটনের কাছে দিয়ে গিয়েছিল। দেয়ার সময় বলেছিল এটা তোর কাছেই থাক। যদি আমার কখনো লাগে তখন দিস। রাজন পিস্তল হাতে পেতেই ম্যাগাজিন চেক করে দেখলো সেখানে গুলি আছে কিনা। ম্যাগাজিনটা গুলি ভরা দেখতে পেল সে। তারপর রাজনের পরিকল্পনা মত তারা সবাই ঘুর পথে ছিনতাইকারীরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছে তার পেছন থেকে আগাতে লাগলো। রাজনদের ১৫ মিনিট মত সময় লাগলো ছিনতাইকারীদের পেছনে পৌঁছাতে।
ওরা পৌঁছে দেখে সেই ছিন্তাইকারী গুলো আরো মানুষের জন্য অপেক্ষা করছে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে। রাজনরা হঠাৎ করে গিয়ে তাদের পেছন দিক থেকে উপস্থিত হলো। উপস্থিত হয়ে পিস্তল তাক করে রাজন বললো যদি নাড়াচাড়া করিস গুলি করে দেবো। এর ভেতর রাজনদের গ্রুপের একজন ছিনতাইকারীদের দিকে টর্চ ধরে রেখেছে। তারপর রাজনের বন্ধু লিটন ছিনতাইকারীদের দিকে এগিয়ে গেলে। তারা লিটনকে চিনতে পারে। তারা লিটনকে দেখে বলে ভাই আপনি এখানে এত রাতে?
তখন লিটন তাদেরকে বলে তোদের কত বড় সাহস। আমার বন্ধুর কাছ থেকে ছিনতাই করেছিস। তখন ছিনতাইকারীরা বলে ভাই আমরা উনাকে চিনতে পারিনি। উনার জিনিসপত্র নিয়ে যান। আমাদের ভুল হয়ে গিয়েছে। তখন লিটন রাজনকে জিজ্ঞেস করে কি করবি ? রাজন বলে এদের ভিতর একজন আমাকে চাপাতি দিয়ে বাড়ি দিয়েছে। তাকে আগে সামনে আনো। সেই ছিনতাইকারী সামনে আসার সাথে রাজন ওদের গ্রুপের একজনের কাছ থেকে হকি স্টিক নিয়ে তার পায়ে প্রচন্ড জোরে বাড়ি মারে। সেই ছিনতাইকারি চিৎকার করে ওঠে মাটিতে পড়ে যায়। তখন বাকি ছিনতাইকারীরা সবাই রাজনের কাছে মাফ চাইতে থাকে।
রাজন তখন তাদের বলে আর যদি কোনদিন আমার এলাকার এই রাস্তায় তোদেরকে ছিনতাই করতে দেখেছি। সেদিন সব গুলিকে জানে মেরে ফেলবো। আজকের মত তোদের ছেড়ে দিলাম। এই কথা বলে রাজন তার ছিনতাই হওয়া সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে তার বন্ধুদের সাথে বাড়ির দিকে ফিরে আসে। তারপর লিটনকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাজন বাড়িতে ঢুকে যায়। এর ভেতরে রাজনরা সেখান থেকে চলে আসার পর। হঠাৎ করে সেখানে পুলিশ এসে উপস্থিত হয়। পুলিশ এসে একবারে সবগুলো ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে সেই ছিনতাইকারীদের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কোর্ট তাদের তিন বছরের সাজার আদেশ দেয়। সেই ছিনতাইকারীরা মনে করেছে রাজন তাদেরকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে। তারা চিন্তা করছিল এত করে মাফ চাওয়ার পরও সে এমন কাজ করতে পারলো। তাই তারা মনে মনে চিন্তা করেছে জেল থেকে বের হয়ে রাজনের উপর তারা প্রতিশোধ নেবে। এত করে অনুরোধ করার পরও রাজন তাদেরকে পুলিশের কাছে দেয়ায় তারা রাজনার উপর প্রচন্ড রেগে গিয়েছে (চলবে)।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
অবশেষে রাজন নিজের জিনিস গুলো ফেরত পেয়েছে জেনে ভালো লাগলো। কিন্তু ছিনতাইকারীরা যেহেতু পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে এবং শাস্তি হয়েছে তাই তাদের ভেতর হয়তো প্রতিশোধের আগুন জ্বলে উঠেছে। কিন্তু রাজন তাদেরকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়নি এই বিষয়টা হয়তো তারা বুঝতে পারছে না। জানিনা পরবর্তীতে কি হবে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit